অস্ট্রেলিয়া- পাকিস্তান ৩য় কোয়ার্টার ফাইনাল

57

im_58596স্পোর্টস ডেস্ক :
ইমরান খান হয়তো একটু বেশীই স্বপ্নবিলাসী। বলেছেন,‘ কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলে বিশ্বকাপ পাকিস্তানের। ১৯৯২তে সেমিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর বিশ্বকাপ জিতেছিল ইমরান খানের পাকিস্তান। কিন্তু সেই দল আর মিসবাহ বাহিনী কি এক হলো? সেবারের সুখস্মৃতি থেকেই হয়তো আবেগে কথাটা বলেছেন এই লিজেন্ড। কিন্তু বাস্তবতা  কী বলছে?
অস্ট্রেলিয়াকে হারানো এবং পরের দুটো ম্যাচ জয়। সেটা হলে যে ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিস্ময়টা সৃষ্টি করে ফেলবে এই নড়বড়ে পাকিস্তান।
প্রথম দুই ম্যাচে হেরে কোয়ার্টার ফাইনালই তো তাদের অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। মিসবাহর ব্যাটিং এবং ওহাব রিয়াজের বোলিংয়ে কোনমতো পরের ম্যাচগুলোতে ঘুড়ে দাঁড়ায় পাকিস্তান। হলেও, এই পাকিস্তানের পক্ষে কি ছন্দে থাকা অস্ট্রেলিয়াকে হারানো সম্ভব? তাও আবার অ্যাডিলেডের মতো গতির উইকেটে। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা প্রস্তুত তো?
যতোই নড়বড়ে অবস্থা হোক, দলের নামটা যেহেতু পাকিস্তান, তাই একটু বেশীই যেন সতর্ক অস্ট্রেলিয়া। ২০০৭ সালে পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। তখনকার অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহর বিশেষ পরামর্শও নিয়েছেন ক্লার্করা।
অ্যাডিলেডের উইকেট সাধারণত পেস সহায়ক। সেটাকে আরও ফাস্ট বাউন্সি করার সবরকম প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এ ম্যাচে ফাস্ট বোলারা তাই আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের চাওয়া ছিল, উইকেটে বেশী ঘাস থাকুক। বেশ কয়েকদিন ধরেই উইকেটও ঢাকা রয়েছে। তারমানে গতির সঙ্গে থাকবে দারুণ সুয়িং। মিচেল স্টার্ক, জনসন ঝড়ে পাকিস্তানকে যে বিধ্বস্ত করচে চায় অজিরা।
বিগ ম্যান ইরফানকে ইনজুরির কারণে ফিরে যেতে না হলে অবশ্য গতির ঝড় ভালোই চালিয়ে যেত পারত পাকিস্তান। দারূণ ছন্দে থাকা ওয়াব রিয়াজের সঙ্গে তাই দায়িত্ব নিতে হবে সোহেল খানকে।
বিশ্বকাপে এ দু’লের মধ্যে পরিসংখ্যান অবশ্য হাড্ডাহাড্ডি। আট ম্যাচের চারটি করে জিতেছে উভয় দল। মানে জয়-পরাজয়ের পাল্লা সমান।
পরিসংখ্যান যাই বলুক। অ্যাডিলেডে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে অস্ট্রেলিয়া। ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক আগুনে ফর্মে। ৫ ম্যাচে মাত্র ৮.৫০ গড় ১৬ উইকেট নিয়ে সবার উপরে আছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ছাড়া ব্যাটিংও বেশ ভালো হয়েছে অজিদের। সব মিলিয়ে অজিদেরই এগিয়ে রাখছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। বলেছেন,‘ আমিও মানছি তারা ভেভারিট। কিন্তু সবসময় ফেভারিটরাই ম্যাচ জিতে না। ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। ভালো খেললে আমরাও জিততে পারি। আমি আশাবাদি।’
ব্যাটিংয়ে এক মিসবাহ ছাড়া আর কারোর ধারাবাহিকতা নেই। তবে পাকিস্তানের পেস আক্রমণ নিয়ে বেশ আশাবাদী মিসবাহ বলেন,‘ আমাদের এমন একটা বোলিং লাইন আছে যেটা যে কোনো দলকেই অল আউট করে দিতে পারে।’
দুর্দিন পাকিস্তান ক্রিকেটের। তারপরে সমীহ করছেন অজি অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। বললেন,‘  ওয়ানডে ক্রিকেটে ওরা গত ক’য়েক বছর ধরেই আন্ডারডগ। কিন্তু মনে রাখতে হবে তাদের দলে ভালো কিছু বোলার আছে।’