কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খেলার মাঠে জয়ের মনোভাব নিয়ে খেলতে খেলোয়াড়দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে এদেশের মানুষ অস্ত্র তুলে নিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আমরা বিজয়ী জাতি। সব সময় এটা মাথায় রাখতে হবে। খেলার মাঠেও মাথায় রাখতে হবে যে যুদ্ধে জয় করেছি, খেলায়ও জয় করব। এই চিন্তা নিয়ে সবাইকে চলতে হবে। তাহলেই সাফল্য আসবে। কারণ মনোবল, আত্মবিশ্বাস এটা একান্তভাবে দরকার।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‘সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২’-এ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলকে সংবর্ধনা ও আর্থিক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সব সময় ট্রেনিংটা দরকার। প্রশিক্ষণ, এটাকে কোনোমতেই শিথিল করা যাবে না। যত বেশি ট্রেনিং হবে তত বেশি খেলাধুলা উৎকর্ষতা পাবে। আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে সাফল্য অর্জনের জন্য আরও প্রতিযোগিতা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য অর্জনের জন্য আমাদের যথাযথ প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আরও প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের ২৩ জন খেলোয়াড়ের প্রত্যেকের হাতে পাঁচ লাখ টাকার চেক এবং ১১ জন প্রশিক্ষক ও কর্মকর্তার হাতে দুই লাখ টাকার চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে খেলোয়াড়রা প্রধানমন্ত্রীর হাতে ‘সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২’ এর ট্রফি তুলে দেন এবং ফটো সেশনে অংশগ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টারের জন্মদিনে তাঁর ওপর রচিত একটি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থেরও মোড়ক উন্মোচন করেন। বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মো. সালাহউদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহ উদ্দিন। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে ‘সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২’ -এর ওপর একটি ভিডিও-ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
১৯ বছর পর মেয়েদের হাত ধরে ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব আসে বাংলাদেশে। ছাদখোলা বাসে মহিলা ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দেয় দেশের সাধারণ মানুষ। রাষ্ট্রীয় কাজে তখন দেশের বাইরে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাই তখন মেয়েদের সংবর্ধনা দিতে পারেননি। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আনন্দঘন পরিবেশে সাফ উইমেন্সে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন মহিলা ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দেন শেখ হাসিনা। ১৯ সেপ্টেম্বর ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের শিরোপা ঘরে ছিনিয়ে আনে বাংলাদেশের গর্বিত মেয়েরা।
খেলাধূলা না করে বাচ্চারা ফার্মের মুরগির মতো হয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকাল বাচ্চারা সবাই, বিশেষ করে ঢাকার বাচ্চারা তো ফ্ল্যাটে থেকে ওগুলো ওই যে ফার্মের মুরগির মতো হয়ে যাচ্ছে। খেলাধূলায় যায় না, এটা হলো বাস্তব কথা। তিনি বলেন, এখন তো ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি, সারাক্ষণ হয় মোবাইল অথবা ট্যাব নিয়ে বসে থাকে। ফিজিক্যালি যে চর্চাটা হওয়া দরকার সেটা হচ্ছে না। এটা কিন্তু খুবই দরকার।
সন্তানকে খেলাধূলায় সম্পৃক্ত করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, প্রত্যেকটা অভিভাবককে আমি অনুরোধ করব অন্তত কিছুক্ষণ হলেও আপনারা আপনাদের বাচ্চাদের খেলাধূলার দিকে একটু নজর দেন। তাদেরকে খেলার মাঠে নিয়ে যান। লেখাপড়ার সঙ্গে খেলাধূলার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, লেখাপড়া করবে, স্কুল আছে ঠিক আছে, তবে তার সঙ্গে সঙ্গে খেলাধূলা করতে হবে। স্কুলগুলোতেও খেলাধূলার ব্যবস্থা থাকা উচিত।
