শিপন আহমদ, ওসমানীনগর থেকে :
ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে রড ছাড়া পিলার ও লিন্টাল নির্মাণের ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম। গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষা প্রকৌশল চট্টগ্রাম সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান সরকারের নেতৃত্বে ওই কলেজের নির্মাণাধীন ভবনের বিভিন্ন কাজ পরিদর্শন করেন। তবে তদন্তকালে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে কোন ধরণের মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। এমনকি তদন্তকালীন সময়ে কোন ধরণের ছবি তুলতেও আপত্তি জানানো হয়। তদন্তকালে তার সাথে ছিলেন, সিলেট জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল হাকীম এবং সহকারি প্রকৌশলী আবু সাঈদ। তদন্ত কর্মকর্তা প্রথমে কলেজ গভর্ণিং বডির সদস্য ও কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য শোনেন। তবে তদন্তকালে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তদন্ত কর্মকর্তা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান সরকার বলেন, ভবনের বিভিন্ন কাজ পরিদর্শন করেছি। তবে এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে পারবো না। আমার মন্তব্য তদন্ত রিপোর্টেই পেশ করবো।
প্রসঙ্গত, প্রায় সাড়ে ৩কোটি টাকা ব্যয়ে গোয়ালাবাজার আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের ৪ তলা ভবনের নির্মাণ কাজের টেন্ডারের মাধ্যমে দায়িত্ব পায় পুষ্পা কন্সট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কাজের অনিয়মের অভিযোগে গত শনিবার ৩য় ও ৪র্থ তলার সাবঠিকাদার শাহ আলমসহ ৩ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ বাদি হয়ে পুষ্পা কন্ট্রাকশনের স্বত্ত্বাধিকারী রাখাল দেব, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেট অফিসের প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম, ৩য় ও ৪র্থ তলার সাব ঠিকাদার শাহ আলম ও তার সহযোগী আবদুল কাইয়ুম ও লোকমান হোসেনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জন কে অভিযুক্ত করে দুদকে অভিযোগ ও ওসমানীনগর থানায় পৃথক মামলা দায়ের করেন।