হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জে ৮ মাস ধরে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের হবিগঞ্জের ১৪০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রমে স্থবিরতার পাশাপাশি মানবেতর জীবন যাপন করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, গত বছরের জুন মাসে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের ৩য় পর্যায় শেষ হয়। ওই সময় মন্ত্রণালয়ের একটি আদেশের মাধ্যমে সকল জেলার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী হবিগঞ্জে জেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে ১৩৫টি শিক্ষাকেন্দ্রে পাঠদান অব্যাহত রাখা হয়। নতুন শিক্ষাবর্ষে সকল বিদ্যালয়ে নতুন বই বিতরণ করা হলেও মন্দিরভিত্তিক শিক্ষাকেন্দ্রগুলোতে এখনও কোন বই বিতরণ করা হয়নি। দেয়া হয়নি কোন শিক্ষা উপকরণও। তাছাড়া ৮ মাস ধরে বেতন বন্ধ থাকায় শিক্ষকরাও উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন। এদিকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একমাত্র প্রকল্পের এমন বেহাল দশায় হতাশ স্থানীয় হিন্দু নেতৃবৃন্দ।
জেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, ডিসেম্বর মাসে একনেকে প্রকল্পের ৪র্থ পর্যায় অনুমোদিত হলেও অদ্যাবধি জেলা কার্যালয়ে কোন অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়নি। ফলে কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া বরাদ্দ না থাকায় শিক্ষা উপকরণ ক্রয় বা সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। এতে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান ও দাপ্তরিক কার্যক্রম।
সহকারী পরিচালক মো. আকরাম হোসেন জানান, ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৪র্থ পর্যায় অনুমোদিত হয়েছে। অর্থছাড়সহ অন্যান্য বিষয়াদি অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করি শীঘ্রই এসব সমস্যার সমাধান হবে।
জেলা হিন্দু মহাজোট আহবায়ক এডভোকেট ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন বলেন, আশা করি সরকার অবিলম্বে মন্দিরভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের স্বার্থ রক্ষায় আন্তরিকতার পরিচয় দেবেন। কিছুদিন পরপর এভাবে বেতন বন্ধ করে পাঠদান প্রক্রিয়া ব্যাহত করা হচ্ছে। এটি কোন ভাবেই কাম্য নয়।