জাতীয় শ্রমিকলীগ সিলেট সদর উপজেলা শাখার উদ্যেগে শনিবার আম্বরখানাস্থ হোটেল কায়কোবাদে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় জাতীয় শ্রমীকলীগ সিলেট সদর শাখার সভাপতি মকবুল হুসেন খাঁন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফয়ছল মাহমুদের সঞ্চালনায় প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি ও সিলেট জেলা শাখার সভাপতি প্রকৌশলী এজাজুল হক এজাজ।
আলোচনাসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিকলীগ সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সামিম রশিদ চৌধুরী।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে সামিম রশিদ চৌধুরী বলেন, জাকারিয়া-ফলিক শ্রমিক নামধারী জামায়াত বিএনপির এজেন্ট। জাতীয় শ্রমিকলীগের কদমতলি বাসস্টেন্ড কার্যালয় উদ্বোধন করতে গেলে তারা তাদের গুন্ডাবাহনী দ্বারা আমাদের বাধা দেয় এবং শ্রমীকলীগের অফিস থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি নামিয়ে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করেছে। ফলিক, জাকারিয়া, মঈদ দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের নির্বাচন না দিয়ে শ্রমিকদের বিভিন্নভাবে ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার করে। কথায় কথায় ধর্মঘটের নামে সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে যাহা ইতিমধ্যে সিলেটবাসী দেখেছেন। শ্রমিকদলের নাম ধারন করে শ্রমিকদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদাবাজী চালিয়েছে। সরকার পরিববর্তনের সাথে সাথে সরকারি দলের অনেক সুযোগ সন্ধানীকে ম্যানেজ করে সরকারী দলের ছত্রছায়ায় আশার চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে এই তিন ব্যক্তি সমন্ধে সিলেট সর্বস্তরের শ্রমিকরা অবগত আছেন। তারা এতই প্রভাবশালী যে, কোন শ্রমিক তাদের কথার অবাধ্য হলে বিভিন্ন মামলা এমনকি সংগঠন থেকে বহিষ্কারের করে। এই সমস্ত শ্রমিক নামধারী ব্যক্তিরা এখন শতকোটি টাকার মালিক। তাই অবিলম্বে এই সমস্ত ব্যক্তিরে সম্পদের তদন্ত করলে তাদের আসল উদ্দেশ্য বের হয়ে আসবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় শ্রমিকলীগ সিলেট জেলা শাখার সহসভাপতি আব্দুল জলিল, জাহাঙ্গির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, শাহ আলম সুরুক।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আজিজ মিয়া, দুদু মিয়া, মালেক মিয়া, জালাল মিয়া প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি