বৈশাখকে ঘিরে রঙ্গিন সাজে সাজছে নগরী

46

স্টাফ রিপোর্টার :
সামনে সুরমা নদী। নদীর তীরে বসবে বৈশাখি মেলা। মেলাকে ঘিরে ব্যস্ত মৃৎ শিল্পিরা। সিলেটের এমসি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও শ্রীহট্ট সংস্কৃতি কলেজেও চলছে বৈশাখি মেলার প্রস্তুতি। সব মিলিয়ে সিলেট নগরী এবারের রঙিন সাজে পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণ উৎসবের শেষ প্রস্তুতি চলছে।
সরেজমিনে ঘুরে জানা গেল, সুরমা নদীর তীরে স্টল বসানোর জন্য বাঁশ এনে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে এখানে স্টল বরাদ্দ দিয়ে মেলা বসবে। মেলায় অংশ নেবে শতাধিক স্টল।
মেলাকে ঘিরে ব্যস্ত এখানকার মৃৎ শিল্পীরা। আগে থেকেই ৮টি দোকান বসিয়েছেন তারা। দোকানে মাটির রঙিন হাড়ি-পাতিল, কলস, মাটির চুলা, ঘঁটি, মাটির ব্যাংক, বাঁশের তৈরি ছাতা, খুলই, টুকরি, কোলা ও হাতপাখার পসরা সাজানো।
মোহনলাল মিষ্টি মহলের ম্যানেজার এক শ’টি ছোট ছোট কোলা কিনেছেন। পয়লা বৈশাখে তিনি মিষ্টির দোকানটাকে সাজাবেন। তিনি বলেন, বৈশাখে সবার মনে একটা আনন্দ থাকে। দোকানটা সাজিয়ে রেখে ক্রেতাদের মন রাঙাতে চাই।’
মৃৎ শিল্পের ব্যবসায়ী পরিমল জানালেন, তিনি এক লাখ টাকার মাটির জিনিস এনেছেন এবারের বৈশাখি মেলায় বিক্রি করতে। সিলেটের কুলাউড়ার বাটেরাবাজারের কুমারপাড়া থেকে এসব মাটির জিনিস তিনি সংগ্রহ করেছেন।
শারদা হলের মাঠে বসে আপন মনে নিরিবিলি মাটির পাত্রে রঙ তুলির আঁচড়ে আলপনা আঁকছিলেন চিত্রশিল্পী আকাশ। তিনি শুধু পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে মৃৎশিল্পীদের মাটির জিনিসে নানা রঙের আলপনা এঁকে দিচ্ছেন। আকাশের মনটা আকাশের মতোই নীল, ‘আমার পছন্দের রঙ নীল ও সাদা। তাই এখানে মাটির জিনিসে বেশিরভাগই আমি নীল ও সাদা রঙ দিয়ে আঁকছি। যদিও সামান্য টাকা পাবো, তবু বৈশাখের রঙ সবার হাতে পৌঁছে দিতে কিছুটা শখের বসে আঁকছি।’
এদিকে, সিলেট এমসি কলেজে চলছে বর্ষবরণের প্রস্তুতি। ক্যাম্পাসে একটি মঞ্চ বানিয়ে হবে নাচগান। তাই পয়লা বৈশাখ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মনে আনন্দের তরঙ্গ বয়ে চলেছে।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল আহাদ সৈকত বলেন, ক্যাম্পাসে প্রতিবারই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই দিন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিলে আনন্দ করি। বাইরে থেকে সংস্কৃতি তরুণ-তরুণীরা আসেন অনুষ্ঠান উপভোগ করতে।
সিলেটে শাবি ক্যাম্পাসে বড় আয়োজন হয় বর্ষবরণের। এখানে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস সাজান বৈশাখি সাজে। এবারও সেই সাজসজ্জার প্রস্তুতি চলছে। এখানে শিক্ষার্থীদের সংগঠন চোখ ফিল্ম, টুরিস্ট ক্লাব ও শিকড় মিলে মেলার আয়োজন করছে।
চোখ ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি দিপঙ্কর দে বলেন, শাবিতে আমরা কয়েকটি ছাত্র সংগঠন মিলে মেলার আয়োজন করেছি। সে অনুযায়ী স্টল বসানো ও ক্যাম্পাসের রাস্তাগুলোয় আলপনা আঁকার প্রস্তুতি চলছে।’