সৌমেন কুমার
অদম্য ক্ষুধায় কামনার বহ্নি জ্বেলে চোখে
বিলাস বাসনা আর আদিম উল্লাসে
দাঁড়িয়ে সে হাসে কাঁশফুল দাঁতে প্রান্তসীমায় !
আমার মন বলাকাকাশে আস্ফালনের শ্বাস ওড়ে !
বেদনার নীল পাপড়ির প্রাচীর চৌচির হয়ে
বিনষ্ট কামনার ঢেউয়ে যৌবন অবকাঠামো
বিধ্বস্ত হয় এক টুকরো গোলাপী হাসির
কৌণিক উচ্ছ্বাসে আর প্রলুব্ধ দৃষ্টির
অহর্নিশ ইশারায়, মোহময় হাতছানিতে !
মগজের সূক্ষ্ম ছিদ্রে ওরূপ রক্তচোষা
কিলবিলে কীট হয়ে প্রবেশ করে সুতীব্র দংশনে
রক্তাক্ত করে মরু করে তোলে উজ্জীবন জীবনকে !
পারি না তীব্র রূপ পান থেকে নিজেকে গুটাতে !
প্রাগৈতিহাসিক বিধ্বস্ত প্রাসাদ থেকে
দৃষ্টি উড়ে যায় খেয়ালী মেয়েটির
মৃন্ময় প্রাঙ্গণের ঝুল বারান্দার দ্যুতিতে
তার রূপ ভেলকিতে নাচি সেও খুশী !
অন্ধ ঈশ্বর আমার উন্মাদনায় খুশী বৈকি !