ওসমানীনগরে চেগুয়ার খালে ড্রেন নির্মাণে অনিয়ম ॥ এলাকাবাসীর প্রতিবাদে কাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান

67

ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরের পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের মোক্তার পুর হাওরে বোরো ফসল আবাদের লক্ষ্যে  চেগুয়ার খাল এলাকায় বিএডিসির অর্থায়নে ড্রেন নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ড্রেন নির্মাণ কাজের একাংশ শেষ না হতেই নির্মাণ কাজে বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়ায় প্রতিবাদমুখি হয়ে উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের প্রতিবাদের কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখে গা ডাকা দিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও। অবশেষে বিএডিসির সিলেটের সহকারী প্রকৌশলী রুবায়েত ফয়সাল আল মাসুম নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে অনিয়মের সত্যতা পেয়ে ফাটলকৃত অংশ ভেঙ্গে পুনঃরায় নির্মাণ কাজ করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিএডিসির অর্থায়নে উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ও সাদিপুর ইউনিয়নের একাংশ প্রায় ১৫টি গ্রামের কৃষকরা ১৯৭৪ সাল থেকে মাটির ড্রেনে মাধ্যমে পানি সেচের  হাওর এলাকায় বোরো আবাদ করে আসছিল। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে ঐ এলাকায় পাকা ড্রেন নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী সহযোগিতায় ও বিএডিসির অর্থায়নে ৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চেগুয়ার খালে ড্রেন নির্মাণের কাজ প্রায় কুমিল্লার আদনান এন্টারপ্রাইজ। কাজ পাওয়ার পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পরিচালক গুলজার আহমদ এলাকার দালাল শ্রেণীর  আদমপুর ও চান পুর গ্রামের জিলু মিয়া ও আজিজ মিয়ার মাধ্যমে ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কাজ শুরু পর এলাকাবাসীর বুকে আশার সঞ্চার হলেও কাজের একাংশ শেষ না হতেই একাধিক স্থানে ফাটল দেখা দিলে এলাকাবাসী প্রতিবাদী হয়ে উঠলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আজিজ ও জিলু গা ডাকা দিয়ে কাজ বন্ধ করে রেখেছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউ/পি সদস্য এখলাছুর রহমান, চানপুর গ্রামের কামাল উদ্দিন, আবু জায়েদ চৌধুরীসহ অনেকেই জানান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যাদের প্রতিনিধি করে কাজ করাচ্ছে তারা এলাকার চিহ্নিত দালাল। এর পূর্বে ওরা দুই লক্ষা পঁচিশ হাজার টাকার কাজ এনে অধিকাংশ টাকা আত্মসাৎ করে নিয়েছে। এখন এলাকার বাসীর প্রাণের দাবি ড্রেন নির্মাণ কাজে অনিয়ম করে যাচ্ছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি জিলু মিয়া বলেন, আমাদের কি দোষ আমরা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছি মাত্র। যা জানার বিএডিসির সকারী প্রকৌশলি মাছুম’র কাছ থেকে জানেন।
আদনান এন্টারপ্রাইজের পরিচালক গুলজার হোসেন বাবু বলেন,কাজের অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেন ইঞ্জিনিয়ার স্যার পরিদর্শন করেছেন। তিনি যেভাবে বলে গেছেন পরবর্তী কাজ সেভাবেই হবে।
বিএডিসির সিলেটের সহকারী প্রকৌশলী রুবায়েত ফয়সাল আল মাসুম এলাকাবাসী অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে কাজে অনিয়মের সত্যতা পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন ফাটলকৃত অংশ রিপিয়ারিং করে পরবর্তী কাজ শুরু করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্দেশ দিয়ে এসেছি।