সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
প্রায় এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের আস্তমা গ্রামের ভিকটিম লাল মিয়াকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ভিকটিম উদ্ধারে স্থানীয় থানা পুলিশের ব্যর্থতার কারণে বর্তমানে লাল মিয়া অপহরণ মামলাটিকে ডিবি পুলিশের কাছে পুন:তদন্তের জন্য হস্তান্তর করেছেন বিজ্ঞ আদালত। মামলার বিবরণে প্রকাশ, গত বছরের ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত ১১টায় জায়গা জমি নিয়ে মামলা মোকদ্দমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা আস্তমা গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের পুত্র লাল মিয়াকে তার বসতঘর হতে ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পরিবারের লোকজন তার কোন সন্ধান পাননি। এ ঘটনার দায়ে ২৪ এপ্রিল লাল মিয়ার স্ত্রী মনকুশ বিবি বাদিনী হয়ে সুনামগঞ্জের আমল গ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একই গ্রামের মৃত জহুর আলীর পুত্র জিলিক মিয়া, মৃত আখলু মিয়ার পুত্র লিলু মিয়া, লায়েক মিয়া, ছাদিক মিয়া, মৃত আজমান আলীর পুত্র তেরা মিয়া ও তেরা মিয়ার পুত্র ফখরুল ইসলামকে আসামী করে ৫৭/২০১৪নং পিটিশন মামলা দায়ের করেন। বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের ৩৪১/৩৬৪/৫০৬ ধারায় দায়েরকৃত মামলাটিকে আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ২৮ এপ্রিল ১১৮ নং স্মারকে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন বিজ্ঞ বিচারক। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি আল আমিন ভিকটিমকে উদ্ধার, আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ অথবা আটক না করেই মামলাটির প্রতিকূলে ৬/১২/২০১৪ ইং ২২৭৯ ও ২৩/২/২০১৫ইং ৩৩৫নং স্মারকে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে বাদিনী গত ৬ এপ্রিল ৩ জন সাক্ষীর হলফনামাসহ ঐ আদালতে একখানা নারাজী দরখাস্থ দাখিল করলে বিজ্ঞ আদালত আগামী ১২ মের মধ্যে (৩০ দিনের মধ্যে) তদন্তক্রমে অপর একটি প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য ওসি ডিবিকে নির্দেশ দেন। জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ ডিবির ইন্সপেক্টর দুলাল আহমদ বলেন, আমি ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরে মামলাটি তদন্তের ব্যবস্থা করে যথাসময়ে প্রতিবেদন দাখিল করবো। এদিকে অপহৃত লাল মিয়ার স্ত্রী মনকুশ বিবি তার স্বামীকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।