স্টাফ রিপোর্টার :
শাহপরান থানার গোপালটিলাস্থ ২নং রোডের ৭৩নং বাসায় নীচ তলার দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। তালা ভেঙ্গে ও জানালার গ্রিরিল কেটে চোররা নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণ এবং ব্যবহারি কাপড় চোপরসহ আনুমানিক ১লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার আনুমানিক ভোর ৪টায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
ভাড়াটিয়া বাসার মালিক দীপক রায় জানান, আমি সিলেটে বাহিরে ছিলাম।
নগরীর গোপালটিলায় দুর্ধর্ষ চুরি
ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান ১০ নভেম্বর
স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীতে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও লাইসেন্সবিহীন চালকের বিরুদ্ধে ১০ নভেম্বর থেকে অভিযান শুরু হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি সমন্বয় করা হবে। সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, আমরা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে এ অভিযান পরিচালনা করব।
সূত্র জানায়, এ অভিযান সফল করতে সড়ক পরিবহন
হরতালে গাড়ীতে আগুন, মাঠে আওয়ামীলীগ
স্টাফ রিপোর্টার :
দলের সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদন্ডবহাল রাখার প্রতিবাদে তৃতীয় দফায় জামায়াতের টানা ২ দিনের হরতালে শে দিনে সিলেটে ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে। সকালের দিকে রাস্তাঘাটে থমথমে অবস্থা বিরাজ করলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে রিক্সা ও হালকা যানবাহন ব্যাপকভাবে চলাচল করতে থাকে। নগরীর বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী অফিস আদালত ও ব্যাংক খোলা থাকলেও লোক সমাগম কম ছিলো।
৭ নভেম্বর-এর সিপাহী-জনতার গণঅভ্যুত্থানের নায়ক কর্ণেল তাহের তোমায় লাল সালাম
॥ মনির উদ্দিন মাষ্টার ॥
সে তো কর্ণেল তাহের/ সে তো দেশপ্রেমিক/ সে তো বিপ্লবে করেনি ভয়/ সে তো শ্রেণী সংগ্রামে করেনি ভয়/ সে তো ফাঁসিতে করেনি ভয়/ সে তো চির অমর/ নতি শিকারে বেঁচে থাকার করেনি লোভ/ সে হলো বীর উত্তম কর্ণেল তাহের। তাকে স্মরণ করেই তাহারই দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এদেশের জনগণ আরো একবার তাদের অধিকার আদায়ে এগিয়ে যাবে, সেটা আমাদের প্রত্যাশা। যারা ৭ নভেম্বরের গণঅভ্যুত্থানকে জোরে বলে মিথ্যার বেসাতী বলে তাদের বিপ্লব বলে জাহির করতেছে। তারা মূলত একটি প্রগতিশীল রাজনীতিকে ধ্বংস করে সাম্রাজ্যবাদী রাজনীতিকে স্বাধীন দেশে এনে গণহত্যা চালাচ্ছেন এবং মৌলবাদের উত্থান ঘটিয়ে তারাই মূলত: সাম্রাজ্যবাদী কার্যকলাপের জন্য দায়ী। মেজর জিয়া মুক্তিযুদ্ধের একটি প্রগতিশীল শক্তিকে ধ্বংস করে মৌলবাদ এবং সাম্রাজ্যাবাদের উত্থান ঘটিয়ে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন। তার রেখে যাওয়া উত্তরসূরী জাতীয়তাবাদী দল এখনো মিথ্যার বেসাতি করে যাচ্ছ। মেজর জিয়া কিভাবে বন্দিদশা থেকে বিপ্লব করেছিলেন? জনগণ তা জানতে চায়? আজকে নতুন করে আবার মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে হচ্ছে। অনেকে বলেন দিনটি ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’র দিন, অনেকে বলেন ‘সেনা হত্যার’ দিন, আবার অনেকে বলেন ‘সিপাহী-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবস’। বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, এইসব ‘অনেকেই’ তাদের দৃষ্টিকোণ বিশেষত শ্রেণীদৃষ্টিকোণ থেকে বলেন। যারা ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’র