উছমান চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার ঘটনা ॥ বিএনপি-জামায়াতের ১৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

47

স্টাফ রিপোর্টার :
বিএনপি’র চলমান হরতাল-অবরোধে নাশকতায় বাঁধা দেয়ায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ৩ নং তেতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উছমান আলীর ভানেশ্বরপুরের বাড়িতে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা হামলা ভাংচুর লুটপাটের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উছমান আলী চেয়ারম্যান বিএনপি-জামায়াতের ৯ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জনকে আসামী করে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১৩। মামলার আসামীরা হচ্ছে- দক্ষিণ সুরমা থানার ভানেশ্বরপুর গ্রামের মৃত বসারত আলীর পুত্র আব্দুল মুমিন ছইল মিয়া (৪৭), তার ভাই মোঃ সুয়াই মিয়া (৫০), একই এলাকার মৃত ফিরোজের পুত্র সনোয়ার আলী (৩০), দিদারুল ইসলাম দিদার (২৮), আব্দুল মুমিন ছইল মিয়ার পুত্র রুহুল আমিন (৩০) তার ভাই নুরুল আমিন (২২), মকসুদ আমীন (২০), মোঃ সুয়াই মিয়ার পুত্র সুহেল আহমদ (২২) ও তার ভাই সুমন আহমদ (২০)।
মামলা সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, আসামীরা ২০ দলীয় জোট কর্তৃক হরতাল-অবরোধ চলাকালে দক্ষিণ সুরমা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন ধরণের নাশকাতামূলক কর্মকান্ড ও ধংসাত্মক কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা করে। এতে উছমান আলী চেয়ারম্যান তাদেরকে বাধা দিলে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং তাকে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি সাধন করার জন্য পাঁয়তারা চালিয়ে আসছিল। এর জের ধরে সন্ত্রাসীরা গত বুধবার রাত ১০ টার দিকে হঠাৎ দক্ষিণ সুরমা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল মমিন ছইল মিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের ১৫/২০ জন নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে  সঞ্জিত হয়ে তার বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায়। পরে তারা বসতঘরে প্রবেশ করে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকার এলসিডি টিভি, চেয়ার-টেবিল, সোফা ভাংচুর ও আলমীরা থেকে নগদ সোয়া ২ লাখ টাকা লুটপাট নিয়ে যায়। এতে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয় এ সময় গ্রামবাসী হামলাকারীদের প্রতিরোধ করলে এক পর্যায়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ সময় হামলাকারীদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে চেয়ারম্যান ওছমান আলীর ভাই আঙ্গুর মিয়া, চাচাত ভাই হাসানুল রহমান শিশু ও ভাইর স্ত্রী বকুলি বেগম নামের ৩ জন আহত হন।
খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সহ এক দল পুলিশ ওই দিন রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।