সিলেট সরকারী তিব্বিয়া (বর্তমানে ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল) কলেজের সার্জারি বিভাগের প্রভাষক ডাঃ আক্তার হোসেনের চাকুরী পূর্ণকালীন ও নিয়মিত না করার কারণে মহামান্য হাইকোর্টে ৫৫৯০/২০১৬ রিট দায়ের করলে আদালত ১৫ দিনের মধ্যে নিয়মিতকরণ ও বেতন-ভাতা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করলে তা বাস্তবায়ন না করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হোমিও ও দেশজ চিকিৎসা শাখার পরিচালক গত ২২/১১/২০১৬ইং তারিখে ১২ জন চিকিৎসককে চাকুরী হতে অব্যাহতি প্রদান করেন। পুনরায় উক্ত অব্যাহতি আদেশের বিরুদ্ধে ১২ জন প্রভাষক/মেডিকেল অফিসারের পক্ষে ডা. আক্তার হোসেন ১৫৬৬৫/২০১৬ নং রিট দায়ের করলে, উক্ত রিটের ২৪/০১/২০১৬ ইং তারিখের আদেশে ১২ জন প্রভাষক/মেডিকেল অফিসারের অব্যাহতি আদেশ স্থগিত করেন।
এর প্রেক্ষিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ইং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আইন অধিশাখার সহকার সচিব আব্দুল কুদ্দুস খান স্বাক্ষরিত এক আদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নে নির্দেশ দেন। ফলে শীঘ্র ১২ জন প্রভাষক/মেডিকেল অফিসার তাদের চাকুরী ফিরে পাচ্ছেন বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, গত ২৮/৫/২০১৭ইং তারিখে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার পক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে ২০৪৪/২০১৭ সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল দায়ের করলে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর একক বেঞ্চ স্থগিতাদেশ ২০/৭/১৭ইং তারিখে স্থগিত করে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানীর জন্য প্রেরণ করেন। পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মির্জা হোসেন হায়দার শুনানী শেষে গত ২৩ জুলাই ২০১৭ ইং তারিখে সরকারের উক্ত আপিলের কোন মেরিট নেই মর্মে উল্লেখ করে খারিজ করেন। ফলে শিক্ষকদের হাইকোর্টের আদেশই বহাল থাকে। বিজ্ঞপ্তি