গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জের মেয়ে রুহেলা জাহান সুমাইয়ার হত্যার প্রতিবাদে উপজেলার বাঘায় মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
এ মানববন্ধনে ১নং-বাঘা ইউনিয়নবাসী অংশ গ্রহণ করে খুনি স্বামীর গ্রেফতারের মাধ্যমে ফাঁসি দাবী করে। শুক্রবার বিকেল ৪টায় বাঘা পরগনাবাজারস্থ অদিরের দোকান পয়েন্টে কাপ্তাই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও বদরুল আলম আজমলের পরিচালনায় এ মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রুহেলা চাচাত ভাই মাহবুবুর রহমান, এলাকার প্রবীণ মুরব্বি সাবেক ইউপি সদস্য আবউল সেলিম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা শাখার সহ-সভাপতি গাজী মো. সিরাজুল ইসলাম ছুরুকী, জাবেদুল ইসলাম দিদার। উপস্থিত ছিলেন আব্দুল মালিক, বাঘা ছাত্র জমিয়তের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাফর ইকবাল, প্রবীণ মুরব্বী এনাম মিয়া, শাকিল আহমদ, জাহাঙ্গির আলম, জামিল, আনওয়ার হোসেন, মুজিবুর রহমান প্রমুখ। এ সময় বাঘা ইউপির শতশত লোক উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ১৫ আগষ্ট দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানার কুচাই ইউপির দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত ওয়ারিছ আলী আতা মিয়ার ছেলে সুলতান আহমদের নিজ ঘরেই স্ত্রী সমাইয়াকে খুন করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। ঘটনার পর পরই তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে স্ত্রীর বাপের বাড়ীর আত্মীয় স্বজনদের কাছে প্রচারণা চালিয়ে আসছিল। পরে রুহেলা জাহান সুমাইয়ার মা ইয়ারুন নেছা মোগলাবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করতে চাইলে পুলিশ জানায় ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর অভিযোগ দেবেন এবং এই অভিযোগ পুলিশও নেবে। এ সময় নিহতের মা ইয়ারুন নেছার স্বাক্ষর নিয়ে মোগলাবাজার থানা পুলিশ মেয়ের মৃত্যু সংক্রান্ত অবহতি করণ প্রসংগে একটি ডায়রী করে। এ হত্যার প্রতিবাদে আজ শনিবার বিকাল ৪টায় গোলাপগঞ্জ পৌর চৌমুহনীতেও গোলাপগঞ্জ উপজেলাবাসীকে নিয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন। গত ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানার কুচাই এলাকার সুলতান আহমদের সঙ্গে গোলাপগঞ্জ উপজেলা বাঘা ইউনিয়নের পশ্চিম গোলাপনগর রজবমারা এলাকার মৃত ময়বুর রহমান ও ইয়ারুন নেছার কন্যা রুহেলা জাহান সুমাইয়ার বিয়ে হয়।