পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভার নির্বাচন শুরু ২৭ মার্চ, ফলাফল ২ মে

8

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বাংলাদেশের লাগোয়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৭ মার্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন শুরু হবে। মোট আট দফায় এ রাজ্যের ২৯৪ আসনে ভোট হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ২ মে।
শুক্রবার দুপুরে ভারতের কেন্দ্রীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা এই তফসিল ঘোষণা করেন।
একই দিন আরও চারটি রাজ্যে ভোটের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রশাসিত পুদুচেরিতে ভোট হবে এক দফায় ৬ এপ্রিল। একই দিন কেরলে ও তামিলনাড়ুতে ভোট হবে। আসামে ভোট হবে তিন দফায়, শুরু ৬ এপ্রিল থেকে।
পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফায় ভোট ২৭ মার্চ (৩০ আসন), দ্বিতীয় দফায় ভোট ১ এপ্রিল (৩০ আসন), তৃতীয় দফায় ভোট ৬ এপ্রিল (৩১ আসন), চতুর্থ দফায় ভোট ১০ এপ্রিল (৪৪ আসন), পঞ্চম দফায় ভোট ১৭ এপ্রিল (৪৫ আসন), ষষ্ঠ দফায় ভোট ২২ এপ্রিল (৪৩ আসন), সপ্তম দফায় ভোট ২৬ এপ্রিল (৩৬ আসন) ও অষ্টম দফায় ভোট ২৯ এপ্রিল (৩৫ আসন)।
মহামারি করোনার কথা মাথায় রেখে একগুচ্ছ ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। ভোটগ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করার সময় প্রার্থীসহ পাঁচজন যেতে পারবেন। পথসভার ক্ষেত্রে পাঁচটির বেশি গাড়ি থাকবে না। প্রার্থীরা অনলাইন ফর্ম ভরতে পারবেন। যদি প্রার্থী নিজে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে চান, তা হলে তার সঙ্গে দুজনের বেশি সঙ্গী থাকতে পারবেন না।
নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা সব কর্মীকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। বুথের সংখ্যা ৩৪ শতাংশ বাড়ানো হবে। ৮০ বছর বা তার বেশি বয়সীরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন।
পশ্চিমবঙ্গে দুই মেয়াদে ক্ষমতায় আছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এবার কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা বিজেপি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে এই রাজ্যটিকে। কেন্দ্রীয় নেতারা নিয়মিত আসছেন পশ্চিমবঙ্গে। তারা যেকোনো মূল্যে রাজ্যটি দখলে নিতে চায়। এবারের নির্বাচনে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কংগ্রেস ও বাম জোটও ঐক্যবদ্ধভাবে ভোটের মাঠে নিজেদের অস্তিত্ব ধরে রাখার প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে সবচেয়ে যাতায়াত ও আদান-প্রদান বেশি পশ্চিমবঙ্গের। তাছাড়া ভাষা ও সংস্কৃতির মধ্যে রয়েছে বিশেষ মিল। এই রাজ্যের রাজনীতিতে বাংলাদেশ ইস্যু বরাবরই একটি ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। এজন্য বাংলাদেশের কাছেও এই রাজ্যের নির্বাচনটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।