দোয়ারায় জোড়া খুনের ঘটনায় পাল্টা-পাল্টি হত্যা মামলা

20

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে জোড়া খুনের ঘটনায় পাল্টা-পাল্টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়ের আগেই গোরেশপুর ও বেরীগাঁও গ্রাম পুরুষ শুন্য হয়ে পড়ে। সোমবার রাতে গোরেশপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা উমর আলীর পুত্র নিহত শেরুজ্জামানের ভাই আক্তারুজ্জামান বাদী হয়ে বেরীগাঁও গ্রামের মাসুক মিয়াকে প্রধান আসামী করে ৫১ জনের নাম উল্লেখ করে দোয়ারাবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা(নং-১২) দায়ের করেন। এ মামলা দায়ের পরের দিন মঙ্গলবার রাতে বেরীগাঁও গ্রামের নিহত এবাদুল রহমানের স্ত্রী ফরিদা বেগম বাদী হয়ে গোরেশপুর গ্রামের নূর উদ্দিন আহমদকে প্রধান আসামী করে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক হত্যা মামলা করেছেন। পৃথক দুটি হত্যা মামলায় গোরেশপুর ও বেরীগাঁও গ্রামের শতাধিক লোককে আসামী করা হয়েছে। এর মধ্যে সংঘর্ষের দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে উভয় গ্রামের ১৬ ব্যক্তি। জানা যায়, শনিবার সকালে ছাতক শহরের বাসা থেকে সিএনজি যোগে দোহালীয়াবাজার নিজ ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন দা’ দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে গোরেশপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা উমর আলীর পুত্র শেরুজ্জামানকে। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে শেরুজ্জামানের মৃত্যু ঘটে। এ খবর গোরেশপুর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে তার স্বজনরা বেরীগাঁও গ্রামে মাসুক মিয়ার বসতঘরে প্রতিশোধের তান্ডব চালায়। এ সময় রাস্তায় মাসুক মিয়ার পক্ষের এবাদুর রহমানকে পেয়ে উপর্যপুরী আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, গোরেশপুর ও বেরীগাঁও গ্রামের জোড়া খুনের ঘটনা একটি পূর্ব শত্র“তার ফসল। দোয়ারাবাজার থানার ওসি এনামুল হক মামলার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ১৬ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা দু’টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে।