স্পোর্টস ডেস্ক :
ভারতের দেয়া ৩০১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে মোহাম্মদ সামির বলে ধোনির হাতে ধরা পড়েন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ইউনুস খান। পরে ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নেন শেহজাদ-হ্যারিস সোহেল। ৬৮ রানের জুটি গড়ে দলকে শক্ত ভিত গড়ার দিকে এগিয়ে দেন তারা।
কিন্তু শেহজাদ আউট হতেই পরপর আরো তিন ব্যাটসম্যান বিদায় নেন। উমেশ যাদবের বলে জাদেজার ক্যাচে পরিণত হন এই ব্যাটসম্যান। এরপর হ্যারিস ফিরেছেন ৩৬ রানের মাথায়। মাকসুদ আর উমর আকমল রানের খাতাই খুলতে পারেননি। মাকসুদকেও ফেরান যাদব। আর আকমলকে জাদেজা।
পরে আফ্রিদিকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক। কিন্তু ব্যক্তিগত ২২ রানে শামির বলে কোহলির হাতে ক্যাচ হয়ে ফেরেন আফ্রিদি।
এরপর মাঠে আসেন ওহাব রিয়াজ। তিনিও শামির একই ওভারে উইকেটরক্ষক ধোনির হাতে ধরা পড়েন ব্যক্তিগত ৪ রানে। পরে ইয়াসির শাহকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন মিসবাহ।
কিন্তু মোহিত শর্মার বলে উমেশ যাদবের হাতে ক্যাচ হয়ে ব্যক্তিগত ১৩ রানে সাজঘরে ফেরেন ইয়াসির শাহ। এরপর মিসবাহ ফেরেন ব্যক্তিগত ৭৬ রানে। সামির বলে রাহানের হাতে ক্যাচ হন তিনি। পরে ৪৭তম ওভারের শেষ বলে মোহিত শর্মার বলে উমেশ যাদবের হাতে ব্যক্তিগত ৭ রানে তালুবন্দী হন সোহেল খান। এ সময় স্কোরবোর্ডে পাকিস্তানের রান সংখ্যা ছিল ২২৪। এটিই ছিল পাকিস্তানের শেষ উইকেট। ফলে ৭৬ রানের জয় নিশ্চিত হয় ভারতের।
এর আগে টস জিতে ম্যাচের গোড়াপত্তন করতে নামেন শেখর ধাওয়ান এবং রোহিত শর্মা। দুজনে সতর্ক শুরু করলেও ৩৪ রানের মাথায় ধাওয়ানকে রেখে ফিরে যান রোহিত। সোহেল খানের শর্ট বাউন্সারে পুল করতে যেয়ে মিসবাহর হাতে ধরে পড়েন তিনি। তবে কোহলি এবং ধাওয়ান দলকে এগিয়ে যেতে থাকেন সমান্তরালভাবে।
এই দুজনের অর্ধশতক পাকিস্তানের চিন্তার ভাঁজ কিছুটা চওড়া করে। অবশেষে ২৯তম ওভারের শেষ বলে রান আউটের কবলে বিচ্ছিন্ন হয় তাদের ১২৯ রানের জুটি। ধাওয়ান ৭৬ বলে করেন ৭৩ রান।
ধাওয়ান ফিরে গেলে রায়নাকে নিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করেন কোহলি। সেই যাত্রায় ব্যাট দিয়ে দুজনে দলের ঝুলিতে তোলেন ১১০ রান।
এরপর ধোনি এবং রায়নাও পাকিস্তানের বোলারদের অস্বস্তিতে রাখেন। সোহেল খানের বলে হ্যারিস সোহেলের ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে তিনি করেন ৭৪ রান। ৫৬ বলের ৭৪ রানের এই ইনিংসটি রায়না সাজান ৫টি চার আর ৩টি ছয় দিয়ে।
রায়না ফিরে যাওয়ার পর ডেথ ওভারে বিপদ নামে ভারত শিবিরে। পরপর তিন বলে ফিরে যান ধোনিসহ তিন ব্যাটসম্যান।
৪৭ তম ওভারে দ্রুত রান তোলার আশায় ভারত মাঠে নামায় জাদেজাকে। ৫ বল খেলে ৪৮তম ওভারের শেষ বলে ওয়াহেব রিয়াজের বলে ক্লিন বোল্ড হন তিনি। ঠিক পরের বলে অর্থাৎ শেষ ওভারে প্রথম বলে পাকিস্তান কাপ্তানের হাতে ধরা পড়েন ভারত কাপ্তান। ধোনির আউটটা অনেকটা রোহিতের মতো। সোহেল খানের শর্ট বাউন্সারে পুল করতে যেয়ে বোকা বনে যান তিনি। পরের বলে সোহেল শিকার করেন রাহানেকে।
এরপর স্কোরটা তিন শতাধিকে নিয়ে যেতে পারেননি ভারতীয়রা। ঠিক ৩০০ রানের মাথায় শেষ হয় ভারতীয়দের ব্যাটিং-যাত্রা।
সোহেল খান ১০ ওভার বলে করে নিয়েছেন ৫ উইকেট। খরচ করেছেন ৩১ রান। আরেকটি উইকেট নিয়েছেন ওয়াহেব রিয়াজ।