গ্যাস বিদ্যুৎ গ্রাহক কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় আহবায়ক লে: কর্ণেল (অব.) অধ্যক্ষ আতাউর রহমান পীর, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নাসির উদ্দিন এডভোকেট, যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল হোসেন চৌধুরী, সদস্য সচিব জননেতা মকসুদ হোসেন এক বিবৃতিতে বলেন, জনগণের করের টাকা দ্বারা রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের মূলধন গঠিত হয়। সেই করের দ্বারা গঠিত ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকের কর্মকর্তা ও তাদের সহযোগী ও এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা লুটপাট করে নিয়েছে মর্মে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই ১৪ হাজার কোটি টাকা উদ্ধারের ব্যবস্থা না করে নিরীহ, নির্দোষ ও সরল প্রাণ এবং অসংগঠিত জনগণ যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাবিশ^াস, ঠিক সেই মুহূর্তে বিদ্যুতের এই মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত এ যেন মড়ার উপর খাড়ার ঘা। দেশবাসী বিদ্যুতের বার বার মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মানে না, এ সিদ্ধান্ত গণবিরোধী। নেতৃবৃন্দ সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এমনিতে বিদ্যুতের মূল্য ৭ বার বৃদ্ধি, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি ও জ¦ালানি তেলের দাম না কমানোর ফলে জনগণের উপর আর্থিক রোলার চলছে। সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করার ওয়াদা করে বার বার গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে চলছেন তা কোনভাবেই দুঃখী মানুষ মেনে নিতে পারে না। নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার দক্ষ ও চৌকস নেতৃত্বে বিশ^ব্যাপী আজ সমাদৃত ঠিক তেমনি দেশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধান করে চলেছেন। জনগণের উপর ট্যাক্সের বোঝা কমিয়ে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি টাকা দ্রুত উদ্ধার ও ঋণ খেলাপীদের ৪১ হাজার কোটি টাকা মওকুফের প্রক্রিয়া বন্ধ, দুর্নীতিবাজ রাজনীতিক, আমলা ও ব্যবসায়ীদের বিষয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাজস্ব ভান্ডরকে শক্তিশালী করে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সেবা খাতগুলোতে ভর্তুকি দেয়ার জোর দাবী জানান। বিজ্ঞপ্তি