দিন বলেন তারা এটা বলতেই পারেন। কারণ তাদের ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’ মানেই জাতীয় শোষক-ধনিক এবং তাদের প্রভু সাম্রাজ্যবাদের পক্ষে এই কথিত বিপ্লব ও সংহতি। আসলে প্রতিবিপ্লবের মাধ্যমে এ দিনের আসল বিপ্লবকে হত্যা করা হয়েছিল। তাই প্রতিবিপ্লবীদের জন্য ৭ নভেম্বর দিনটি বিপ্লব ও তাদেরই সংহতির দিবস। সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান, জেনারেল এরশাদ এবং তাদের গড়া কথিত রাজনৈতিক দলসহ ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধী-মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলো এই দিনটিকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। হয়তো বর্তমান ‘আর্মি ব্যাকড’ ও ‘জামায়াতীদের রক্ষক’ তত্ত্বাবধায়ক সরকারও এই নামেই দিবসটি পালন করেছিলেন। এর বাইরে যারা দিবসটিকে ‘সেনা হত্যার দিন’ হিসেবে বলে থাকেন তাদেরও যুক্তি আছে। তারা মনে করেন, দিনটিতে নির্বিচারে সেনা অফিসারদের হত্যা করা হয়েছে, তাই দিনটি ‘হত্যার’ দিন। তারা শ্রেণীগত বৈষম্যের বাইরে বিষয়টিকে দেখতে চান, শ্রেণীগত দিকটিকে সামনে আনতে চাননা। আর যাঁরা ‘সিপাহী-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে দেখেন তাঁরা শ্রেণীগত দিকটিসহ প্রকৃত বিপ্লবের বিষয়টি ধারন করেন।
আজ থেকে ৩৯ বছর আগের এই দিনটিতে, বা ’৭৫-এর ৭ নভেম্বরে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর ভিতর থেকে যে ঘটনা ঘটেছিল তার প্রকৃত নায়ক ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের ১১নং সেক্টর কমান্ডার লে, কর্ণেল (অব:) আবু তাহের বীর উত্তম। তিনিই এ অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং তিনিই বন্দিদশা থেকে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করেছিলেন, সেই সঙ্গে জিয়াকে ক্ষমতায়ও বসিয়েছিলেন সিপাহী-জনতার স্বার্থরক্ষা করার শর্তে। কিন্তু জিয়া ক্ষমতা হাতে পেয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েন মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-মৌলবাদ এবং দেশীয় ধনিক শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষায়। জিয়া বিশ্বাসঘাতকতা করেন ক্ষমতায় বসার শর্তের সঙ্গে, এবং ঘটনা এখানেই শেষ নয়। তিনি তার প্রাণরক্ষক তাহেরকে গ্রেফতার করেন, তারপর তার বিরুদ্ধে ৭ নভেম্বরের ঘটনার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দোষী করেন এবং এক প্রহসনের বিচার বসিয়ে তাঁকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেন। এরপর এই বিশ্বাসঘাতক জিয়া ৭ নভেম্বরের কৃতিত্ব (এবং নেতৃত্ব) নিজে নিয়ে নেন, দিনটিকে ‘সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান’-এর বদলে কথিত বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে প্রচার করেন। আর এর সঙ্গে সঙ্গে সেনা ছাউনিগুলো থেকে বিপ্লবের সঙ্গে যুক্ত ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সিপাহী ও অফিসারদের আটক করে ফায়ারিং স্কোয়াডে দাঁড় করিয়ে গুপ্ত হত্যাকান্ড ঘটাতে থাকেন। হাজার হাজার সিপাহী-অফিসারকে হত্যা করা হয় এভাবে। হাজার হাজার সিপাহী-অফিসার এবং জাসদ সংগঠকদের জেলখানায় আটক রেখে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। মাসের পর মাস ধরে চলতে থাকে এসব কান্ড। আরেকটি ব্যাপার হলো, যেহেতু এই হত্যাযজ্ঞের মূল পরিকল্পনায় ছিল সাম্রাজ্যবাদ সেহেতু ৭ নভেম্বরে সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদের লোকেরাও প্রতিবিপ্লবের জন্য তৎপর হয়ে উঠেছিল। এ তৎপরতা সেনা ছাউনি এবং বে-সামরিক উভয় পর্যায়েই পরিচালিত হয়। সেনা ছাউনিতে তৎপর ছিল হীনস্বার্থান্বেষী অফিসাররা এবং বে-সামরিক পর্যায়ে ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধী-মৌলবাদী-চরম প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীসমূহ। পরে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত জিয়াউর রহমানের সঙ্গে একাকার হয়ে এরা তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে থাকে।
