ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে পল্লীতে পূর্ব বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষে ৩০ ব্যক্তি আহত হয়েছে বলে জাাগেছে। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গনেশপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত সুরুজ আলী (৪৮) নুর আলী (২২) ও এখলাছ আহমদ (৫০)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গনেশপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র ইউপি চেয়ারম্যান এড. সুফি আলম সোহেলের সাথে বাহাদুর পুর গ্রামের নজর উদ্দিনের পুত্র ফরিদ উদ্দিনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার ফরিদ উদ্দিনের গরু জনৈক ব্যক্তির ক্ষেতের ধান খাওয়ার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার প্রার্থী হয় ওই ব্যক্তি। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক-বিতন্ডা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিয়ষয়টি নিষ্পত্তির জন্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ গতকাল শনিবার সালিশ-বৈঠকের ডাক দেন। বৃহস্পতিবার সকালে সালিশ-বৈঠক বসার আগেই উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দু’পক্ষের লোকজন তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে মহিলাসহ উভয় পক্ষের প্রায় ৩০ ব্যক্তি আহত হয়। গুরুতর আহত সুরুজ আলী (৪৮) নুর আলী (২২) ও এখলাছ আহমদ (৫০)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় কালা মিয়া (৪৫), আব্দুল কাদিও (২০), আনেয়ার হোসেন (২৫), আনোয়ার হোসেন (২৮), নৌশা মিয়া (৩২), জামিল আহমদ (১৫), কামিল মাহমুদ (২০), মুহিবুর রহমান (১৮), সাইফুল ইসলাম (৩৫), আইয়ূব (২৩), রাসেল মিয়া(২১), শাহ বুলবুল(২৪), মইন উদ্দিন (২৭), দিলারা বেগম(৪৫), আলী আহমদ(৩৫), সুনু মিয়া (৪২), আনোয়ার হোসেন (৩০), নৌশাদ মিয়া(৪০), আশিক আহমদ (৩৭), সালেহ আহমদ (২৮), জাকির হোসেন (২৬)সহ অন্যান্য আহতদের ছাতক হাসপাতালসহ স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। থানা পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করা হয়।