কালেক্টরেট মসজিদ সংলগ্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

33

DSC_0681স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর বন্দরবাজারের কালেক্টরেট মসজিদ সংলগ্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। পত্রিকা শেডের নামে হকাররা অবৈধ স্থাপনা ব্যবহার করে আসছিল। মৌখিক নির্দেশনার পরও হকাররা সরে না যাওয়ায় গতকাল বৃস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা প্রশাসনের এনডিসি মোঃ মোবাশ্বের হাসানের নেতৃত্বে ২০টি স্থাপনা থেকে হকারদের উচ্ছেদ করে শেডটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
জানা গেছে, বন্দরবাজারস্থ কালেক্টরেট জামে মসজিদ সংলগ্ন জেলা প্রশাসনের জায়গায় পত্রিকা শেড স্থাপন করে দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরণের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল হকাররা। কিন্তু পত্রিকা শেড নির্মাণ এবং ব্যবহারে জেলা প্রশাসনের কোন অনুমতি নেয়া হয়নি। ২০০৬ সালে তৎকালীন সিসিক কাউন্সিলর, নগর উন্নয়ন সভাপতি ও সদ্য বহিষ্কৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এই পত্রিকা শেড নির্মাণে সহায়তা করেন। শেডে হকারদের জন্য ২০টি স্থাপনা তৈরি করা হয়। শুধুমাত্র পত্রিকা বিক্রির কথা থাকলেও হকাররা বেশি ভাড়ায় কাপড় ব্যবসায়ীদের শেডটি ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অননুমোদিত এই শেডটি ছেড়ে দিতে বলা হলেও দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে তা ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। মৌখিক নির্দেশ দেয়ার পরও হকাররা সরে না যাওয়ায় গতকাল সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের অভিযানে হকারদের উচ্ছেদ করে শেডটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। এনডিসি মোঃ মোবাশ্বের হাসানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানের আগে হকাররা তাদের মালামাল সরিয়ে নেন।
পত্রিকা শেড উচ্ছেদের বিষয়ে হকার্স নেতা বেলাল আহমদ জানান, ২০০৬ সালের ১৫ জানুয়ারি তৎকালীন সিলেট নগর উন্নয়ন সভাপতি আরিফুল হক চৌধুরীর সহায়তায় শেডটি নির্মাণ করা হয়। শেড নির্মাণে জেলা প্রশাসনের অনুমতি নেয়া হয়নি। এখানে শুধু পত্রিকা বিক্রির কথা থাকলেও, কিছুদিন পর বেশী ভাড়ায় কাপড়ের ব্যবসাও চালু হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন আগেই শেডটি ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছিল।
সিলেট জেলা প্রশাসনের এনডিসি মোঃ মোবাশ্বের জানান, শেডটি উচ্ছেদের পূর্বে মানবিক কারণে মালামাল সরিয়ে নিতে হকারদের সময় দেয়া হয়েছিল। তিনি আরো জানান, প্রশাসনিক নির্দেশেই শেডটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। তবে হকারদের পুনর্বাসনে পরিকল্পনার বিষয়ে তার জানা নেই।