আজকের প্রেক্ষাপটে এই প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ যে কর্ণেল তাহের কোন লক্ষ্যকে সামনে রেখে ৭ নভেম্বরে সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান পরিকল্পনা করেছিলেন? যদিও আজ সামরিক বাহিনীর বিষয়ে দাবি করা হচ্ছে যে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এক নয়। কিন্তু পাকিস্তানি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পাল্টানোর জন্যই ৭ নভেম্বর প্রয়োজন হয়েছিল, এমন কি ওই বৈশিষ্ট্য থেকে বেরিয়ে আসতেই ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজন হয়েছিল, দেশকে স্বাধীন করার প্রয়োজন হয়েছিল। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে প্রাপ্ত এই বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন ছিল একটি গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিমূলক, জনকল্যাণমুখী, জনগণসম্পৃক্ত গণবাহিনী। মোটেই পাকিস্তানের মতো ক্যাণ্টনমেণ্টভিত্তিক, জনসম্পৃক্ততাহীন বা জনবিচ্ছিন্ন, জবাবদিহিতাহীন, অগণতান্ত্রিক বা অফিসারদের হুকুমের দাসভিত্তিক সেনাবাহিনী কাম্য ছিল না। জনগণের জন্য সত্যিকারের সামরিক বাহিনী বা গণবাহিনীর জন্যই কর্নেল তাহের ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়া মাত্রই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছিলেন। আর তখনই প্রমাণ হয়ে গিয়েছিল যে এখানে কারা পাকিস্তানি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য রক্ষা করতে চায়। অর্থাৎ নেতৃত্ব থেকে পাকিস্তানি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের পক্ষেই অবস্থান দেখা যায়। এমনকি এ প্রশ্নে তাহের যখন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গেও কথা বলেন, তখন তিনিও তাহেরের সঙ্গে একমত হতে ব্যর্থ হন। ফলে তাহেরকে চাকরী থেকে সরে আসতে হয় এবং বিকল্প পথে লক্ষ্য অর্জনের চিন্তা করতে হয়। এখানে উল্লেখ করতেই হয় যে ক্যাণ্টনমেণ্টভিত্তিক, জনসম্পৃক্ততাহীন বা জনবিচ্ছিন্ন, জবাবদিহিতাহীন, অগণতান্ত্রিক বা অফিসারদের হুকুমের দাসভিত্তিক সেনাবাহিনী না হয়ে তখন যদি আমাদের সেনাবাহিনী জনগণের গণবাহিনী হতো তাহলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নিহত হতে হতো না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হতো না, দেশে গণতন্ত্র বিপন্ন হতো না, সামরিক শাসন আসতো না এবং মুক্তিযুদ্ধের শত্র“রা ক্ষমতা দখল করতে পারতো না, মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে অর্জিত ’৭২-এর সংবিধানও ক্ষত-বিক্ষত হতো না।
কর্ণেল তাহেরের নেতৃত্বে ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার গণঅভ্যুত্থান প্রচেষ্টার কারণ এখানেই। তিনি পাকিস্তানি আদলের সেনাবাহিনীকে সত্যিকারের গণবাহিনীতে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। শ্রেণী-বৈষম্যের ব্যবস্থাকে ভেঙে শ্রেণীহীন ব্যবস্থাপনা কায়েম করতে চেয়েছিলেন। বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনানির্ভর শোষণমুক্ত, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। আর সেজন্যই বৃহত্তর সৈনিকগোষ্ঠীর সঙ্গে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সম্মিলনে সিপাহী-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সফল পরিণতি ঘটাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিপক্ষে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তি, তাদের এদেশীয় এজেণ্ট ও দালালগোষ্ঠী, ’৭১-এর পরাজিত যুদ্ধাপরাধী চক্র এবং স্বার্থান্বেষী মহলগুলো ছিল অনেক বেশী সতর্ক ও সংগঠিত। যে কারণে ৭ নভেম্বরে সিপাহী-জনতার গণঅভ্যুত্থান বিজয়ী হতে বা সফল পরিণতি লাভ করতে পারেনি। এতে বিজয়ী হয়েছে প্রতিশক্তি এবং এর ফলশ্র“তিতে প্রাণ দিতে হয়েছে কর্নেল তাহেরকে, প্রাণ দিতে হয়েছে আরও বহু মানুষকে। আসলে ’৭১-এর পর আরও এক গণহত্যাযজ্ঞের মধ্যদিয়ে নিধন করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে এবং সুপ্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে প্রতিশক্তিকে। ফলে আজও পর্যন্ত আমাদের সেনাবাহিনী পূর্বসূরীদের আদল বা বৈশিষ্ট্য থেকে বেরিয়ে এসে আলাদা কিছু হয়েছে এমন বলার সময় আসেনি।
সিপাহী-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মর্মকথা : আমাদের উপমহাদেশে সামরিক বাহিনীর জন্ম হয়েছিল ব্রিটিশদের উপনিবেশের স্বার্থে। এই বাহিনীই পরে ভেঙে ভারতীয় এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনী হয়। এরপর এই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী থেকে হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বাহিনীর নাম পরিবর্তিত হলেও এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বা আদল কিন্তু থেকে যায় সেই গোড়াতেই। অর্থাৎ এই বাহিনী থেকে যায় দেশের মালিক জনগণের বদলে শোষক বা ধনিক গোষ্ঠীর নিজস্ব স্বার্থরক্ষাকারী লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে, এবং শোষকগোষ্ঠী যখন সাম্রাজ্যবাদী মহাশত্র“র তাঁবেদার তখন এই বাহিনীও হয় একই বৈশিষ্ট্যের। ফলে যখনই সাম্রাজ্যবাদ এবং তাদের তাঁবেদারদের স্বার্থে আঘাত লাগে, জনগণ শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় তখন এই বাহিনী দেশরক্ষার নামে সাম্রাজ্যবাদী তাঁবেদারদের রক্ষার জন্য নেমে পড়ে। আবার এই বাহিনীর নিজস্ব আদল হলো অফিসাররা সব প্রভু, এবং সিপাহী বা ছোটরা সব দাস। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এই দাসরাই অনেক বেশী সংখ্যাগুরু, আর প্রভুরা গুটি কয়েক বা সংখ্যালঘু। তারপরেও সংখ্যালঘুদের ক্রিতদাস হিসেবে চলতে হয় এই সংখ্যাগুরুদের। এসব কারণেই মূলত এই উপমহাদেশে (বিশেষ করে ব্রিটিশ শাসনামলে) অনেকবারই সিপাহী বিদ্রোহের ঘটনা ঘটেছে, যা গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস হয়ে আছে। কেননা এই ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো না ঘটলে হয়তো ব্রিটিশদের বিতাড়নে বেশী বেগ পেতে হতো।
বাংলাদেশে কর্ণেল তাহেরের নেতৃত্বাধীন ‘সিপাহী-জনতার গণঅভ্যুত্থান’ দর্শনে বিশ্বাসীদের ভিতরে যে ধারণাটি কাজ করেছে তার মূল কথা হলো মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানি আদলের প্রচলিত এই বাহিনী মানেই বুর্জোয়া বা ধনিক শ্রেণীর রক্ষক। অথচ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতি ছিল গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং শোষণমুক্তি বা সমাজতন্ত্র। এই শোষণমুক্তির জন্য অবশ্যই শোষক শ্রেণীর শক্তিভিতকে ভেঙে ফেলা প্রয়োজন। আর এ রকম একটি বিপ্লবী কাজের জন্য