ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
বালাগঞ্জের এক শিক্ষিকা বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষার কেন্দ্রে ডিউটি পালন না করে উপস্থিত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে সম্মানী ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে হাসামপুর গ্রামের রুহেল মিয়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা যায়, বালাগঞ্জ আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা ফেরদৌসী বেগম বালাগঞ্জ নির্বাহী বিবিধ ১৪৫/১৪ নং মামলায় গত ২৭ নভেম্বর সিলেট নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের ধার্যের তারিখ অনুযায়ী আদালতে সকাল ১১টায় শিক্ষিকা বাদি পক্ষের হাজিরা প্রদান করেন। অপর দিকে কে.এ জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষায় কেন্দ্রে বেলা ১১টা থেকে ১টা ৩০মিনিট পর্যন্ত কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেছেন মর্মে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে সম্মানী ভাতা উত্তোলন করেছেন ঐ শিক্ষিকা।
অভিযোগকারী রুহেল মিয়া জানান, সিলেট শহর থেকে সমাপনী পরীক্ষার কেন্দ্র বালাগঞ্জের কে.এ জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৩৫ কি:মি:। তিনি সকাল ১১টায় আদালতে গিয়ে সাড়ে ১১টার দিকে ম্যাজিষ্ট্রেটের সামনে হাজির হন। এবার একই সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রও ডিউটি পালন করেছেন বলে কক্ষ পরিদর্শকের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছেন।
শিক্ষিকা ফেরদৌসী বেগম বলেন, ২৭ নভেম্বর আমি সকাল সাড়ে ৯টায় আদালত থেকে পরবর্তী তারিখের সময় নিয়ে যথা সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে ডিউটি পালন করেছি। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ হযরত আলী অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।