সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের বড়ছড়া, চারাগাঁও এবং বাগলী শুল্ক বন্দর টানা ৯ মাস বন্ধ থাকার পর ফের অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে ৩টি শুল্কবন্দর চালু হল। বড়ছড়া, চারাগাও এবং বাগলী বন্দর দিয়ে মঙ্গলবার সকালে আমদানি কার্যক্রম শুররু হয়েছে। প্রথম দিনে ৬০০ টন কয়লা খালাসের জন্য বন্দরে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। এক বিশেষ নির্দেশনায়পূর্বের আমদানির জন্য এলসিকৃত কয়লা বাংলাদেশে রফতানি করার জন্য বিশেষ অনুমোদন দেওয়া হয়। এজন্য তিন মাসের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এ মধ্যে ২ মাস ২৮ দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে। মঙ্গল ও বুধবার হচ্ছে ঘোষিত সময়ের শেষ দুই দিন। তবে এই দুই দিন পরে বন্দর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বন্দর দিয়ে প্রতি মাসে দশ কোটি টাকার পণ্য আমদানি হয় বলে বন্দর সূত্রে জানা গেছে।
সকাল পৌনে ১১টা থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ট্রাক ভর্তি কয়লা প্রবেশ করে। ফলে দীর্ঘদিন পরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে ৮ শতাধিক আমদানীকারক ও অর্ধ লক্ষাধিক শ্রমিক পরিবারে।
এ বিষয়ে বড়ছড়া শুল্ক বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মাহিদুল ইসলাম জানান, ছয়শত টন কয়লা আমদানি করার এলসি আমাদের হাতে পৌঁছেছে। কয়লা খালাস হতে যে কয়দিন প্রয়োজন হবে ততদিন বন্দর খোলা থাকবে। নতুন করে এলসির কাগজ না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না কত দিন বন্দর খোলা থাকবে।
উল্লেখ্য, ভারতের একটি পরিবেশবাদী সংগঠন মেঘালয় পাহাড়ের কোয়ারি থেকে কয়লা উত্তোলন প্রক্রিয়ার পরিবর্তনের দাবিতে উচ্চ আদালতে মামলা করে। ফলে গত বছরের ১৬ মে থেকে আমদানি কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ে। ১৫ ফেব্র“য়ারি আদালতে বিষয়টি শুনানরি জন্য তারিখ ধার্য করা আছে।