প্রয়োজন এমন একটি গণঅভ্যুত্থান যে অভ্যুত্থানের নায়ক হবে শোষিত-বঞ্চিত বৃহত্তর জনগোষ্ঠী এবং শোষিত-বঞ্চিত বৃহত্তর সিপাহীগোষ্ঠী। এই দুইয়ের মিলনেই সম্ভব মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাশিত শোষণমুক্ত বাংলাদেশ কায়েম করা। যেহেতু ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের পরও এই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি এবং রাষ্ট্র-সমাজ-লক্ষ্য-আদর্শের বৈশিষ্ট্যসমূহ মুক্তিযুদ্ধের আগের অবস্থায়ই থেকে গিয়েছিল সেহেতু শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য জরুরি হয়ে উঠেছিল এই সিপাহী-জনতার গণঅভ্যুত্থানের। এজন্যই সিপাহী এবং জনতার সম্মিলন ঘটানো এবং সেইসঙ্গে সম্মিলিত গণঅভ্যুত্থান প্রয়োজন হয়েছিল। এই কাজটির জন্যই তখন সামরিক পর্যায়ে বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা এবং বে-সামরিক পর্যায়ে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিপ্লবী গণবাহিনী ও জাসদ তৎপরতা চালিয়েছিল। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদ এবং তাদের এদেশীয় তাঁবেদারচক্র-ধনিকগোষ্ঠী-’৭১-এর যুদ্ধাপরার্দী শক্তিসহ অন্যান্য গণবিরোধী গোষ্ঠীগুলোর সংহতি বা সম্মিলিত প্রতিবিপ্লবের সাফল্যেই কার্যত ব্যর্থ হয় সিপাহী-জনতার ওই গণঅভ্যুত্থান। ফলে ৭ নভেম্বর পরবর্তী সফল হয় প্রতিবিপ্লব ও প্রতিবিপ্লবীদের সংহতি।
শেষ কথা : সেই ৭ নভেম্বরের প্রত্যাশা যদি পূরণ হতো তাহলে বাংলাদেশ আজ অন্য বাংলাদেশ হতো। বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে থাকতো ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের দর্শনে। এই বাংলাদেশে জনগণের স্বার্থরক্ষাকারী জনগণের বাহিনী ছাড়া কখনই সাম্রাজ্যবাদ এবং তাদের প্রতিভূদের ক্রীড়নক হিসেবে কোন শক্তি থাকতো না, দেশে যুদ্ধাপরাধী বা মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির অস্তিত্ব থাকতো না। এমনকি দেশে কথিত ওয়ান ইলেভেন ঘটিয়ে সাম্রাজ্যবাদ-বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ চক্রের জয়জয়কার ঘটানোর অবকাশ থাকতো না, সামরিক শাসকদের সৃষ্ট বিএনপি-জামায়াত জোটকে নানা কৌশলে গণরোষ থেকে রক্ষা করে ফের রাজনীতি করার ব্যবস্থা করে দেওয়ার সুযোগও ঘটতো না। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক শক্তিকে ক্ষত-বিক্ষত করে বৃহত্তর জনগণের প্লাটফর্মকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টাও সম্ভব ছিল না। সুতরাং এখানে ৭ নভেম্বরের আসল প্রত্যাশাগুলো পূরণ হয়নি। আর পূরণ হয়নি বলেই শোষিত-বঞ্চিত বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর লড়াইও শেষ হয়নি। একই কারণে কর্ণেল তাহের এবং তাঁর ৭ নভেম্বরও শেষ হয়নি। শেষ হবে না যতোদিন না বিপ্লবের বিজয় আসবে। সমাজতান্ত্রিক সমাজ কায়েম হবে।
মিসওয়াক : বাস্তবতা ও ফজিলত
আতিকুর রহমান নগরী
প্রকৃতি কখনো মানুষের স্বভাব বিরোধী নয়। বরং তা সর্বদাই মানব স্বভাবের অনুকূলে। শুধু তাই নয়, মানুষ যখন দুনিয়ার চাকচিক্য ভোগ বিলাসিতায় ডুবে গিয়ে কোন এক সময় নানাবিধ বিপদ আপদের সম্মুখিন হয় এবং তা থেকে বেঁচে থাকার কোন উপায় না দেখে পুনরায় প্রকৃতির দিকে ফিরে আসে, প্রকৃতি তখনও পূর্বের ন্যায় মানুষের উপকারে আসে। চমৎকার ও মহামূল্যবান হীরার টুকরোকে ফেলে দিয়ে সামান্য এক টুকরো কাঁচ গ্রহণ করা যেমনিভাবে বুদ্ধিহীনতা ও বোকামির কাজ, ঠিক তেমনিভাবে মুসলমানদের জন্য নবীজীর (স:) মহান সুন্নাত মিসওয়াকের ন্যায় স্বভাব অনুকূলের আমলটিকে পরিত্যাগ করে ব্রাশ ইত্যাদি গ্রহণ করাও তদ্রƒপ অজ্ঞতা ও বোকামীর কাজ। যখন থেকে আমরা এ মহান নেয়ামতটিকে হাতছাড়া করেছি, তখন থেকে আমরা নানাবিধ পেরেশানিতে ভোগছি। হাজার হাজার টাকা ব্যয় করেও দৈহিক সুস্থতার উৎস ফিরে পেতে সক্ষম হচ্ছি না। মিসওয়াক সম্পর্কে একজন জ্ঞানী তার উক্তি এভাবে করেছেন ‘যেদিন থেকে আমরা মিসওয়াকের ব্যবহার ত্যাগ করেছি, সেদিন থেকেই ‘ডেন্টাল সার্জন’ এর সূত্রপাত হয়েছে।’ নবী (সা:) এর সুন্নাত মানুষের স্বভাব সুলভ এই সুন্নাত আমাদের উন্নতির পাথেয়। রাতে মিসওয়াকঃ রাসূল (সা:) রাতে ঘুম থেকে জেগে মিসওয়াক করতেন। রাতে শয়নকালে মিসওয়াক করা ছিল নবী করীম (সা:) এর মহান অভ্যাস (যাদুল মায়াদ)। জনৈক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘‘ওয়াশিংটনে (আমেরিকার) একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার একদা আমাকে বললেন, আপনি শয়নকালেও মিসওয়াক করবেন। আমি বললাম এর কারণ কী? উত্তরে তিনি বললেন, বর্তমান যুগের বিসার্চ একথা বলে যে, মানুষ খাবার ভক্ষণ করে, যার ময়লা কুলির দ্বারা ভালোভাবে পরিষ্কার হয় না। তিনি আরো বলেন যে, সাধারণত মানুষের দাঁত নষ্ট হয় শয়নকালে। আমি জিজ্ঞেস করলাম এরই বা কারণ কী? তিনি বললেন, আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন যে, দিনের বেলা মানুষ কখনো কথা বলছে, কখনো আহার করছে, আবার কখনো পান করছে, তাই দিনের বেলা মুখের গতিশলীতার দরম্নন রক্ত, রস, এসব কাজ করার সুযোগ পায় না। কিন্তু রাতের বেলা যখন মুখ বন্ধ হয়ে যায়, তখন তার সুযোগ এসে যায় কাজ করার। এ কারণেই দাঁত রাতের বেলা ভীষণ খারাপ হয়। তিনি আরো বলেন, সকালে ‘টুথপেষ্ট’ ব্যবহার করুন বা নাই করুন রাতের বেলা অবশ্যই মিসওয়াক করে ঘুমাবেন।’ বিজ্ঞ ডাক্তার সাহেবের মুখে এ কথাগুলো শুনে আমি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ ‘আলহামদু লিল্লাহ’ পড়েছিলাম। কেননা মহানবী (সা:) এর সুন্নত হচ্ছে রাসূল (স:) সর্বদা অজু অবস্থায় শয়ন করতেন, আর মিসওয়াক ব্যতিত কখনো তিনি অজু করতেন না। যদি কেউ খাবার শেষে অজু করে এবং মিসওয়াক করে তাহলে সে দন্ত রোগ থেকে রেহাই পাবে।
নামাজের পূর্বে মিসওয়াক : প্রকৃতপক্ষে নামাজ যেহেতু কুল মাখলুকের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাববুল আলামিনের ইবাদত। তাই নামাজের সময় মুখ পরিষ্কার হওয়া আবশ্যক। যদি আহারের পরে মিসওয়াকবিহীন অজু করা হয়, তাহলে দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবারের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশগুলো জিহবায় লেগে নামাজের একাগ্রতায় বিঘœ ঘটায়। তাছাড়া নামাজে দাঁড়ানো অবস্থায় নামাজী ব্যক্তির মুখ থেকে যদি দুর্গন্ধ বের হয়, তাহলে এর দ্বারা অন্য মুসলস্নীর কষ্ট হয়। তাই মিসওয়াক দ্বারা মুখের দুর্গন্ধ দূর করে নেয়া উচিত। মিসওয়াক করার সময় মুখ এমনভাবে হিল্লোলিত হয়, যদ্দারা কোরআন তেলাওয়াত, তাসবীহ তাহলীল ইত্যাদিতে অনাবিল সুখ-শান্তি ও মনের প্রশান্তি লাভ হয়। নামাজ হয় মহান প্রভুর সম্মুখে হাজিরা দেয়া।
মুখের দুর্গন্ধ দূরীকরণে মিসওয়াক : এক ব্যক্তির মুখে ছিল খুবই দুর্গন্ধ। এর জন্য সে উন্নতমানের টুথপেষ্ট, ঔষধ, মাজন এবং দুর্গন্ধ নাশক বিভিন্ন ঔষধ ব্যবহার করে। কিন্তু তাতে সে উপকৃত হয় না। অতঃপর সে এ ব্যাপারে জনৈক আলিমের কাছ থেকে পরামর্শ চাইলে তিনি তাকে পিলু গাছের মিসওয়াক ব্যবহার করার পরামর্শ দেন এবং সাথে সাথে ব্যবহার পদ্ধতিও বলেন যে, মিসওয়াকের আগার চিকন অংশগুলি প্রত্যেহ নতুন হওয়া বাঞ্চনীয়। এ পদ্ধতিতে মিসওয়াক ব্যবহারের পর অতি অল্পদিনের মধ্যেই সে আরোগ্য লাভ করে।
