ষোলকলা পূর্ণ করেছে

52

নেছার আহমদ নেছার

প্রচন্ড রৌদ্রে প্রজ্বলিত চারিপাশ
খা-খা করছে হাওরের বুকে
সোনালী ফসলের মাঠ;
ফসলের ক্ষেতে প্রচন্ড ঘাস-

যেন মনে হয় ধানের গাছগুলি
মিশে একাকার হয়ে গেছে,
তাই ব্যতিব্যস্ত কৃষক অলি
প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে-যত দ্রুত সরানো

যায় ঘাসগুলি, প্রায় দশদিন
ঘাসের সাথে চলছে তার যুদ্ধ।
দুপুর গড়িয়ে যাচ্ছে-একমাত্র মেয়েটি
এখনও এলোনা খাবার নিয়ে;

কিছুটা ক্ষোভ সৃষ্টি হলো তার
ধানের ক্ষেতের ভিতরে হামাগুড়ি দিয়ে
ছুটে আসা মেয়েটির বাবা-বাবা
ডাক শুনলো অলি-

ক্ষুধার্ত পেটের জ্বালা নিবারণ হবে;
মেয়েকে হালকা ধমক দিল- কেন এতো দেরী
আমার ক্ষুধার কষ্ট একটুও বুঝনা তুমি?
চোখের জলে মাথাটি নিচু করে মেয়ে বললো-‘বাবা’

আমি যে স্কুলে গিয়েছিলাম, স্যারকে বলে
তোমার কষ্টের কথা ভেবে চলে এসেছি
এ-কষ্ট তো তোমার আমাদের জন্যে;
মেয়েটিকে বাবা জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন।

মেয়েটি একদিন লেখাপড়ায় অনেক বড় হলো;
সরকারী বড় চাকুরে হলো-বাবার কত আনন্দ
এখন আর ক্ষেতে কাজ করেন না অলি,
মেয়েটি তার আকাক্সক্ষার ষোলকলা পূর্ণ করেছে।