ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকের হাজারো শ্রোতাকে সুরের মূর্ছনায় মাতিয়ে গেলেন প্রখ্যাত কন্ঠ শিল্পী সুবীর নন্দী। ছাতক বহুমুখী মডেল হাইস্কুলের ৭৫ বছর পূর্তিতে হীরক জয়ন্তী ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পুনর্মিলনী উপলক্ষে দু’দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর প্রথম দিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত চলছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে সুবীর নন্দী ছাড়াও ঢাকার অতুল গনী, কনা, সিলেটের সুপ্রিয়া, কৃষ্ণপদ বিশ্বাস ও ঢাকার অন্যতম ব্যান্ড ইনসান্ড সংগীত পরিবেশন করে মুগ্ধ করেছেন উপস্থিত শ্রোতাদের। শ্রোতাদের অনুরোধে সুবীর নন্দী তার গাওয়া বিখ্যাত গানগুলোর মধ্যে ‘দিন যায় কথা থাকে—, হাজার মনের কাছে প্রশ্ন রেখে—-, এক যে ছিল সোনার কন্যা—–, আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি—, ও আমার উড়াল পংক্ষিরে—–, পাখিরে তুই উড়ে গেলে— ও ছাতকের প্রয়াত গীতিকার গিয়াস উদ্দিনের সেই বিখ্যাত গান ‘মরিলে কান্দিস না আমার দায়রে যাদুধন– গান পরিবেশনায় স্রোতারা মুগ্ধ হন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে স্থানীয় শিল্পী আবুল বশর, অভিজিৎ তরফদার সংগীত পরিবেশন করেন। এ সময় চা শ্রমিকদের নিয়ে নাটক দু’টি পাতা একটি কুঁড়ি মঞ্চস্থ করা হয়। গতকাল শনিবার সকালে নবীন-প্রবীণ ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন ইভেন্টে খেলাধূলার মাধ্যমে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচী শুরু হয়। দুপুরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক শামীম আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব মঈনুল হোসেন চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত স্মৃতিচারন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য ফনী ভুষন চৌধুরী। এ সময় স্মৃতিচারণে অংশ নেন প্রাক্তন ছাত্র, ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী, অধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন আহমদ, হাজী আবুল হায়াত, ডাক্তার দিগেন্দ্র কুমার দাস, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার দাস, শিক্ষক অহিভুষন সরকার, প্রাক্তন ছাত্র ও সিসিএফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল নবেন্দু পোদ্দার, শিক্ষক প্রনব কান্তি চৌধুরী, করুনাময় আচার্য্য, অধ্যাপক হরিদাস রায়, অধ্যাপক শামছুল ইসলাম, প্রাক্তন ছাত্র ননী ভুষন চৌধুরী, শিক্ষক আবুল খায়ের, আবুল বশর, জাহাঙ্গীর আজাদ, ওয়াহিদুল হক, গোলাম কিবরিয়া আজাদ, ছাতক প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ হারুন অর-রশীদ, এড. আবুল লেইচ, হাজী মখলিছুর রহমান, প্রবাসী শাহজাহান চৌধুরী, ব্যবসায়ী মহন্ত রায়, গোবিন্দ মোহন দে, সত্য রঞ্জন ঘোষ, মিছবাহ উদ্দিন আহমদ, মঈনুল হোসেন, রবীন্দ্র কুমার দাস, মোমিন চৌধুরী, অহেন্দু ভুষন, মুক্তিযোদ্ধা রবীন্দ্র নাথ মিন্টু, অজয় ঘোষ, শাহাব উদ্দিন, আব্দুল কাইয়ূম, কেতকী রঞ্জন চৌধুরী ভানু, আমির আলী, অহিন্দ্র দাস, রমা রানী দাস, পৌর সভার প্যানেল মেয়র তাপস চৌধুরী, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র রজনু আহমদ, পৌর কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন, ব্যবসায়ী হাজী সাহেদ আলী সরকার, আজিজুর রহমান, মাও. আকিক হোসাইন, মিরাজ উদ্দিন, মোহাম্মদ সামসুদ্দিন, মকবুল আলী বার্নার, আব্দুল কাদির, লাল মিয়া, সুকান্ত চক্রবর্তী, কৃষ্ণ দাস রায়, নিপেন্দ্র এস, দিলিপ চৌধুরী, বাবুল পাল, অমিয় সরকার বাবুল, নিখিল রঞ্জন রায়, তাজিজুর রহমান তাজির, মোহাম্মদ আবুল কালাম, সাংবাদিক বিজয় রায়, অসিত কুমার দাস, রুহুল আজম মাসুদ, ছালিক মিয়া চৌধুরী রুকন, চম্পু দত্ত, গৌতম ঘোষ, বাবুল মিয়া, জাহেদ আহমদ, জয়নাল আবেদীন মহি, এম এ রহিম, হাসান মাহমুদ তোফায়েল, অধ্যাপক ফখর উদ্দিন আহমদ স্বপন, বেলাল আহমদ, নুরুল হক, সাবেক নেত্রী শিখা রানী দে, বেবী চৌধুরী, লায়লা চৌধুরী সুমি, জ্যোতিকা চৌধুরী, আজমল হোসেন সজল, আফিক আলী, সামছুর রহমান বাবুল, শাহিন চৌধুরী, আব্দুল বারী চপল, আহমেদ শাখাওয়াত চৌধুরী সেলিম, মোস্তাফিজুর রহমান খালেদ, ব্যাংকার এনাম আহমদ চৌধুরী, শামছুল আলম নাদিম, ডাঃ আব্দুস শহিদ, পংকজ চৌধুরী, ফজলে রাব্বী জনি, সুব্রত দেবনাথ, ফজলুল হক, মোহাম্মদ আলী, জমির হোসেন তালুকদার, মকবুল চৌধুরী, ময়নুল চেীধুরী, মানিক মিয়া লিটু, স্বপন পাল, কোহিন চৌধুরী, জিয়াদুল হক, তমাল কান্তি দত্ত, মাসুদ রানা, নিলোৎফল রায়, ইয়াকুব আলী, সঞ্জয় দত্ত, ফয়জুল রহমান পাবেল, জামায়েল আহমদ ফরহাদ প্রমুখ। সন্ধ্যায় টিভি অভিনেতা সাজু খাদেমের উপস্থাপনায় ও প্রখ্যাত কণ্ঠ শিল্পী কুমার বিশ্বজিতের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সংগীতা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।