গলার রোগ নিরাময়ে মিসওয়াক : টনসিলের রোগীদের জন্য মিসওয়াক ব্যবহারে যথেষ্ট ফল পাওয়া যায়। এক ব্যক্তির গলায় মাংস গ্রন্থি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে খুব পেরেশান ছিল। তাকে তুত ফলের শরবত ও মিসওয়াক ব্যবহার করতে দেয়া হল, অর্থাৎ তুতের শরবত পান করবে এবং তাজা মিসওয়াক ব্যবহার করবে এবং মিসওয়াক টুকরো টুকরো করে ফুটন্ত পানিতে জাল দিয়ে গড় গড় করবে। এ পন্থা অবলম্বন করার পর রোগী দ্রুত আরোগ্য লাভ করল।
মস্তিষ্ক সতেজকরণে মিসওয়াক : হযরত আলী (রা:) বলেন, মিসওয়াক দ্বারা মস্তিষ্ক সতেজ হয়। প্রকৃত পক্ষে মিসওয়াকের মধ্যে থাকে ফসফরাস জাতীয় পদার্থ। রিসার্চ ও সন্ধানের মাধ্যমে একথা স্বীকৃত যে, যে জমিতে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস অধিক বিদ্যমান থাকে সেখানেই পিলু, নিম, বাবলা এ সমস্ত বৃক্ষরাজী অধিক হারে জন্মায়। দাঁতের প্রধান খাদ্যই হল ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস। আর বিশেষ করে পিলু বৃক্ষের জড়ে এই উপাদানগুলো সাধারণত বেশী পাওয়া যায়। অভিজ্ঞতা দ্বারা একথা প্রমাণিত হয়েছে যে, পিলু বৃক্ষের মিসওয়াক তাজা ও নরম অবস্থায় চাবালে তার মধ্য হতে তিক্ত তেজষ্ক্রিয় এক প্রকার পদার্থ বেরিয়ে আসে।
ব্রাশ ও মিসওয়াকের পার্থক্য : এখানে একটি প্রশ্ন জাগে যে, দাঁতের পরিচ্ছন্নতা ও সুরক্ষার জন্য ব্রাশ বেশী প্রয়োজনীয় না জীবাণু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দীর্ঘ দিনের পরীক্ষা নিরীক্ষার পর এ কথা চূড়ান্ত রূপ লাভ করেছে যে, একবার ব্যবহার করা ব্রাশ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কেননা ব্যবহারের দ্বারা তার মধ্যে জীবাণুর ভিত্তি স্থাপিত হয়। পানি দ্বারা পরিষ্কার করলেও তা ক্রমবর্ধমান থাকে। তাছাড়া ব্রাশের দ্বারা দাঁতের উপরের স্তর ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। ফলে দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি হয়। এরপর ধীরে ধীরে দাঁতগুলো মাড়ি থেকে বিচ্যুত হতে থাকে। আর খাবারের ক্ষুদ্র কণাগুলো দাঁতের ফাঁকে জমে মাড়ি ও দাঁতের ব্যাপক ক্ষতি করে থাকে। এমন বৃক্ষের মিসওয়াক দাঁতের জন্য উপযোগী যার আঁশগুলো হয় কোমল, যা দাঁতের মাঝে ফাঁক বৃদ্ধি করে না এবং মাড়িতে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারেনা। এ হিসেবে মোটামুটি ৩টি গাছের ডাল মিসওয়াকের জন্য উপযোগী (১) পীলু গাছের মিসওয়াক (২) নীম গাছের মিসওয়াক (৩) বাবলার মিসওয়াক।
পীলু গাছের মিসওয়াক : পীলু বৃক্ষের উপকারিতা হল (ক) এর আঁশগুলি মসৃণ (খ) এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এই বৃক্ষ পাওয়া যায়। বিশেষ করে লবণাক্ত ও বিরাণ ভূমিতে। ভূ-তত্ত্বের আধুনিক রিসার্চ একথা বলে যে, মস্তিষ্কের অসংখ্য খাদ্য এবং সহায়ক বস্তুর মধ্যে ফসফরাস অন্যতম।
সর্দি, কাশি ও মিসওয়াক : স্থায়ী সর্দি কাশি রোগের শ্লেষ্মা যদি জমাট বেঁধে থাকে, সে ক্ষেত্রে মিসওয়াক ব্যবহার করলে শ্লেষ্মা ভিতর থেকে বের হয়ে মস্তিষ্ককে হাল্কা করে। একজন প্যাথলজিষ্ট বলেছেন, পরীক্ষা নিরীক্ষা আমাকে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, মিসওয়াক হল সর্দি ও কাশির সর্বোচ্চ প্রতিরোধক। এমনকি মিসওয়াক সর্বদা ব্যবহার করলে নাক ও গলার অপারেশন করার মতো পরিস্থিতি খুবই কম সৃষ্টি হয়। মহান আল্লাহর সত্ত্বার দরবারে প্রার্থনা করি যে, তিনি আমাদের সবাইকে যেন মহানবীর (সা:) সুন্নাত মিসওয়াক ব্যবহার করার তৌফিক দান করেন। আমিন।
লেখক : প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট।
