সাইফুল ইসলাম, শ্রীমঙ্গল থেকে :
প্রয়াত সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর মৌলভীবাজার-৩ (সদর-রাজনগর) আসনের উপ-নির্বাচনে তার স্ত্রী সৈয়দা সায়রা মহসিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পথ সুগম হয়েছে।
গতকাল ১৪ নভেম্বর শনিবার মনোনয়নপত্র যাছাই-বাছাইয়ের দিনে মনোনয়নপত্র জমাদানকারী অপর চারজন প্রার্থীর মনোনয়ন নানা ক্রটির কারণে বাতিল হয়ে যাওয়ায় এই সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
বাতিলকৃত প্রার্থীরা হলেন-বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট (বিএনএফ) জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলার আহ্বায়ক মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন আশরাফ, জাতীয় পার্টি (এরশাদ) প্রার্থী মৌলভীবাজার জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শিক্ষাবিদ মোহাম্মদ খুরশীদ ও সোহেল আহমদ।
ফলে ২২ নভেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী আপিল না করলে সায়রা মহসিনকে নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী রির্টানিং অফিসার নির্বাচিত ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী গত ১৪ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ফলে আসনটি শূন্য হয়। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত উপনির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ১১ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। ওই দিন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন সৈয়দা সায়রা মহসীন। এ দিন আরো চারজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ।
রিটার্নিং অফিসার ও সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এস এম এজারুল হক প্রার্থীদের প্রস্তাবক ও সমর্থক, আইনজীবী এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে মনোনয়ন বাছাই শুরু করেন।
এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দা সায়রা মহসিন ছাড়া অপর ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।
তারা হলেন মোহাম্মদ খুরশীদ (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন (বিএনএফ), সৈয়দ নুরুল হক (জাতীয় পার্টি এরশাদ) ও প্রবাসী সোহেল আহমদ (স্বতন্ত্র)।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজি ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ খুরশীদ ও সোহেল আহমদের সমর্থনে নির্বাচনী আইন মোতাবেক দেওয়া নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের মধ্যে কমিশনের নির্ধারিত ১০ জনের স্বাক্ষর সঠিক পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টি এরশাদ-সমর্থিত প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে বিধান অনুযায়ী চেয়ারম্যান, মহাসচিব অথবা সমমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তির স্বাক্ষরিত মনোনয়নের স্বপক্ষে লিখিত কাগজ পাওয়া যায়নি ।
আর বাংলাদেশ ন্যাশন্যালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) প্রার্থী নিজে ছিলেন অনুপস্থিত।
এ সময় তার প্রস্তাবকারী ও সমর্থকরা উপস্থিত হয়ে হলফনামা দিয়ে বলেছেন তারা কোনো দল করেন না এবং কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রস্তাব বা সমর্থন করেননি। ফলে সরকারি কৌঁসুলীদের উপস্থিতিতে এবং লিখিত মতামতের ভিত্তিতে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।
কমিশন জানায়, ২২ নভেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন । এর আগে কোনো প্রার্থী তাদের মনোনয়ন বহালে কমিশনে আপিল না করলে ওই দিন একমাত্র বৈধ প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে ।