স্টাফ রিপোর্টার :
সদর উপজেলার শিবের বাজারের হাটখোলা গ্রামের শুটকি ব্যবসায়ী আতাউর রহমান শাহজাহানকে খুনের ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, জালাবাবদ থানার উত্তর হাটখোলা গ্রামের মৃত রিফাত উল্লাহর স্ত্রী জরিনা বেগম (৪৫), একই এলাকার আব্দুজ জহিরের ছেলে বাদাই মিয়া (৩২) একই এলাকার আব্দুন নূরের ছেলে সাইদুর রহমান (২৪ ) ও একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে দিলদার হোসেন (৩০) অভিযানকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা একটি দ্যা ও দুটি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করেছে। যা দিয়ে ব্যবসায়ী আতাউর রহমান শাহজাহানকে খুন করা হয়। আটককৃতরা পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জরিনা বেগম স্বামীর কাছ থেকে তালাকপ্রাপ্ত হওয়ার পর এক প্রতিবন্ধী ছেলে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন। তার ঘরে বাদাই মিয়া ও সাইদুর রহমান নিয়মিত আসা-যাওয়া করতো। শুক্রবার রাতে জরিনার ঘরে ব্যবসায়ী আতাউর রহমান শাহজাহানকে তারা দেখে ক্ষিপ্ত হয়। এনিয়ে প্রথমে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে জরিনাসহ বাদাই মিয়া ও সাইদুর রহমান দা ও বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে খুন করে। পরে লাশটি পুকুরের পাড়ে চাপা দিতে গেলে লোকজনের শব্দ পেয়ে তারা লাশ ফেলে আসে। সকালে সবাই পালিয়ে যায় বিভিন্ন স্থানে। পুলিশ তদন্ত করে রবিবার সকালে প্রথমে অভিযান চালায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কাঁঠালবাড়ি এলাকায়। এক পর্যায়ে সেখান থেকে জালালাবাদ থানার ওসি তদন্ত আখতার হোসেন বিকেলে আটক করেন বাদাই মিয়াকে। পরে একে একে আটক করা হয় জরিনা বেগম ও সাইদুর রহমানকে। আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনের ঘটনাটি তারা এরকম বর্ণনা দেয় পুলিশের কাছে।
এদিকে নিহত ব্যবসায়ী শাহজাহানের ছোটভাই কবীর আহমদ বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। যার নং ১২। তারিখ-২১/৩/১৫।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত অফিসার্স তরিকুল ইসলাম জানান, খুনের ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকৃতরা প্রাথমিক ভাবে স্বীকারোক্তি দিলেও আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
নিহত শুটকি ব্যবসায়ী আতাউর রহমান শাহজাহানের ছোট ভাই কবির আহমদ জানান, আমরা পুলিশকে সহযোগিতা করে আসামীদেরকে আটক করেছি। এখন যাতে তারা আইনের ফাঁক দিয়ে বের আসতে না পারে, এ ব্যাপারে সর্বমহলের সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।