গোলাপগঞ্জে তাফসির মাহফিলে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব ॥ শাপলা চত্বর ইসলামের ইতিহাসে দ্বিতীয় কারবালা
আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মোফাস্সিরে কোরআন আল্লামা জুনায়েদ আল হাবীব বলেছেন, ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশ আমাদের এ বাংলাদেশ। এ দেশ নিয়ে চিন্তা করার অধিকার সবার রয়েছে। কিন্তু আমরা আলেমরা যদি দেশ নিয়ে চিন্তা করি তাহলে বলা হয় আমরা স্বাধীনতা বিরোধী, আমরা নাকি শুধু মসজিদ-মাদ্রাসা নিয়ে বসে আছি। আমরা যদি কথা বলি আমাদের বলা হয় আমরা নাকি যাকাত, ফিতরা আর কোরবানীর চামড়া কালেকশনে ব্যস্ত রয়েছি।
কানাইঘাট সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে নিহত বাংলাদেশী যুবকের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ
কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
গত রবিবার কানাইঘাট উপজেলার সোনারখেওড় সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয় অস্ত্রধারী খাসিয়াদের গুলিতে নিহত বাংলাদেশী তরুণ আব্দুল খালিক (২০) এর লাশ ফেরত দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ। গত মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় সোনারখেওড় সীমান্তবর্তী ১৪২৮নং মেইন পিলারের নোম্যান্সল্যান্ডে উভয়দেশের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ ও বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আব্দুল খালিকের লাশ বিএসএফ হস্তান্তর করে।
গোলাপগঞ্জে হরতালে মাঠে নেই জামায়াত
গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হরতালের প্রথম দিনে গতকাল সারা দেশের ন্যায় গোলাপগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের নেকর্মীদের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। কোনো ধরণের বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়াই হরতাল পালিত হয়েছে। তবে দিনভর উপজেলা সদরে সিএনজিচালিত অটোরিক্সাসহ গণপরিবহন চলাচল প্রায় স্বাভাবিক ছিল। তবে রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ি কম চলেছে। প্রতিটি মার্কেট দোকানপাট খোলা ছিল স্বাভাবিক। উপজেলা সদরে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা
বিশ্বম্ভরপুরে নলকূপ থেকে গ্যাস বের হওয়ায় আতংকিত গ্রামবাসী
বিশ্বম্ভরপুর থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের উমেশ দাশের বাড়ীতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বসানো টিউবওয়েলের পাইপের নিচ থেকে হঠাৎ করে ব্যাপক মাত্রায় গ্যাস বের হতে থাকলে গ্রামবাসী এসে সহযোগিতা করে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা পর্যন্ত গোবর ও মাটি চাপায় গ্যাস উঠা বন্ধ করেন। গ্রামের মন্টু তালুকদার জানান প্রায় দুই শত মানুষ গ্যাস বন্ধে সহযোগিতা করেন। এবং অতিমাত্রায় গ্যাস উঠায় আমরা আতংকিত হয়ে পরি দীর্ঘ সময়
পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগ্রাম কমিটির সভা ॥ আজকের পরিবর্তে ১১ নভেম্বর থেকে সিলেট বিভাগে লাগাতার পরিবহন ধর্মঘট
দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ‘সিলেট বিভাগ পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগ্রাম কমিটি’ আহূত আজ (৬ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার থেকে সিলেট বিভাগে লাগাতার পরিবহন ধর্মঘট ৫ দিন পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। গত ২৭ অক্টোবর সোমবার ৭ দফা দাবিতে সংগ্রাম কমিটি এ