বিয়ানীবাজারে লিটু হত্যা মামলা ॥ গ্রেফতার তিন আসামীর জামিন মঞ্জুর, খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়-ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য

68

বিয়ানীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজে গুলিতে নিহত বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী খালেদ আহমদ লিটু (২৫) কে খুব কাছ Lituথেকে গুলি করে হত্যা করা হয়। একনলা বন্ধুকের গুলিতে নিহত হন তিনি। বন্ধুকের ছোঁড়া ওই গুলিটি নিহতের চোখের নীচে লাগে এবং ওই গুলির আঘাত ছিল সরলরেখা বরাবর। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ থেকে থানা পুলিশের হাতে আসা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য ওঠে এসেছে।
এদিকে খালেদ আহমদ লিটু হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক জানান, লিটু হত্যাকান্ডে যে অস্ত্রটি ব্যবহৃত হয়, তা এখনো আমরা খুঁজছি এবং হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে আমরা কাজ করছি।
তিনি আরোও বলেন, মামলায় গ্রেফতার এজাহারনামীয় আসামীরা রিমান্ডে পুলিশকে তেমন কোন তথ্য দেয়নি। আমরা পলাতক আসামীদের অবস্থান শনাক্ত করেছি। অচিরেই ভালো খবর পাওয়া যাবে।
অপরদিকে লিটু হত্যামামলায় গ্রেফতার চার আসামীর মধ্যে তিনজনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল রবিবার হাইকোর্ট থেকে জামিন লাভ করেন এ মামলার ২নং আসামী কামরান আহমদ। এর আগে পৃথকভাবে একই মামলায় জামিন লাভ করেন ছাত্রলীগ নেতা ফাহাদ আহমদ ও এমদাদুর রহমান। অপর আসামী দেলোয়ার হোসেন মিষ্টুর জামিন না হওয়ায় তিনি এখনো কারাগারে আছেন।
উল্লেখ্য যে, গত ১৭জুলাই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। একপর্যায়ে লিটুসহ তার সহযোগীরা ইংরেজি বিভাগের একটি কক্ষে আশ্রয় নেয়। দুপুর ১২টার দিকে কলেজটির ইংরেজি বিভাগের ১২০ নম্বর কক্ষে গুলির শব্দ পাওয়া যায়। সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় লিটুকে উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লিটুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় যে তিনজন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাদের সেদিনই গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে পৌর এলাকার দাসগ্রাম থেকে দেলোয়ার হোসেন মিষ্টু নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়।