স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর মিরের ময়দানে বাথরুমে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধে মা ও মেয়ে মারা গেছেন। গত শুক্রবার রাতে বাথরুমের ভেতরে মিথেন গ্যাস থেকে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে তারা গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মনোয়ারা বেগম (৪৫) ও তার মেয়ে সৈয়দা জাহিদা সুলতানা (২০) মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। অগ্নিকান্ডে তাদের শরীর প্রায় ৬০ ভাগ পুড়ে যায়। নিহত মনোয়ারা বেগম ওসমানী নগর উপজেলার মঙ্গলপুর গ্রামের মরহুম সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিকের স্ত্রী। জাহিদা সিলেট নগরীর মঈন উদ্দিন আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের অনার্সের ছাত্রী।
জানা যায়, গত শুক্রবার রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে মিরের ময়দান অর্ণব ৭ নম্বর বাসার ভাড়াটে মনোয়ারা বেগমের কন্যা জাহিদা বিদ্যুৎ না থাকায় মোমবাতি নিয়ে বাথরুমে যান। বাথরুমের কমোডের ঢাকনা তোলা মাত্রই হাতের মোমবাতি থেকে বাথরুমে আগুন ধরে যায় ও সজোরে শব্দ হয়। আগুনের হাত থেকে জাহিদাকে রক্ষা করতে গিয়ে মনোয়ারা ও তার ছেলে জহির হোসেন আহত হন। তাদেরকে দ্রুত ওসমানী হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওসমানী হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স দিপালী জানান, মনোয়ারা বেগম ও তার মেয়ে জাহিদার শরীরের প্রায় ৬০ ভাগ পুড়ে যায়। অবস্থা খারাপ হওয়ায় শুক্রবার রাতেই তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, বাসার ভেতর মানুষের চিৎকার ও আগুন দেখে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসকেও খবর দেওয়া হয়। সিলেট ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার জাবেদ হোসেন তারেক জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। সেপটি ট্যাঙ্কের গ্যাস থেকে বাসার বাথরুমের কমোডের ভেতর থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ঘটনার সময় বিদ্যুৎ না থাকায় মোমবাতি জ্বালিয়ে বাথরুমে যান জাহিদা। ওই সময় কমোডের ঢালা তুলতেই আগুন ধরে যায়। অগ্নিকান্ডে বাসার আসবাবপত্র ও মালামাল পুড়ে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।