সিলেটে ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষ প্রথম ও ২ লাখ ৯০ হাজার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন

4

কাজিরবাজার ডেস্ক :
সিলেট মহানগরীতে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ নিয়েছেন করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে গত ৯ মাসে এই ৩ লক্ষাধিক নারী-পুুরুষকে সিলেটে দেওয়া হলো টিকা।
অপরদিকে, সিলেট মহানগরীতে এ পর্যন্ত ২ লাখ ৯০ হাজার মানুষ নিয়েছে টিকার দ্বিতীয় ডোজ। তথ্যগুলো জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম।
তিনি মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বলেন, গত ৯ মাসে সিলেট মহানগরীতে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার নারী-পুরুষ টিকার প্রথম ডোজ ও ২ লাখ ৯০ হাজার মানুষ দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। সিলেট মহানগরীতে আমরা যে হারে টিকাদান করেছি সে হারে ঢাকা সিটিতেও দেওয়া হয়নি। আমরা দুই ধাপে ক্যাম্পেইন করে ৮২টি কেন্দ্রে গণটিকাদানের আয়োজন করেছি। অন্য কোনো সিটিতে এভাবে করা হয়নি।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের বুথে সিলেটে প্রথম টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এদিন ভার্চুয়াল বক্তব্যের মাধ্যমে সিলেটে এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বর্তমানে সিলেট নগরীতে চলছে ফাইজারের টিকাদান কার্যক্রম। রেজিস্ট্রেশন ও মেসেজ পাওয়ার ভিত্তিতে সিলেট নগরীর টিকাকেন্দ্র এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন চলছে এ কার্যক্রম।
মঙ্গলবার ওসমানী হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, টিকা নিতে আসা মানুষের উপচেপড়া ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালে টিকাদানে দায়িত্বরত নার্স ও রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীরা। এতে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন হলেও মানবিক দিক বিবেচনায় কাউকেই টিকা না দিয়ে ফেরত দেওয়া হচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার এ হাসপাতালের বহির্বিভাগের পঞ্চম তলার টিকাদানকেন্দ্রে টিকা দিতে যান নগরীর শিবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘টিকা নিতে আসার মেসেজ পাওয়ার পর টিকা নিতে গিয়ে দেখি মেসেজ ছাড়াও অসংখ্য মানুষ লাইনে দাড়িয়ে আছেন। আর এতে স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে লম্বা লাইনে ঘন্টাখানেকের বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে, ভিড় ধাক্কাতে হয়েছে। সবমিলিয়ে খুবই উদ্বেগজনক অবস্থা।’
হাসপাতালের পাঁচ তলায় গিয়ে দেখা যায়- টিকাগ্রহীতাদের অপেক্ষাকেন্দ্র, টিকাদানের প্রতিটা বুথসহ মাঝখানের লবি, কোথাও একটুও দাঁড়ানোর জায়গা নেই। এছাড়া, টিকা নিতে আগ্রহীদের লাইন হাসপাতালের পাঁচ তলা থেকে দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি পর্যন্ত দেখা গেছে।
এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, টিকাদান যখন প্রথম শুরু হয়েছিলো, তখন ১২টি বুথ দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। পরে টিকার সংকটে ৩টি বুথ চালু ছিল। বর্তমানে ৯টি বুথে টিকাদান চলছে।