স্টাফ রিপোর্টার :
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর বিরোধকে কেন্দ্র করেই রাহুল খুন হয়েছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। ফুটপাতে বসানো দোকানের চাঁদা তোলার বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষ গ্র“প তাকে ধাওয়া করলে বাঁচার জন্য ছাদ থেকে লাফ দিতে গিয়ে ড্রেনে পড়ে রডে গলায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য ও মাদার ক্লিনিকের ভিডিও ফুটেজে পাওয়া তথ্য নিয়েই তদন্ত এগিয়ে নিচ্ছে কোতোয়ালি থানা পুুলিশের একটি বিশেষ টিম। এদিকে গতকাল সোমবার দুপুরে পুলিশ ময়না তদন্ত শেষে নিহত রাহুলের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই গৌতম কুমার দাস বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা (নং৩/৬-০৪-১৫) দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, গত রবিবার দুপুরে রিকাবীবাজার মাদার কেয়ার পলি ক্লিনিকের পাশের একটি ড্রেন থেকে রাহুলের গলায় ৩ ইঞ্চি ও পায়ের গোড়ালিতে আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করেছিল পুলিশ। রাহুল (৩৬) বরিশাল জেলার পতোয়াখালি থানার তারক চন্দ্র দাসের পুত্র। এ ঘটনায় আটককৃত সুমন ও ইসরককে মাদার কেয়ার ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বিকেল ৪ টার দিকে কবির মিয়া (৩৮) নামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে তার দেওয়া তথ্য মতে খুনিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল হক মাসুম জানান, ক্লিনিক ও ফুটপাতের দোকানিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, শামসুদ্দিন মেডিকেলের গেটের সামনের ফুটপাতের রাস্তায় রাহুলের ৫টি চা দোকান ছিল। ওগুলো থেকে সে টাকা ওঠাতো। এখানে আরেকটি চাঁদাবাজ গ্র“পের সাথে চাঁদা তোলা নিয়ে তার বিরোধ তৈরি হয়। সাক্ষীরা জানিয়েছেন, ঘটনার রাতে রাহুলকে কে বা কারা ধাওয়া করছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সে দৌড়ে কোনো ভবনের ছাদে উঠে যায়। সেখান থেকে লাফ দিয়ে নিচে ড্রেনে পড়ে রডে গলা কেটে মারা যান।