বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ২০ দলীয় জোটের মুখপাত্র সালাউদ্দিন আহমদকে জনতার মাঝে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবী জানিয়ে সিলেট মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, মঙ্গলবার রাতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন কে রাজধানীর উত্তরা থেকে আটক করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নাটকীয় অস্বীকারের ঘটনায় তার পরিবার ও গোটা জাতি আজ উদ্বিগ্ন। বিএনপির চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোটের নেত্রী গত দুই মাসের অধিক সময় ধরে গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ। গুলশান কার্যালয়ের সামনে লোক ভাড়া করে এনেও আওয়ামীলীগ যখন কর্মসূচি দিতে পারছে না তখন যেসব বিএনপি নেতা গণতান্ত্রিক কর্মসূচি ঘোষণা করছেন তাদেরকে কাপুরুষের মত রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে কয়েকদিন পরে গ্রেফতার দেখানো বর্তমান সরকারের একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ বিরোধী মতের অসংখ্য সিনিয়র নেতাকে ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত অবৈধ সরকারের সেবাদাস আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ধরে নিয়ে নির্যাতন করে পরবর্তীতে আদালতে হাজির করছে। আবার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী, কমিশনার চৌধুরী আলমের মত অসংখ্য বিরোধী দলীয় নেতার আজ অবধি কোনো খোঁজই পাওয়া যায় নাই। তাদের পরিবার এখনো জানে না তারা কোথায় কি অবস্থায় রয়েছেন। আর কাল্পনিক বন্দুক যুদ্ধের গল্প বানিয়ে ক্রসফায়ারের নামে অগণিত নেতা কর্মীকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।
বিবৃতি দাতা গণ হলেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আহবায়ক কমিটির সদস্য এম এ হক, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহবায়ক কমিটির সদস্য নাসিম হোসাইন, আহবায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক মকসুদ আলী, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহবায়ক কমিটির সদস্য হাজী আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী, আহবায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট নোমান মাহমুদ, হুমায়ুন কবির শাহীন, আজমল বক্ত সাদেক, রেজাউল হাসান কয়েছ লোদী, মিফতা সিদ্দিকী, কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম, মঈন উদ্দিন সুহেল, এমদাদ হোসেন চৌধুরী, ডাঃ মোঃ নাজমুল ইসলাম, ফয়জুর রহমান জাহেদ, আহাদুস সামাদ, ওমর আশরাফ ইমন, হাদীয়া চৌধুরী মুন্নী, কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, কাউন্সিলর মিছবাহ উদ্দিন, এম এ রহিম, মুফতি বদরুনূর সায়েক, রেজাউল করিম আলো, মুফতি নেহাল উদ্দিন, মুকুল মুর্শেদ, আলাউদ্দিন, আব্দুস সত্তার, আব্দুল জব্বার তুতু। বিজ্ঞপ্তি