খালেদা জিয়াকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আত্মসমর্পণ করতে হবে

33

কাজিরবাজার ডেস্ক :
khaleda_91011সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নাইকোসংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
এ সংক্রান্ত রায়ের অনুলিপি (কপি) বিচারিক আদালতে যাওয়ার পর গতকাল সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
তিনি বলেন, বিচারিক আদালতে রায়ের কপি পৌঁছানোর দুই মাসের মধ্যে খালেদা জিয়াকে আত্মসমর্পণ করতে হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়। গত ৮ নভেম্বর আমরা অফিসিয়ালি হাইকোর্টের রায়ের কপি হাতে পেয়েছি। সাধারণত রায়ের কপি বিচারিক আদালতে পাঠানোর পর বাদীপক্ষকে দেয়া হয়। সে অনুযায়ী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই রায়ের কপি বিচারিক আদালতে পৌঁছেছে। তাই খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ি জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই আত্মসমর্পণ করতে হবে।
এদিকে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। তিনি দেশে ফেরার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম বিচারিক আদালতে চলবে বলে গত ১৮ জুন রায় দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি জাফর আহমেদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি বাতিলে আনা খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে দেয়। এ সংক্রান্ত ইতোপূর্বে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেয় আদালত। রায় প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়াকে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দেয়া হয়।
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাটি দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। শুনানি শেষে ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই নাইকো দুর্নীতির মামলার কার্যক্রম দুই মাসের জন্য স্থগিত ও রুল জারি করে আদালত। পরে ওই স্থগিতাদেশের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়।