ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে আলোচিত শিশু ইমন অপহরণ ও হত্যাকারী, নোয়ারাই ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী সুয়েবুর রহমান সুজনসহ জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে লাফার্জ কমিউনিটি ওয়েলফেয়ার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও এলাকাবাসী। গতকাল রবিবার সকালে শহরের পশ্চিমবাজার থেকে ইমন হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবী করা প্লে-কার্ডসহ এলাকাবাসীর একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়। ইমন হত্যাকারীদের বিচার ও ফাঁসির দাবীর প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দও তাদের কর্মসূচীতে অংশ নেয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এমরান খান ও উপজেলা প্রকৌশলী সমরেন্দ্র দাস তালুকদার। পরে উপজেলা চত্বরে পালন করা হয় এক বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচী। মানববন্ধন চলাকালে নোয়ারাই ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল আবেদীন আবুলের সভাপতিত্বে ও শিক্ষক কফিল উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন মাষ্টার, ইউপি সদস্য আখলুছ মিয়া, আনোয়ার খান মখন, সমছু মিয়া, নুরুল ইসলাম, ইমনের পিতা জহুর আলী, ইন্তাজ আলী মেম্বার, আব্দুল কাহার মেম্বার, স্থানীয় হাজী সালেহ আহমদ, হাজী বাদশা মিয়া, হাজী সুরুজ আলী, মিজানুর রহমান, লোকমান মিয়া, আব্দুল আহাদ, মোহাম্মদ আলী, হাজী কবির আহমদ, হাজী মোহাম্মদ কাহার, মাও. লুৎফুর রহমান, আজমান আলী, মতিন মিয়া, মর্তুজা তালুকদার, মোস্তফা মিয়া, রাজু তালুকদার, আছাব আলী, মইনূল হক, এম হুসেন আহমদ, আব্দুস ছালাম, শামছুর রহমান সাইদুর রহমান, জমির আলম, জাবেদ আহমদ, আব্দুল কাইয়ূম প্রমুখ। এদিকে এ দাবীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোনায়েম খান, সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুজ্জামান শিলু, শিক্ষক আতিকুল ইসলাম, বশির উদ্দিন, জুলহাস উদ্দিন, বাবুলাল শর্মা, নুরুল আমিন সানুর, আলাউদ্দিন, বঙ্কিম আচার্য্য, জামাল উদ্দিন, মোস্তাক আহমদ, গোবিন্দ মোহন সরকার, ফাতেমা বেগম, শফিকুন নাহার, রাসেন্দ্র মন্ডল, শিপ্রা দাস, হেপী বেগম, শাহনাজ বেগম, জেসমিন সুলতানা, পিংকি দেবসহ নেতৃবৃন্দ। বক্তরা বলেন, লাফার্জ কমিউনিটি ওয়েলফেয়ার স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র মোস্তফিজুর রহমান ইমনকে গত ২৭ মার্চ বিকেলে অপহরণ করে মসজিদের ইমাম জামায়াত নেতা সুয়েবুর রহমান সুজন ও তার সহযোগিরা। পরে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দি অবস্থায় লুকিয়ে রাখে। ইমনের লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের ঘটনায় এলাকায় বিরাজ করছে আতংক। পাশাপাশি গোটা এলাকায় বইছে শোকের মাতম। অভিভাবকরা ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় দ্রুত সময়ে অপহরণ ও হত্যাকান্ডের মূল হোতা ইমাম সুজনসহ তার সহযোগিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে এনে আরো জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জড়িতদের গ্রেফতার, ইমনের লাশ উদ্ধার ও বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দাবী করেছেন।