স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর জালালাবাদ আবাসিক এলাকার ছড়া থেকে স্কুল ছাত্রের ক্ষতবিক্ষত লাশ ও সুরমা নদীর কাজিরবাজার এলাকা থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরা হচ্ছে- গোলাপগঞ্জ থানার জালালনগর গ্রামের মৃত আব্দুল মছব্বিরের পুত্র আব্দুল মছব্বির (৬০) এবং সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চরগাঁও গ্রামের সমছুল হকের পুত্র বর্তমানে নগরীর জালালাবাদ আবাসিক এলাকার ৫/১, আনিস ভিলার বাসিন্দা বাবুল মিয়া (১২)। বাবুল দর্শনদেউড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। গতকাল সোমবার সকাল ১১ হতে দুপুর ১ টার মধ্যে এ লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার সকালে জালালাবাদ এলাকায় মালনীছড়া থেকে বাবুল মিয়া (১২) নামের এক ছাত্রের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাবুলের পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ২৬ এপ্রিল বাবুল নিখোঁজ হয়। এরপর এই ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় তার পিতা এয়ারপোর্ট থানায় একটি জিডি করেন। গতকাল সোমবার সকালে জালালাবাদ আব্দুল গফুর স্কুলের পেছনে মালনীছড়ায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে লোকজন পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে জালালাবাদ থানার এসি (সহকারী কমিশনার) শাহীন আহমদ ও ওসি গৌছুল হোসেনের নেতৃত্বে সকাল ১০টায় একদল পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতাল মর্গে লাশ পাঠানো হয়েছে।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন বলেন, সাঁতার না জানার কারণে ছড়ার পানিতে পড়ে ছেলেটি নিখোঁজ হয়েছিল বলে ধারণা করেন। তারপরও সন্দেহ দূর করতে লাশের ময়না তদন্ত করা হচ্ছে।
এদিকে, পুলিশ ও মৃত মছব্বিরের ভাই লিয়াকত আলী জানান, মছব্বির মানিসক রোগী হওয়ার কারণে তিনি প্রায়ই নদীতে ঝাঁপ দিতেন। গত ২৩ এপ্রিল তিনি দুপুরে গোলাপগঞ্জের সুরমা নদীতে ঝাঁপ দেন এরপর থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। গতকাল সোমবার সকাল ১১টার দিকে কাজিরবাজার সেতু এলাকা থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে সিলেট কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদ জানান, লাশ উদ্ধার করা হচ্ছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতাল মর্গে পাঠাবো হয়েছে।