শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সিকৃবি উত্তাল, প্রশাসনিক ভবনে তালা

সিকৃবি সংবাদদাতা

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি)। তারা প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ চেয়ে প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছেন। রবিবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। ছাত্রদলের ব্যানার ছেঁড়া ইস্যুতে সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হন। তারা আট দফা দাবিও জানিয়েছেন।
রাতে ব্যানার ছেঁড়া নিয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল-এলাকাবাসীর সঙ্গে ছাত্রলীগ সমর্থিত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ- এমন শিরোনামে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারও ছেঁড়া হয়।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি বিবৃতি সামনে সামনে আসে। এতে বলা হয়, কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে টানানো ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তা-সংবলিত ব্যানার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা-সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন রাষ্ট্রবিরোধী ঘৃণ্য ও নিন্দনীয় কর্মকাÐের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তদন্তবিহীনভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগ সমর্থিত শিক্ষার্থী আখ্যা দেওয়া হয়েছে। উ™‚¢ত পরিস্থিতিতে সিকৃবি প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে বৈঠকের আহŸান জানায়। তবে শিক্ষার্থীরা তা নাকচ করে সবাইকে নিয়ে কথা বলতে চান বলে জানান।
এ বিষয়ে জানতে সিকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক আলিমুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রদলের ব্যানারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে টানানো ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তা-সংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা একটি বিবৃতি ড্রাফট (খসড়া) করেছিলাম। ছাত্রদলের ব্যানারের সঙ্গে ভর্তির ব্যানার ছেঁড়া রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধের সামিল কি না, তা উল্লেখ করা হলেও তা গণমাধ্যমে পাঠানো হয়নি। সেটি কীভাবে প্রকাশ পেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান উপাচার্য। তিনি বলেন, ভর্তি নস্যাৎ করতে সারা দেশে এরকমই হচ্ছে। এর পেছনে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সার্বিক বিষয় খতিয়ে প্রতিবেদন দিতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। গতকাল কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আন্দোলনকারীরা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তবে উ™‚¢ত পরিস্থিতি নিরসনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসে আলোচনা করে সুরাহার চেষ্টা চলছে বলেও জানান উপাচার্য। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল ও এলাকাবাসীর সঙ্গে ছাত্রলীগের সমর্থক শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ এবং ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় ফটকের বাইরে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে ছাত্রদলের সাঁটানো ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনার জের ধরে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে সেনাসদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সংঘর্ষের ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কমিটি বাতিল করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। শিগগির এ ইউনিটের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়। কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীনের অনুমোদনক্রমে আরও দুটি বিজ্ঞপ্তি সংগঠনের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করেন দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
এর একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. সাহেদুল ইসলামকে (রোমেন) প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। সেই সঙ্গে ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো।’
অপর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- ‘সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠিত অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার যথাযথ তদন্তের জন্য ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ও প্রচার সম্পাদক শরীফ প্রধান ওরফে শুভর নেতৃত্বে দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। রোববারের মধ্যে এ কমিটিকে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে লিখিতভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
যদিও এ ঘটনায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার রাতে গঠিত তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. এমদাদুল হক, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কাওছার হোসেন ও অধ্যাপক ড. শাহানা বেগম। এ কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

হাতকড়াসহ আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ১৫০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

 

বিশ্বম্ভরপুর সংবাদদাতা

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেওয়া আসামি ৩ দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে এ ঘটনায় শনিবার বিশ্বম্ভরপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর নবী হোসেন বাদী হয়ে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় পালিয়ে যাওয়া আসামি সাইফুল ইসলামসহ (৩৮) ৩৪ জনের নামোল্লেখ করে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাউছার আলম। তিনি বলেন, সাইফুলের বিরুদ্ধে চোরাচালান, মাদক ও মারামারির মামলা রয়েছে। গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসার সময় পুলিশের উপর তার লোকজন হামলা করে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাকে। তবে আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ জানায়, চোরাচালান, মাদক ও মারামারির মামলার আসামি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান তাজ্জুত আলীর ছেলে সাইফুলকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সীমান্তের ঝিগাতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পরে সিএনজিতে করে বিশ্বম্ভরপুরে নিয়ে যাবার সময় চান্দের বাজার এলাকায় পুলিশের উপর প্রায় দেড়শ’ লোকজন হামলা করে সাইফুলকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