খেলোয়াড়দের সহযোগিতা করতে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের যারা বিত্তশালী আছে তাদেরকে বলব এসব জায়গায় তারা যেন আরও সহযোগিতা করে। তা ছাড়া প্রত্যেকটা ব্যবসায়ী ইন্ডাস্ট্রির মালিক বা অন্যান্য ব্যবসায়ী তাদেরকে আমি আহ্বান করি প্রত্যেককে যেন আমাদের খেলোয়াড়দের চাকরি দেন, কাজ দেন। আমি মনে করি খেলোয়াড়দের কোনো একটা কাজ দিয়ে উৎসাহিত রাখা উচিত। তিনি বলেন, যারা খেলাধুলা শেষ করে এখন ব্যবসা করে বেশ টাকা-পয়সার মালিক হচ্ছে, তাদের তো উচিত এদিকটা আরও বেশি করে দেখা।
নিজের পরিবারের সদস্যদের খেলাধূলার প্রতি আগ্রহের কথা জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের পরিবারে কিন্তু খেলাধুলা আছে, জয়ের মেয়ে সে কিন্তু ছোটবেলা থেকে খুব ফুটবল খেলত। রেহানার (শেখ রেহানা) ছেলে ববি নিজেও খেলে। পরিবারের সবার একটু ফুটবল খেলার দিকে ঝোঁক বেশি, বলতে পারি না দাদার থেকে আসছে বোধহয়।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা সব সময় এটা মনে করি যে খেলাধূলা আমাদের অপরিহার্য। আমার আব্বা (বঙ্গবন্ধু) ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে খেলতেন আবার আমার ভাই কামাল (শেখ কামাল) সেও খেলত, সবাই বিভিন্ন টিমের সঙ্গে জড়িত ছিল। কাজেই আমি এটা মনে করি যে আমাদের ছেলে-মেয়েরা যত বেশি খেলাধূলার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারবে, সংস্কৃতি চর্চার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারবে, সাহিত্য চর্চা করবে, লেখাপড়ার পাশাপাশি এগুলো একান্তভাবে দরকার। শারীরিক, মানসিক সব দিক থেকেই আমাদের তরুণদের একটা আলাদা মানসিকতা, দেশপ্রেম এটা গড়ে উঠবে।
প্রধানমন্ত্রী অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের সুস্থ মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে বাইরে খেলার জন্য সময় দেওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি সকলকে বিশেষ করে যুবকদের খেলাধূলা, সংস্কৃতি ও সাহিত্যকর্মে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে বলেন যা দেশের যোগ্য নাগরিক হতে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন ২০১১’ প্রণয়ন করে একটা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই ফাউন্ডেশনকে করোনাকালীন ৩০ কোটি টাকা দিয়েছিলাম, মোট ৪০ কোটি টাকার সীড মানি দেওয়া হয়েছে। আমি আরও ২০ কোটি টাকা দেব।
এ ফাউন্ডেশন থেকে সমস্যাগ্রস্ত খেলোয়াড়দের সহযোগিতা করার কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ফাউন্ডেশন থেকে যারা আমাদের খেলাধুলার সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেক সময় তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে অথবা তাদের কোনোরকম অসুবিধা দেখা দেয়, বাড়িতে বয়স হয়ে গেলে তাদের কোনো কিছু করার থাকে না, সেখানে ফাউন্ডেশন থেকে সহযোগিতা করা যায়। আবার এই ফাউন্ডেশন তাদের আর্থিক সচ্ছলতার জন্য অনেক কাজও করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতা অন্যান্য ক্ষেত্রে উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের ক্রীড়াঙ্গনকেও সমান গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ১৯৭২ সালেই জাতীয় ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা গঠন করেন এবং ১৬টি জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন অনুমোদন করেন। ১৯৭৪ সালে আরও ১৮টি জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন এবং বিভিন্ন জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে অনুমোদন দেন। ১৯৭৪ সালে ‘বাংলাদেশ স্পোর্টস কাউন্সিল অ্যাক্ট’ পাস করে আজকের ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ’ গঠন করেন। ১৯৭৫ সালের ৬ আগস্ট ‘বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী ও সংস্কৃতিসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন’ অনুমোদন দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার তৃণমূল পর্যায় থেকে খেলোয়াড় গড়ে তোলার পাশাপাশি ক্রীড়া অবকাঠামো উন্নয়ন করছে। প্রথম পর্যায়ে ১২৫টি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৮৬টি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে দেশের অবশিষ্ট ১৭৩টি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের উন্নয়ন কাজ চলমান। ইতোমধ্যে কাবাডি ও ভলিবল স্টেডিয়ামের উন্নয়ন, ১৩টি উপজেলায় স্টেডিয়াম নির্মাণ, সারাদেশে ৫৬টি স্টেডিয়াম, ৮টি সুইমিংপুল, ৬টি সুটিং রেঞ্জ, ৭টি ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ ও উন্নয়ন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের গত ১৪ বছরের শাসনামলে ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের সফলতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে বলেন, বিভিন্ন ক্রীড়া ডিসিপ্লিনে বাংলাদেশ নানা আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে মোট ৪৮৫টি স্বর্ণ, ৪৯৯টি রৌপ্য, ৫৯৫টি তা¤্র পদক অর্জন করেছে এবং ১১৪ বার চ্যাম্পিয়ন, ২৬ বার রানার্স আপ ও ২২ বার তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, ২০১০ সালের ডিসেম্বরে এশিয়ান গেমসে পুরুষদের ক্রিকেটে প্রথমবার স্বর্ণপদক পেয়েছে। ২০২২ সালের মার্চে ইন্দোনেশিয়ায় এশিয়ান হকি ফেডারেশন কাপ-এ বাংলাদেশ জাতীয় হকি দল ওমান, ইরান, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, সিঙ্গাপুরকে পরাজিত করে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ কাবাডি দল কেনিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০২১ সালের মে মাসে এক ম্যাচ হাতে রেখেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ান-ডে সিরিজ জয় করেছে।
খেলোয়াড়দের ডেকে নিয়ে ছবি তুললেন প্রধানমন্ত্রী : সাফ বিজয়ী নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের ডেকে নিয়ে ছবি তুললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নিজেই মঞ্চে ডেকে এনে ছবি তোলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্তদের থেকে কিছুটা আপত্তি এলেও প্রধানমন্ত্রী তাতে সাড়া দেননি।
সাফ ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে ঘোষণা মঞ্চ থেকে জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও প্রধান প্রশিক্ষক গোলাম রব্বানী প্রধানমন্ত্রীর হাতে সাফ ফুটবল ট্রফি তুলে দেওয়ার জন্য ঘোষণা দেন।
তখন প্রধানমন্ত্রী নিজেই সব খেলোয়াড়কে মঞ্চে ডাকেন। তিনি বলেন, সব খেলোয়াড় এখানে আসো। চলে আসো। এ সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা কিছুটা আপত্তি জানালে প্রধানমন্ত্রী তা শোনেননি। তিনি বলেন, সবসময় এত বাধা দেওয়া ভালো না। শুধু খেলোয়াড় আসছে তো, আর কেউ না। খেলোয়াড়রা মঞ্চে গেলে ছবিতে যেন সবাইকে দেখা যায় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেই কিছুটা পিছিয়ে জায়গা করে দেন।
সবাইকে ইউটার্ন করে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেন। তিনি মঞ্চের কয়েকটি চেয়ারও সরিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন। মঞ্চে জায়গা কম থাকায় তিনি ছবি যাতে সুন্দর হয় তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আরেকটি জায়গায় (সিঁড়ি) আবারও ছবি তুলবেন বলে খেলোয়াড়দের জানান। খেলোয়াড়দের সঙ্গে এ সময় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনও ছিলেন।
মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি তোলার পর কয়েকজন খেলোয়াড় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের ব্যক্তিগত সুবিধা-অসুবিধার কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী এ সময় তাদের সব সমস্যা সমাধানের কথা জানান। পরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করেন বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। ফুটবল আকৃতির রঙিন স্মারকটি দেখে প্রধানমন্ত্রী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি এটি বাঁধাই করে সাজিয়ে রেখে দেবেন বলে জানান। এর আগে পাওয়া আরেকটি স্মারকও তিনি এভাবে রেখেছেন বলে জানান। আরও জানান, সেটি এখন আর দেখছেন না। বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর সেটি হয়ত নষ্ট করে ফেলেছে বলেও উল্লেখ করেন।