স্টাফ রিপোর্টার : নগরীর চৌকিদেখী এলাকায় ফুটবল খেলার বুট জুতা ও ৫০ টাকার বিনিময়ে গাড়ীতে ককটেল নিক্ষেপ করতে চেয়েছিলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এভাবে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানার শশীদল মোঃ আয়ুব আলীর পুত্র বর্তমানে বালুচর সি ব্লকের ১১০ নং বাসার বাসিন্দা ১০ শ্রেণীর ছাত্র কিশোর মাসুম মিয়া (১৭) সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ নং আমলী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান কালে এ কথা বলেছে। আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সায়েদুল করিম তার এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করেন। এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ চৌকিদেখী নাভানা সিএনজি পাম্পের সামন থেকে গাড়ীতে ককটেল ছুড়ে মারার সময় কিশোর মাসুম মিয়াকে গ্রেফতার করে। তখন মাসুমের সহযোগী দুলাল (৪০) ও তাহমিদ (১৭) পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত ২টি লাল কসটেপ পেচানো ককটেল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানার এএসআই সুজিদ দেবনাথ বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। নং- ১০ (১১-০২-১৫)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ মোঃ ইয়াছিন ধৃত মাসুকের জবানবন্দীর বরাত দিয়ে জানান, দুলাল মাসুককে ফুটবলের বুট জুতা ও ৫০ টাকা দেয়ার কথা বলে তার হাতে একটি ককটেল ও তাহমিদের হাতে আরেকটি ককটেল দেয়। পরে দুলাল তাদেরকে নিয়ে চৌকিদেখী নাভানা পাম্পের সামনে আসে। তখন দুলাল ও তাহমিদ গাড়ীতে ককটেল ছুড়ে মেরে বিস্ফোরণ ঘটালে মাসুম ভয়ে তার হাতে থাকা ককটেলটি গাড়ীতে ছুঁড়ে না মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এ সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। তিনি জানান, মাসুমকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় দুলাল ফুটবল খেলার বুট ও ৫০ টাকা দিবে এবং গাড়ীতে ককটেল মারার জন্য তাকে বাসা থেকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে। গতকাল মাসুম ১৬৪ ধারায় আদালতে ঘটনার বিবরণ দিয়ে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। বিকেলে পুলিশ মাসুম মিয়া কিশোর হওয়ায় তাকে টঙ্গি নিরাপদ হেফাজতে পাঠানো হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।