বড়লেখায় আওয়ামীলীগ-বিএনপি সংঘর্ষে পৌর মেয়রসহ আহত ১০

21

বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌর শহরে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ ও স্থানীয় বিএনপি অফিস ভাংচুর এবং অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পৌর মেয়রসহ কমপক্ষে বিএনপির ১০জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। সংষর্ষে আহত নুরুল ইসলাম নামের এক যুবদলকর্মীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় থাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে বড়লেখা পৌর শহরের স্থানীয় বিএনপি কার্যালয় থেকে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে মিছিল বের করতে গেলে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশের একজন এসআই সহ কয়েকজন আহত হলে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। পুলিশের লাঠিচার্জে উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান খসরু, পৌর মেয়র ও উপজেলা যুবদলের সভাপতি ফখরুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুব মহিলা দল নেত্রী রাহেনা বেগম হাসনাসহ কমপক্ষে ৯জন বিএনপি নেতা-কর্মী আহত ও পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ-বিএনপির সংঘর্ষের সময় যুবদল কর্মী নূরুল ইসলামকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করা হয়। এরপরই বিএনপি অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। অগ্নি সংযোগের খবর পেয়ে ফায়ার ব্রিগেড ঘটনাস্থলে আসার আগেই পুলিশ আগুন নিভিয়ে ফেলে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাফিজ ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান খসরু জানান, তারা দুপুরে গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করতে গেলে পুলিশ তাদের উপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করে এবং পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের অফিস ভাংচুরসহ অগ্নিসংযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার উদ্দিন বলেন, ৫ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সভা চলাকালীন সময়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর হামলা চালায় এবং ছাত্রলীগের জনসভা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ জনতাকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের শহর থেকে বিতাড়িত করে।
পৌর শহরে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। শহরের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।