তাহিরপুরে দুই শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকার মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার

কাজির বাজার ডেস্ক

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে দুই শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের মামলায় নাজির হোসেন (২৮) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত নাজির সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের কাউকান্দি গ্রামের এরশাদ মিয়ার ছেলে ও উপজেলার লামাকাটা জঙ্গলবাড়ি একটি মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
দুই শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের ঘটনায় শনিবার উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্তগ্রাম লামাকাটা গ্রামের এক ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। শনিবার সকালে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক নাজির হোসেনকে থানার টেকেরঘাট অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের অফিসার গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন।
মামলার এজাহার ও বাদীর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লামাকাটা গ্রামের ১০ ও ১১ বছর বয়সি দুই শিশুকে দ্বীন শিক্ষার জন্য একই এলাকায় লামাকাটা-জঙ্গলবাড়ি একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয় অন্য শিশুদের মতো। মাদ্রাসা শিক্ষক নাজির হোসেন গত বুধবার রাতে প্রথমে ১০ বছর বয়সি শিশু শিক্ষার্থীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলাৎকার করেন। এরপর বিভিন্ন সময় রাতে ওই শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করতে থাকেন। এক পর্যায়ে একই গ্রামের অপর এক ১১ বছর বয়সি শিশু শিক্ষার্থীকে একই কায়দায় শুক্রবার রাতে মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষে ডেকে নিয়ে বলাৎকার করেন। বিষয়টি ওই রাতে শিশু শিক্ষার্থী তার বাবাকে অবগত করেন। এরপর এলাকার লোকজন নিয়ে এসে মাদ্রাসা শিক্ষক নাজিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনাটি ভুল হয়েছে স্বীকার করলে এলাকাবাসী পুলিশকে অবগত করেন।
তাহিরপুর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভিকটিম শিশু শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। এরপর ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে শনিবার সন্ধ্যায় তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

জৈন্তাপুরে ৪ মাস পর কবর থেকে গ্যাস ফিল্ড কর্মকর্তার লাশ উত্তোলন

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি
জৈন্তাপুরে ৪ মাস পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে সিলেট গ্যাস ফিল্ড কর্মকর্তা মইনুল হোসেন আয়ানীর (৫০) লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। রবিবার দুপুর ১২টায় সিলেট জেলা সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করা হয়।
জানা যায়, গত ১৩ জুন রাত ১১টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে জৈন্তাপুর উপজেলার ৬ নম্বর চিকনাগুলের উমনপুরের (গ্যাস ফিল্ড ৮ নম্বর কুপ) সামনে মইনুল হোসেন আয়ানী মারা যান। ময়নাতদন্ত ছাড়াই আয়ানির লাশ পরিবারের সদস্যরা দাফন করে। ঘটনার পরে নিহতের ভাই নজমুল হোসাইন (এমদাদ) বাদী হয়ে ৯ জনের নামে সিলেট জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে ৩ অক্টোবর জৈন্তাপুর মডেল থানা মামলাটি আমলে নিয়ে রেকর্ডভুক্ত করে। সড়ক দুর্ঘটনা নয় একটি সালিশ বৈঠককে কেন্দ্র করে পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিকল্পিত ভাবে মইনুল হোসেন আয়ানিকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগে মামলা ও আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন।
রবিবার দুপুরে জেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে জৈন্তাপুর উপজেলাধীন ৬ নং চিকনাগুল ইউনিয়নের উমনপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলনের পর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি সালিশি বৈঠককে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত হত্যাকাÐের শিকার হয়েছেন আয়ানী। তিনি জৈন্তাপুরের চিকনাগুল ইউনিয়নের উমনপুর গ্রামের মৃত ঈসা মেম্বারের ছেলে। গত জুন মাসে আজাদ খানের বাড়িতে লেচু চুরির ঘটনা ঘটে। লেচু চুরির সালিশে আয়ানি জোরালো ভ‚মিকা রাখেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে আসামী উমর আলী, সোহেল আহমদ ও ইউসুফ আলী। এই পরিকল্পনায় সহযোগিতা করে তিন আসামীর পরিবার। ১৩ জুন রাতে রাস্তায় ডিআই পিকআপ দিয়ে আয়ানীর মোটরসাইকেল গতিরোধ করে লোহার পাইপ/রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে আসামীরা সড়ক দুর্ঘটনার নাটক সাজিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর খবর পেয়ে আয়ানীর পরিবার, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে হত্যাকাÐে ব্যবহৃত ডিআই পিকআপ গাড়িটি ওই রাতেই হরিপুর এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। এই ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

