সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মিথ্যা ও বানোয়াট কল্পকাহিনী সাজিয়ে রাষ্ট্র শ্রক্তিকে ব্যাবহার করে শীর্ষ জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যা করা যেতে পারে, কিন্তু এদেশে ইসলামী আন্দোলনের সাফল্যের সোনালী সম্ভাবনাকে ধ্বংস করা যাবে না। এদেশে ইসলামী আন্দোলনের শিকড় অনেক গভীরে, সুতরাং কোন ষড়যন্ত্রই এর অগ্রযাত্রা বন্ধ করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। ১৯৭১ সালে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। এ বয়সের একজন তরুণের বিরুদ্ধে কথিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ কোনভাবেই বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না। কামারুজ্জামানকে বিচারিক হত্যার জন্য রিভিউ আপিল খারিজ করায় গোটা জাতি বাকরুদ্ধ। দেশপ্রেমিক জনতার স্বত:স্ফূর্ত হরতাল প্রমাণ করেছে কামারুজ্জামানের প্রতি বিচারের নামে চরম অবিচার হয়েছে। জাতি এই রায় কোনভাবে মেনে নিতে পারবে না। অবিলম্বে এই রায় বাতিল করে কামারুজ্জামানসহ নিরপরাধ জামায়াত নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিন।
গতকাল মঙ্গলবার জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদন্ডাদেশের রায় বহাল রেখে রিভিউ আপিল খারিজ করার প্রতিবাদে জামায়াত কেন্দ্র আহূত দেশব্যাপী ৪৮ ঘন্টার হরতালের ১ম দিন হরতাল চলাকালে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পিকেটিং শেষে মিছিল করেছে সিলেট মহানগর জামায়াত। নগরীর নয়াসড়ক এলাকায় অনুষ্ঠিত মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। এয়াড়াও নগরীর নয়াসড়ক, সুবিদ বাজার, রিকাবী বাজার ও শাহপরান গেইট এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াত নেতা রফিকুল ইসলাম, মু. আনোয়ার, নাহির চৌধুরী, ছাত্র শিবির নেতা নজরুল ইসলাম, পারভেজ ও কয়েস প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি