ওসমানীনগরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের দু’মাস পর এক আসামি গ্রেফতার

10

ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
সিলেটের ওসমানীনগরের তাজপুর ডিগ্রি কলেজের দুই শিক্ষার্থী সিনিয়নর জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়েরের দুইমাস পর এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনার সাথে জরিত থাকার অভিযোগে তাজপুর ইউনিয়নের সুরতপুর গ্রামের কাপ্তান আলমের পুত্র শাহ সালমান (২৩)কে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে থানা কম্পাউন্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ জুন ওসমানীনগর থানার এস আই স্বাধীন চন্দ্র তালুকদার বাদি হয়ে ৩জনের নাম উল্যেখসহ ২ থেকে ৩শজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, গত ৯ জুন দুপুুরে তাজপুর ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাসে এইচ এসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্র্থী তারেক মিয়া ও একই কলেজের এইচ এসসি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী কবির মিয়ার মধ্যে সিনিয়ন জুনিয়র দ্বন্দ্বের জের ধরে ছাত্রলীগদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্র্ষের ঘটনা ঘটে। পরে দুপুর দুইটার দিকে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাজপুর বাজারে সংঘর্র্ষে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষটি এলাকাভিত্তিক ছড়িয়ে পড়লে তারেক আহমদের পক্ষে কাদিপুর গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক লোকজন ও কবির আহমেদের পক্ষে দিগর গয়াসপুরসহ কাশিপাড়া গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্র্ষে ৩ পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিচার্জের মাধ্যমে সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। পরে বিকাল ৪ টার দিকে আরেক দফায় প্রায় ঘন্টা ব্যাপি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্র্ষে চলাকালে কয়েকটি যানবাহনও ভাংচুর করা হয়। এ সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) এস এম মাইন উদ্দিন বলেন, ঘটনাকালীন একাধিক স্থিরচিত্র, ভিডিওসহ বিভিন্ন প্রমাণাদি সংগ্রহ করে শাহ সালমান সংঘর্ষের ঘটনার সাথে জরিত থাকার প্রমান পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রেফতারকৃতকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে।