আল-হেলাল, সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জে আওয়ামীলীগ ও ২০ দলীয় জোটের সংঘর্ষে ওসি সাংবাদিকসহ ৩৫ জন আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় সদর থানার প্রবেশদ্বারে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকাল ১১টায় শহরের কাজিরপয়েন্ট এলাকায় জেলা বিএনপির আহবায়ক নাছির উদ্দিন চৌধুরী ও পুরাতন বাস ষ্টেশন এলাকায় জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা কালোপতাকা, বাঁশের লাঠি ও ইটপাটকেল সহকারে অবস্থান নিয়ে মিছিল বের করে। মিছিলটি কিছু দূর এগিয়ে যেতে না যেতেই পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। অন্যদিকে শহরের রমিজ বিপনীস্থ আওয়ামীলীগ কার্যালয় থেকে জেলা কৃষক লীগের সভাপতি সুবির তালুকদার বাপ্টুর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে কাজির পয়েন্ট অভিমুখে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ ঐ মিছিলটিও আটকিয়ে দেয়। এ সময় পুলিশের বাধা অতিক্রম করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান ফরহাদ এর নেতৃত্বে কতিপয় নেতাকর্মী এগিয়ে গেলে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছোড়া ইটপাটকেলে গুরুতর আহত হন ফরহাদ। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে সদর থানার ওসি মোল্লা মকবুল হোসেন ও বিডিনিউজ টুয়েন্টি ফৌর ডটকমের প্রতিনিধি জেলা যুবলীগ নেতা মাহমুদুর রহমান তারেক ও যুবদলের কর্মী আব্বাছসহ ১০ জন আহত হন। অন্যদিকে পুরাতন বাস স্ট্যান্ড থেকে ছাত্রদল আহবায়ক নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে বিএনপির অপর মিছিলটি ট্রাফিক পয়েন্ট এর দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ কাদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশের ছোড়া গুলিতে ছাত্রদল আহবায়ক নুরুল ইসলাম নুরুল, ছাত্রদল কর্মী মহিম, মমিনুল হক কালারচান, দুলু ও রাজুসহ আরো ২৫ জন গুলিবিদ্ধ হন। উত্তেজিত নেতাকর্মীদের ছোড়া ইট পাটকেল ও বোতল নিক্ষেপের ফলে ব্যাপকভাবে ভাংচুর করা হয় উত্তরা ব্যাংক ও কালিবাড়ি পয়েন্টের সংখ্যালঘুদের কয়েকটি দোকান। সংঘর্ষের সময় বকপয়েন্ট এলাকায় দুটি সিএনজি অটোরিক্সা ভাংচুর করে ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। পর পর ৩ দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘষের্র ঘটনায় সারা শহরময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রধান প্রধান সড়কের নিকট থাকা দোকানপাট বন্ধ থাকে। জেলা পুলিশ সুপার হারুন-অর রশিদ জানান, সোমবার সকাল পর্যন্ত নাশকতার আশঙ্কায় জামায়াত বিএনপির ৩৫ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ ও র্যাবের টহল ব্যবস্থা রাত পর্যন্ত জোরদার করা হয়েছে। এদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সেক্রেটারী ফরহাদ ও ছাত্রদল নেতা গুলিবিদ্ধ মহিমকে সিলেটস্থ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।