কানাইঘাটে আদালতের নির্দেশে মায়ের কোল ফিরে পেলো অবুঝ শিশু তানহা

61

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
সিলটের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়েরের পর কানাইঘাট থানা পুলিশের সহযোগিতায় মায়ের কোলে Tanhaফিরে এসে খুশিতে আত্মহারা দুই বছরের শিশু সারকিয়া জান্নাত তানহা। প্রবাদে আছে বন্যেরা বনের সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। দীর্ঘ ১ মাস পর মামলা দায়েরের পর অবুঝ শিশু তানহাকে  রবিবার দুপুরে তার বাবা মখতার আহমদের বাড়ী থেকে কানাইঘাট থানার এএসআই খোরশেদ আলম উদ্ধার করে গর্ভধারিনী মা ফাহিমা বেগমের কোলে ফিরিয়ে দেন। অবুঝ শিশু তানহা তার গর্ভধারিনী মা ফাহিমা বেগমকে দেখে ঝাঁপটে ধরে মায়ের কোলে আনন্দে মেতে উঠে। মা তার বুকের ধন কলিজার টুকরা তানহাকে কোলে পেয়ে আনন্দে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। জানা যায়, প্রায় ৪ বছর পূর্বে কানাইঘাট উপজেলার দক্ষিণ বানীগ্রাম ইউপির নিজ দলইকান্দি আকুনি গ্রামের মামুন রশিদের পুত্র মখতার আহমদের সাথে বিয়ে হয় ফালজুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের মেয়ে ফাহিমা বেগমের। দুই বছর যেতে না যেতেই তাদের কোল জুড়ে জন্ম নেয় ফুটফুটে মেয়ে তানহা। কিন্তু পারিবারিক বিরোধের জের ধরে গত ২৯ মে ফাহিমা বেগমের স্বামী ও শ^াশুড়ী তাকে মারপিট করে অবুঝ শিশু তানহাকে জোরপূর্বক রেখে ফাহিমা বেগমকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিলে ফাহিমা বেগম তার বাবার বাড়ী ফালজুর গ্রামে আশ্রয় নেয়। সামাজিক প্রচেষ্টা চালিয়ে শিশু মেয়ে তানহাকে ফিরে না পেয়ে ফাহিমা বেগম মেয়েকে ফিরে পেতে সিলেট নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত শিশু তানহাকে তার পিতার বাড়ী থেকে উদ্ধার করে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আহাদকে নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশে এএসআই খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গতকাল রবিবার দুপুর ১২টায় শিশুটিকে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলেও আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য গতকাল রবিবার উদ্ধার পরবর্তী তানহার মা ফাহিমা বেগম ও শিশু তানহাকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।