দ্বিতীয় দিনের মতো বাজার মনিটরিংয়ে জৈন্তাপুরে প্রশাসন

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি

জৈন্তাপুরে রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় উপজেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিংয়ের খবরে কমে গেলো শাক সবজির দাম। মনিটরিং চলাকালীন সময়ে উপস্থিত ক্রেতাগণ অভিযোগ করেন প্রশাসনের উপস্থিতি দেখে এখন যে দাম বলছে কিন্তু বাস্তবে দাম ক্রেতাদের থেকে আরো বেশী নেয়া হয় বলে তারা অভিযোগ করেন।
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া, জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত বাজার মনিটরিং করতে আসেন। মনিটরিংয়ে কাঁচাপণ্যের দোকান গুলোতে আজকের বিক্রয় মূল্য জানতে চাইলে বিক্রেতারা লাউ প্রতি পিস ৭০-৭৫ টাকা, স্থানীয় বাগানের বরবটি ৫০-৫৫ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা বিক্রি করছেন বলে জানান। বাজারে উপস্থিত কিছু ক্রেতারা বলেন-প্রশাসনের উপস্থিতি দেখে এখন তারা দাম কমিয়ে বলতেছেন। অনেকে অভিযোগ করেন- তারা লাউ ৯০-১০০ টাকা, বরবটি ৬৫-৭০ টাকা এবং আলু ৬০-৬৫ টাকা করে কিনেছেন।
কাঁচাপণ্যের বিক্রেতাদের নিকট ইউ এন ও রুমাইয়া তাদের ক্রয় রিসিট দেখাতে বললে তারা বলেন বেশীর ভাগ কাঁচাপণ্য সবজী তারা লোকাল কৃষকের নিকট হতে ক্রয় করেন। উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদকে উপজেলার কৃষক পর্যায়ে বিক্রিকৃত সবজীর মূল্যের তথ্য সংগ্রহ করার নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি। সেই সাথে সবজীর দোকানগুলোতে বাধ্যতামুলক প্রতিদিনের পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের দোকানগুলোতে মনিটরিং করেন। সেখানে যে সব বিক্রেতাদের খাদ্য অধিদপ্তর ও কৃষি অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় কাগজ নবায়ন করেন নি, তাদের জরুরী ভিত্তিতে কাগজ নবায়নের নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ দিকে দরবস্ত বাজারের মূল গলিতে চারিকাঠা যাওয়ার প্রবেশ পথে যে সকল দোকানদার এবং তামাবিল মহাসড়কের পাশে অবৈধভাবে জায়গা দখল করে দোকান বসিয়েছেন তাদের আগামী দুইদিনের মধ্যে জায়গা পরিস্কার করার নির্দেশনা প্রদান করেন। অবৈধ স্থাপনা ও রাস্তায় পণ্য সামগ্রী রেখে যারা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন, তাদের সরে যেতে স্থানীয় চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান তিনি।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সহ স্হানীয় বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের মনিটরিং কার্যক্রম নিয়মিত পরিচালিত হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
এ সময় বাজার মনিটরিং কার্যক্রমে আরো উপস্থিত ছিলেন, ৪ নং দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের খাদ্য পরিদর্শক সবিতা দেবী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ, জৈন্তাপুর অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মইনুল মুরসালিন রুহেল সহ প্রশাসেন কর্মকর্তা, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নগরীতে ফুটপাত দখল মুক্ত রাখতে যৌথ বাহিনীর অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার

মহানগরীর ফুটপাত ও রাস্তা দখলমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করেছে যৌথ বাহিনী। রবিবার বিকেল তিন টার দিকে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, মির্জাজাঙ্গাল, চৌহাট্টা ও আম্বরখানায় বিভিন্ন ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে থাকা দোকান ও মালামাল উচ্ছেদ করা হয়। এসময় সেনাবাহিনী, পুলিশ, সিটি কর্পোরেশনের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) রাখি রানী দাশ বলেন, নগরীর ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে রবিবার যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করেছে। সড়ক দখলমুক্ত রাখতে এরকম অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এর আগে ২৪ অক্টোবর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কনফারেন্স র“মে এক সভায় ফুটপাত দখলমুক্ত ও হকার উ”েছদ অভিযানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সভায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিম, সেনাবাহিনী, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, সিলেট হকার ঐক্য পরিষদ, পরিবহন মালিক সমিতি, শ্রমিক সমিতির প্রতিনিধিরা উপ¯ি’ত ছিলেন।
চলতি বছরের ১০ মার্চ হকারদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুর“করে লালদিঘী পাড় এলাকায় হকারদের অস্থায়ী মার্কেট। প্রতিদিন দুপুর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলতে থাকে। প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে চার একর মাঠে মাটি ভরাট, ইটের সলিং, বৈদ্যুতিক ব্যব¯’া করে দেয় সিলেট সিটি কর্পোরেশন। সরকার পতনের পর মেয়রের পদ থেকে অপসারণ হন আনোয়ার“জ্জামান চৌধুরী। অনেকটা স্ববির হয়ে পড়ে নগরভবনের কার্যক্রমও। এমন পরি¯ি’তিতে শহরে হকাররা তাদের নির্ধারিত ¯’ান ছেড়ে ফের রাস্তায় বসে পড়েছেন। এতে তৈরি হ”েছ রাস্তায় দীর্ঘ যানজট। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।

বকেয়া মজুরির দাবিতে সিলেটে চা শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, ২ দিনের আল্টিমেটাম

