স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর মেন্দিবাগ পয়েন্ট, খাদিম বিআইডিসি পয়েন্টে ও হাজীপাড়া এলাকা থেকে ইয়াবাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-পুলিশ। গত বুধবার দুপুরে ও বিকেলে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, ব্রাহ্মনবাড়ীয়ার নাছিরনগর থানার নূরপুর গ্রামের বর্তমানে নগরীর সাদিপুর এলাকার বাসিন্দা মুমিনুল হক (৩২), এয়ারপোর্ট থানার হাজীপাড়া নিলাচল ১১৮ নং বাসা (মোহাম্মদ আলীর কলোনী) মৃত সিরাজ মিয়ার পুত্র মনিরুজ্জামান মুন্না (৩৪), শাহপরান থানার বাহুবল চৌদ্দঘর কলোনীর মো: আবিদ আলীর পুত্র বর্তমানে নগরীর ছড়ারপাড়ের বাসিন্দা আমির হোসেন উরফে মাছুম আহমদ (২৫) ও সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা থানার ঘুঙ্গিয়ারগাঁও গ্রামের মৃত অবনী কুমার রায়ের পুত্র বর্তমানে শহরতলীর খাদিমনগর বাহুবল সিরাজনগরের বাসিন্দা অনিক কুমার রায় (২৪)।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার বিকেল পৌনে ৪টায় মেন্দিবাগ পয়েন্ট এলাকায় এক অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী মুমিনুল হককে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে ৩৯০পিস ইয়াবাও জব্দ করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ হাজীপাড়া এলাকা থেকে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান মুন্নাকে গ্রেফতার করে। এসময় পুলিশ তার কাছ থেকে ১২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত মুন্নাকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন এয়ারপোর্ট থানার ওসি খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির বলেন, পুলিশ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মুন্না নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে ১২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে।
এদিকে, গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জনাব মোঃ এসএম মিজানুর রহমান এবং পুলিশের টহলরত টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহপরান (রহঃ) থানার খাদিমপাড়াস্থ বিআইডিসি পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী আমির হোসেন উরফে মাছুম আহমদ ও অনিক কুমার রায়কে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামীদ্বয় জানায়, জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো সিলেট জেলার জকিগঞ্জ সীমান্তবর্তী এলাকা হতে পাইকারী দরে ক্রয় করিয়া এনে ঘটনাস্থল এলাকা সহ আশপাশ এলাকার মাদক সেবীদের নিকট খুচরা ও পাইকারী দরে বিক্রি করে থাকে। উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।