জাফলং চা বাগান ॥ ৪ দিন শ্রমিক ধর্মঘটের পর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সচল

48

গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
অবশেষে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে চারদিন শ্রমিক ধর্মঘটের পর কর্ম চঞ্চলতা ফিরে পেলো জাফলং চা বাগান। টানা চারদিন শ্রমিক ধর্মঘটের পর উপজেলা প্রশাসনের মধ্যস্ততায় গতকাল সোমবার চা শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দিয়েছে। জাফলং চা বাগান সূত্রে জানা যায় চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটি গত শুক্রবার থেকে বাগানে শ্রমিকদের জন্য এ্যাম্বেুলেন্স বরাদ্দ, সকল শ্রমিকদের জন্য উন্নত মানের( বাস যোগ্য) বসতঘর নির্মাণ, চা বাগানের নদীর তীরবর্তী অংশে বেড়ীবাঁধ নির্মাণ ও বাগান ধ্বংস করে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানিয়ে শ্রমিকরা ধর্মঘট করে আসছিলো। এ নিয়ে মালিক ও শ্রমিক পক্ষের মাঝে একাধিক বৈঠক ও আলোচনা হলেও কোন সমঝোতায় পৌছাতে পারেনি।
বিষয়টি গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম অবগত হওয়ার পর তিনি উদ্যোগ নিয়ে গতকাল সোমবার বিকেলে চা শ্রমিক সংগঠন, মালিক পক্ষ ও চা শ্রমিক কল্যাণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে জাফলং চা বাগানে সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করেন।
বৈঠকে চা শিল্প শ্রমিক কল্যাণ বিভাগের উপ পরিচালক গিয়াস উদ্দিন, গোয়াইনঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন, জাফলং চা বাগান ইজারা গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্র“পের পক্ষ থেকে মোঃ ইব্রাহিম খলিল, জাফলং চা বাগানের ব্যবস্থাপক এস এম একরামুল কবির, চা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালীর সভাপতি রাজু গোয়ালা, জাফলং চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি নিরঞ্জন গোয়ালা, সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ মাহালী, সাবেক সভাপতি সারবেনা মাহালীসহ চা বাগানের সর্বস্তরের শ্রমিক কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জাফলং চা বাগানের ব্যবস্থাপক এস এম একরামুল কবির বলেন একটি রপ্তাণীমূখী শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য ইউএনও মহোদয় যে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এ জন্য চা বাগান কর্তৃপক্ষ তার কাছে কৃতজ্ঞ।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম বলেন ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে এ জন্য চা বাগান কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক সংগঠন উভয় পক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।