তামাক কোম্পানীর কৌশলী বিজ্ঞাপন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম। এজন্য জনসচেতনতার পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সিলেট জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘তামাকের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধকরণ: মিডিয়া ও সুশীল সমাজের করণীয়’ শীর্ষক বিভাগীয় কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল সোমবার সকালে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালার সহযোগিতায় ছিল এনভায়রনমেন্ট কাউন্সিল (ইসি) বাংলাদেশ ও সীমান্তিক।
এন্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলাইন্স (আত্মা) এর নির্বাহী সদস্য সাংবাদিক শাহ সুহেল আহমদ ও সীমান্তিকের প্রজেক্ট অফিসার শেফালী বেগমের যৌথ সঞ্চালনায় শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সীমান্তিক তামাকমুক্ত সিলেট প্রকল্পের সমন্বয়ক মো. মাছুম বিল্লাহ চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসি বাংলাদেশের প্রকল্প সমন্বয়ক মুহাম্মদ এমদাদুল হক ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ.জেড.এম নুরুল হক, দৈনিক উত্তরপূর্বের সহকারী বার্তা সম্পাদক নেহার রঞ্জন পুরকায়স্থ, দৈনিক সবুজ সিলেটের ভারপ্রাপ্ত বার্তা সম্পাদক ছামির মাহমুদ, মৌলভীবাজারের সাপ্তাহিক পূর্বদিকের সম্পাদক মুজাহিদ আহমদ, সুনামগঞ্জের আইনজীবী জিয়াউর রহমান প্রিন্স, সিলেট ক্যাবল সিস্টেম এর ম্যানেজার রিপন কুমার সিংহ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর সিলেট প্রতিনিধি শুয়াইবুল ইসলাম, দৈনিক জালালাবাদ এর স্টাফ রিপোর্টার আবু বকর সিদ্দীক, দৈনিক সিলেটের ডাক এর সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি শাহজাহান চৌধুরী, বালাগঞ্জ বার্তার সম্পাদক শাহাব উদ্দিন শাহীন, সীমান্তিকের মিডিয়া অফিসার মুরাদ বক্স, এডভোকেসী অফিসার মিজানুর রহমান, সুনামগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর কলি তালুকদার, সিলেটের ব্যবসায়ী মনসুর আহমদ, সুনামগঞ্জের ব্যবসায়ী সাজ্জাদুর রহমান, নজরুল ইসলাম, সুলেমান মিয়া, মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ী শাহীন আহমদ, হবিগঞ্জের ব্যবসায়ী বাহাউদ্দিন সেলিম প্রমুখ।
তামাক কোম্পানীর অবৈধ বিজ্ঞাপন প্রচারণার বিভিন্ন কৌশল তুলে ধরে বক্তারা বলেন, তামাক কোম্পানীগুলো সময় সময় রূপ বদলায়। তারা সহজ-সরল ব্যবসায়ীদের ভুল বুঝিয়ে বিজ্ঞাপন চালিয়ে যাচ্ছে। এসব বন্ধ করতে প্রশাসনকে জোর ভূমিকা রাখতে হবে। পাশাপাশি মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন বিরোধী প্রতিবেদনের সংখ্যাও বাড়ানোর গুরুত্বারোপ করেন তারা। বিজ্ঞপ্তি