বিয়ানীবাজারে যুবকের আত্মহত্যা, গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

46

বিয়ানীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
বিয়ানীবাজারে এক যুবক গভীর রাতে গাছের সাথে রশি বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা এবং এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নিহত যুবক উপজেলার খশির নামনগর গ্রামের ময়না মিয়ার পুত্র আকমল হোসেন। এ ঘটনায় পিতা ময়না মিয়া বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা (০২/ ২২-০৪-২০১৫) দায়ের করেছেন। ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতে কোন এক সময় ঘটেছে। অন্য দিকে উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের ঢেউনগর এলাকায় দুবাই প্রবাসী ময়নুল হকের স্ত্রী রানু বেগম রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু বরণ করেছে। পুলিশ ও পরিবারের দাবি, রানু কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছেন। রানুর ননদ জাহানারা বেগম বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা (০২/২২-০৪-২০১৫) দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, পারিবারিক একটি বিষয়ে মতানৈক্য থাকায় ক্ষুব্ধ আকমল হোসেন (১৮) মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে বাড়ির পাশে একটি গাছের সাথে রশি বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও রানুর শ্বশুড়বাড়ি সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোরে অজ্ঞাত কারণে গৃহবধূ রানু কীটনাশক পান করেন। বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পেরে তাকে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়ার পর রানু আশংকা মুক্ত হলে তাকে শ্বশুড় বাড়ি ঢেউনগর নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ বিয়ানীবাজার থানার এসআই বেলায়েত হোসেন বলেন, পরকিয়ার জের ধরে রানু আত্মহত্যা করতে পারেন বলে আমরা ধারণা করছি। তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনও পরকীয়ার বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন। তবে অন্য একটি সূত্র জানায়, পরিবারের জ্বালাতন সহ্য করতে না পেরে রানু মৃত্যু বরণ করতে পারে। তবে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে পরিবারের পক্ষ থেকে নানা ভাবে তদবীর শুরু করেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।