কাজির বাজার ডেস্ক

বকেয়া মজুরির দাবিতে সিলেট নগরীর আম্বরখানা এলাকায় ওসমানী বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এনটিসির মালিকানাধীন লাক্কাতুরা চা বাগানের শ্রমিকরা। রবিবার দুপুরে প্রায় দুই ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখার গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়।
পরে দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন শ্রমিকরা। দুই দিনের মধ্যে বকেয়া মজুরি প্রদান করা না হলে ফের আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন তারা। তবে আগামী দুদিন আন্দোলন বন্ধ থাকলেও কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে জানান শ্রমিকরা।
জানা যায়, ৬ সপ্তাহ ধরে মজুরি পাচ্ছেন না সরকারের ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) মালিকানাধীন ১৮টি চা বাগানের শ্রমিকরা। মজুরি না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। বকেয়া মজুরির দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকরা। আন্দোলনের কারণে ৭ দিন ধরে অচল হয়ে পড়েছে সরকারি মালিকানাধীন ১৮ চা বাাগান। বন্ধ রয়েছে এসব বাগানের উৎপাদন।
জানা গেছে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ন্যাশনাল টি কোম্পানির তৎকালীন সব পরিচালকরা পদত্যাগ করেন। এতে কোম্পানিতে অচলাবস্থা দেখা দেয়। বন্ধ হয়ে পড়ে কোম্পানীর সব বাগানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও মজুরি। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন বাগান শ্রমিকরা। মাত্র ১৭৮ টাকা দৈনিক মজুরিতে কাজ করা শ্রমিকরা ৬ সপ্তাহ ধরে মজুরি না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
বকেয়া মজুরির দাবিতে গত সপ্তাহ থেকে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছেন এনটিসির মালিকানাধীন বাগানগুলোর শ্রমিকরা। সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে একযোগে আন্দোলন করছেন তারা।
সিলেটে এনটিসির মালিকানাধীন চা বাগানগুলো হলো- লাক্কাতুরা, দলদলি ও কেওয়াছড়া চা বাগান। দেশের ছোট-বড় মিলিয়ে এনটিসির ১৮টি চা বাগান রয়েছে। এসব বাগানে লক্ষাধিক শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। এই সবগুলো বাগানেই বকেয়া মজুরির দাবিতে কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকরা। আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানান, গত দুর্গাপূজার আগ থেকেই তাদের মজুরি ও বোনাসের দাবিতে আন্দোলন চলছে। আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পুজার সময়ে বোনাস প্রদান করলেও দেড় মাসের মজুরি বকেয়া রয়ে গেছে।
সিলেটের দলদলি চা বাগানের শ্রমিক সজিব মুন্ডা বলেন, যে টাকা মজুরি পাই তা দিয়ে সংসারই চলে না। কোনরকমে চালাতে হয়। এরমধ্যে দেড় মাস ধরে মজুরি বন্ধ থাকলে আমরা খেয়ে বাঁচবো কি করে? দোকানে বাকির টাকার অংশ কেবল বড় হচ্ছে। এখন দোকানদারও বাকি দিতে চায় না। ফলে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি।
লাক্কাতুরা বাগানের আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানান, আন্দোলনের শুরুতে প্রথমে তারা সিলেটের জেলা প্রশাসরকর কাছে বকেয়া মজুরির দাবিতে স্মারকলিপি দেন। এরপর জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে প্রত্যেক শ্রমিক পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছিলো। এ ছাড়া এ পর্যন্ত আর কোন সাহায্য পাননি তারা।
রবিবারের বিক্ষোভ কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে দুইদিনের আল্টিমেটাম প্রদান করেন চা শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা। তিনি নিজেও এনটিসির মালিকানাধীন লাক্কাতুরা চা বাগানের শ্রমিক। রাজু গোয়ালা বলেন, আমাদের দেড় মাসের মজুরি বকেয়া পড়ে আছে। মজুরি না পেয়ে লক্ষাধিক শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তিনি বলেন, কে সরকারে আসলো বা গেলো তা নিয়ে চা শ্রমিকদের কিছু আসে যায় না। আমরা কোন রাজনীতিতে নেই। আমরা কেবল আমাদের মজুরি চাই।
এ ব্যাপারে লাক্কাতুরা চা বাগানের ব্যবস্থাপক আক্তার শহিদ বলেন, শ্রমিকদের মতো আমরা নিজেরাও সমস্যায় আছি। আমাদেরও বেতন বন্ধ হয়ে আছে। তবে শুনেছি শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
ন্যাশনাল টি কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার এমদাদুল হক বলেন, কোম্পানীর ম্যানেজমেন্ট পরিবর্তন হয়েছে। সে জন্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কিছুটা সময় লাগছে। আশা করছি, দু-একদিনের মধ্যে চা শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে।

সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন আওয়ামী লীগ নেতাদের রোষানলে পড়ে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার

স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের রোষানলের শিকার হয়ে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ার অভিযোগ করেছেন সিলেট নগরীর লালাদিঘীর পশ্চিম পাড় এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সালাম। রবিবার দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুস সালাম বলেন, গত ৩০ মার্চ সিলেট কোতোয়ালি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার এজাহারে বলা হয় আমি নাকি স্ত্রীকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে তানিয়া নামের একটি মেয়েকে ২২ দিন আটকে রেখে আমার নিজ বাসায় ধর্ষণ করেছি এবং পরবর্তী সময়ে একই এলাকার বাসিন্দা মনাফের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। তিনি বলেন, মামলায় যে ২২ দিন আটক রাখার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেই সময় আমার ছেলের এসএসসি মডেল টেস্ট চলছিল। আমার বাড়িতে ২য় তলা ও নিচে ভাড়াটিয়া রয়েছে এবং আমার ঘরের পাশে আপন বড় ভাইয়ের ঘর রয়েছে। আমি চার সন্তানের জনক। এরকম ঘটনা করে থাকলে অবশ্যই আমার সন্তানদের ও প্রতিবেশীদের নজরে পড়তো।
আব্দুস সালাম বলেন, মূলত এই মামলা অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মামলায় যাকে ভিকটিম দেখানো হয়েছে তার সৎ মা ও বাবা মাটির কাজ করেন সেও বোতল ফ্যাক্টরিতে কাজ করে। তাকে দিয়ে আমাদের এলাকার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতারাই আমাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে এই মামলা করান। ভিকটিম এর পরিবার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বস্তিতে বসবাস করতেন। মামলা করার পর পরই ওই নেতারাই তাদের লালাদিঘীর পাড় ১১ নম্বর ওয়ার্ডে নিজ ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়ে আসেন। নেতাদের উদ্দেশ্য ছিল আমি ও আমার পরিবারকে নিঃস্ব করে দেওয়া।
মিথ্যা অভিযোগে যে মামলা হয়েছে তার প্রমাণাদি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভিকটিম ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর সেখানে একমাস পর রিপোর্ট আসে। রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায় নাই। আমি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য বলি। তদন্ত কর্মকর্তা মেডিকেলের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার একমাস পর আমাকে সাথে নিয়ে ঢাকা সিআইডি অফিসে গিয়ে সেখানে আমার ডিএনএ সংরক্ষণ করা হয়। দীর্ঘ তিনমাস পর ঢাকা সিআইডি থেকে রিপোর্ট আসে আমার সাথে উক্ত ভিকটিমের কোনো যৌন সম্পর্ক প্রমাণিত হয় নাই। এতেই প্রতীয়মান হয় যে আমি নির্দোষ ও ষড়যন্ত্রের শিকার।
আব্দুস সালাম বলেন, মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে রানা নামে তাদের এক আত্মীয় ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। মূলত রানা তাদের আত্মীয় নন, রানা লালাদিঘীর পাড়ের বাসিন্দা। সে ওই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। ভিকটিমের বাবাকে চড়থাপ্পর মেরে ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে লালাদিঘীরপাড়ের আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে নিয়ে যায় এবং তাদের কু-পরামর্শে এ মিথ্যাচার করা হয়। এ বিষয়ে আমার কাছে প্রমাণ রয়েছে।
আব্দুস সালাম বলেন, এই মামলায় আমার ভাতিজা মনাফকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। মনাফ সিলেট সিটি করপোরেশনের ১ম শ্রেণির একজন ঠিকাদার। আমারা মূলত এলাকার আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের চক্রান্তের শিকার।

মহানগর যুবদলের সাজাই-ফরহাদ বহিষ্কার

কাজির বাজার ডেস্ক

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে সিলেট মহানগর যুবদলের দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। কেন্দ্রীয় সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভ‚ইয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন -সিলেট জেলা যুবদলের কোষাধ্যক্ষ মেহেদী হাসান সাজাই ও সিলেট মহানগর যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ আহমদ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে সিলেট জেলা যুবদলের কোষাধ্যক্ষ মেহেদী হাসান সাজাই ও সিলেট মহানগর যুবদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ আহমদকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। বহিস্কার নেতৃবৃন্দের কোন ধরণের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নিবে না। যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুর মোনায়েম মুন্না এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।

তাহিরপুরে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান

তাহিরপুর প্রতিনিধি

তাহিরপুরে কৃতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বৃত্তি দিলো ঢাকাস্থ ‘চিলড্রেন ওয়াচ ফাউন্ডেশন’। রবিবার বেলা ১১টায় তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এর ১২ জন কৃতি শিক্ষার্থীর হাতে বৃত্তির টাকা তুলে দেন অধ্যক্ষ ইয়াহিয়া তালুকদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম, শিক্ষক জুবায়ের আহমদ, সাংবাদিক বাবরুল হাসান বাবলু, শওকত হাসান প্রমুখ।