মিলাদে মোস্তফা (সা:)

286

শাহ মোঃ ইমাদ উদ্দিন নাসিরী

সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ পাকের দরবারে যিনি দয়া করে, মেহেরবাণী করে আমাদেরকে তাঁর হাবীব (সাঃ) এর উম্মত হিসেবে এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। অসংখ্য দুরুদ ও সালাম প্রেরণ করছি তাজদারে মদীনা নূরে মোজাচ্ছাম সরকারে দু’আলম হুজুরে পাক (সাঃ) এর উপরে। যাকে সৃষ্টি না করলে মহান আল্লাহ পাক কোন কিছু সৃষ্টি করতেন না বলে উল্লেখ করেছেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক হাদীসে কুদসীতে এরশাদ করেছেন ‘লাওলাকা লামা খালাকতুল আফলাক।’ অর্থ হে হাবীব (সাঃ) আমি যদি আপনাকে সৃষ্টি করতাম না তাহলে কোন কিছুই সৃষ্টি করতাম না। সে জন্য মহান আল্লাহ পাক এ সৃষ্টি জগতে যত নবী ও রাসূল (সাঃ) পাঠিয়েছেন তাদেরকে রূহের জগতে তাঁর প্রিয় হাবীব (সাঃ) সম্পর্কে অঙ্গিকার নিয়েছিলেন। এমনিভাবে আমি আপনাদেরকে কিতাব হিকমত দান করবো, অতঃপর আপনাদের নিকট আমার প্রিয়তম হাবীব (সাঃ) যখন পৃথিবীতে আগমন করবেন, আগমন করে আপনাদের প্রতি নাযিলকৃত বিষয় সমূহকে সত্য প্রতিপাদন করবেন, তখন আপনাদের দায়িত্ব হলো আপনারা তাঁকে পেলে তাঁর প্রতি ঈমান আনিবেন এবং তাঁর খেদমত করবেন। এরপর আল্লাহপাক বলেন আপনারা আমার এ অঙ্গিকার স্বীকার করে নিলেন, তারা বললেন আমরা স্বীকার করে নিলাম। আল্লাহপাক বললেন আপনারা সাক্ষী থাকুন আমিও সাক্ষী রইলাম। (সূরা আল এমরান আয়াত নং-৮১) এ আয়াতে কারীমায় আল্লাহপাক তাঁর হাবীব (সাঃ) এর পৃথিবীতে আগমনের বিষয়টি বর্ণনা করেছেন এবং সেই সাথে সমস্ত নবী-রাসূল (সাঃ) গণের উপর তার শ্রেষ্ঠত্ব ও বর্ণনা করেছেন। মহানবী (সাঃ) এর পৃথিবীতে আগমন হচ্ছে সমগ্র সৃষ্টির জন্য রহমত। মহান আল্লাহপাক এ সম্পর্কে এরশাদ করেন, হে আমার হাবীব (সাঃ) আমি আপনাকে সমগ্র সৃষ্টি জগতের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছি (সূরাঃ আম্বিয়া আয়াত নং-১০৭)। আর রহমত প্রাপ্তি খুশী আনন্দ প্রকাশ করা আল্লাহ পাকের নির্দেশ। বলা হয়েছে হে আমার হাবীব (সাঃ) আপনি বলে দিন আমার ফজল ও রহমত লাভ করার কারণে তারা যেন খুশি আনন্দ প্রকাশ করে, (সূরাঃ ইউনুস আয়াত নং-৫৮)। উক্ত আয়াতে কারিমাদ্বয়ের প্রকাশ্য নিদর্শন হচ্ছে ৫৭০ ঈসায়ী ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার দিন। এ মহান পবিত্র দিনে শান্তি ও মুক্তির বার্তা নিয়ে সর্বকালের মানুষের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করেন মহানবী (সাঃ)। যার আগমনের মধ্যদিয়ে অন্ধকার আচ্ছন্ন পৃথিবী ভরে উঠল আলোর রৌশনীতে, পৃথিবীর বিভ্রান্ত পথভ্রষ্ট মানুষগুলো পেল সত্যের সন্ধান মুক্তির পথ। এই তাৎপর্যমন্ডিত দিনটি হচ্ছে মানব জাতির নিকট স্মরণীয় ও বরণীয় দিন। বিশেষ করে মুসলমানদের নিকট মহিমান্বিত গৌরবাম্বিত কাক্সিক্ষত প্রিয় দিন। এ দিনটি প্রকৃত মুসলমানদের নিকট ঈমানী মূল্যবোধ ও আধ্যাত্মিক চেতনার দিন। এটি এমন একটি গৌরবময় দিন যে দিনের বদৌলতে আমরা ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, শবে বরাত, শবে ক্বদর তথা ইসলামী জীবন ধারায় প্রতিটি আনন্দ ও উৎসবের দিন লাভে ধন্য হয়েছি। এ পবিত্র দিনটি মহানবী (সাঃ) এর শুভাগমনের খুশী নিয়ে যদি পার্থিব জগতে সমাগত না হতো তবে পবিত্র কাবা শরীফ হতো না, ক্বোরআন শরীফ অবতীর্ণ হতো না, দ্বীন ইসলাম হতো না এমনকি কোন মুমিন মুসলমানদের অস্তিত্বও হতো অকল্পনীয়। যে পবিত্র দিনে পবিত্র মহানবী (সাঃ) পৃথিবীতে শুভাগমন সে মহিমান্বিত দিনতে উপলক্ষ করে খুশী আনন্দ প্রকাশ করা শরিয়তে কোন বাধা নিষেধ করেনি বরং খুশি আনন্দ প্রকাশ করার কথা বলা হয়েছে। পবিত্র কোরআনপাকে নবী রাসূল (সাঃ) এর আগমনের দিন খুশী প্রকাশ করা সম্পর্কে বলা হয়েছে, “তাঁর প্রতি সালাম (রহমত, বরকত ও সাকিনা) যে দিন তিনি আগমন করেন এবং যে দিন তিনি বিদায় নিবেন এবং যে দিন তিনি পুনরুত্থিত হবেন। (সূরাঃ মরিয়ম আয়াত নং-১৫)। সালাম আমার প্রতি যে দিন আমি আগমন করেছি, যে দিন বিদায় নেবো ও যে দিন পুনরুত্থিত হবো, (সূরা মরিয়ম আয়াত নং- ৩৩)। বর্ণিত আয়াতে কারিমাদ্বয়ে হযরত ইয়াহইয়া (আঃ) ও হযরত ঈসা (আঃ) এর আগমন, বিদায় ও পুনরুত্থান প্রত্যেকটাই সালাম, রহমত ও বরকত সাকিনার কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়ীন রাহমাতুল্লিল আলামীন মহানবী (সাঃ), যাকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ পাক কিছুই সৃষ্টি করতেন না, তাঁর আগমন বিদায় ও পুররুত্থান যে কতটুকু ছালাত সালাম রহমত বরকত ও সাকিনার কারণ তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। মহানবী (সাঃ) নিজেও নিজের আগমন দিনকে স্মরণ করে গুরুত্ব দিয়েছেন মূল্যায়ন করেছেন। তিনি নিজেও নিজের আগমন দিনের উপর খুশি হয়ে নিজের আকিকা নিজেই দিয়েছেন এবং মহানবী (সাঃ) এরশাদ করেছেন তোমরা সোমবার দিন রোযা রাখ। কারণ ঐ দিন আমার জন্ম হয়েছে (মুসলিম শরীফ), এমন কি মহানবী (সাঃ) এর প্রিয়তম অনুসারী সাহাবায়ে কেরামগণ তার আগমনের দিনকে স্মরণ করে পবিত্র মিলাদ শরীফ আয়োজন করতেন বলে বিভিন্ন হাদীস শরীফে বর্ণিত রয়েছে। যেমন একটি হাদীস শরীফ বর্ণিত আছে যে, একদিন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) পাড়া প্রতিবেশীদেরকে দাওয়াত করে আনলেন তার ঘরে। অতঃপর তিনি মহানবী (সাঃ) এর জন্ম দিনের আগমনের মহাত্ম্য সম্পর্কে আলোচনা করলেন। যা শুনে উপস্থিত সকলেই অত্যন্ত খুশী আনন্দ চিত্তে মহানবী (সাঃ) এর উপর সালাত সালাম পাঠ করতে থাকেন। ঠিক সে সময় মহানবী (সাঃ) সেখানে উপস্থিত হলেন এবং তা দেখে সমবেত সকলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বললেন- তোমাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব হয়ে গেল, সুবহানাল্লাহ, (সুবুলুল হুদা ফী মাওলুদি মোস্তফা)। মূলত এ কারণেই হযরত উমর (রাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) বিশেষ মর্যাদা সম্মান প্রদান করলো সে যেন পবিত্র দ্বীন ইসলামকেই পুনরুজ্জীবিত করলো (আন নিয়ামাতুল কুবরা আলাল আলম)। অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে আল্লাহপাক তাঁর রহমতের দরজা তোমাদের জন্য উন্মুক্ত করেছেন এবং সমস্ত ফেরেস্তাগণ তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ তোমাদের মতো এরূপ করবে তোমাদের মতো তারাও নাযাত প্রাপ্ত হবে, সুবহানাল্লাহ। মাছাবাতা বিসসুন্নাহ কিতাবে বর্ণিত আছে যে, ব্যক্তি আল্লাহ পাক এর হাবীব (সাঃ) এর বিলাদাত শরীফ এর দিনকে সম্মান করবে এবং সাধ্য সামর্থ্য অনুযায়ী পালন করবে এবং বিনিময়ে সে জান্নাত লাভ করবে, সুবহানাল্লাহ। এছাড়া ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) পালনে গুরুত্ব ও তাৎপর্য বর্ণনা করে ইমাম হাসান বসরী, হযরত জুনাইদ বোগদাদী, হযরত মারুফ কারখী, ইমাম ফখর উদ্দিন রাযি, ইমাম শাফেয়ী, হযরত সারবী সাক্কতি, হযরত জালাল উদ্দিন সুয়ূতি, হযরত আব্দুল হক মুহাদ্দীস দেহলভী ও দেওবন্দী উলামা হযরতদের পীর হাজী এমদাদুল্লাহ মহাজীরে মক্কী সহ দ্বীন ইসলামের অসংখ্য অগণিত মহান বুজুর্গ হযরতগণ তাদের স্ব স্ব কিতাবগুলোতে এ ব্যাপারে আলোকপাত করেছেন এবং বড় নেয়ামত বলে উল্লেখ করে মুসলিম উম্মাকে তা যথার্থভাবে উদযপন করার নসিহত করে গেছেন। এ জন্য উপমহাদেশের প্রকৃত উলামা হযরত, আশেকে রাসুল, মুমিন বান্দারা এ পবিত্র দিনটিতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) মাহফিল, মিলাদ মাহফিল, তাফসীর মাহফিল, সুন্নী সম্মেলন, বর্ণাঢ্য র‌্যালী, সভা সেমিনার সেম্পোজিয়াম ইত্যাদি অনুষ্ঠান অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পালন করে আসছেন। আর এসব মহতি অনুষ্ঠানের ব্যাপক প্রসারতা লাভ করে ছয়শত চার হিজরী ইরাকের মষূল শহরে আরবাল নামক স্থানে। সেখানকার তৎকালীন দ্বীনদার আল্লাওয়ালা বাদশা মালিক মুজাফফার আবু সাঈদ বিন জয়নুদ্দীন (রঃ) রাষ্ট্রীয় ভাবে এই সুমহান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সকল মুমিন মুসলমানকে সামিল করেন। অনুরূপভাবে মিসরে আরো ব্যাপক ভাবে ইসলামের বীর সিপাসালার সুলতান গাজী সালাউদ্দিন আইয়ুবী (রঃ) মিলাদুন্নবী (সাঃ) মাহফিলের আয়োজন করেন। এ প্রক্রিয়ায় মিশর থেকে পর্যায়ক্রমে পবিত্র মক্কা শরীফে বিস্তৃতি লাভ করে। পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে সারা বিশ্বব্যাপী মিলাদুন্নবী (সাঃ) রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রচলিত নিয়ম আরম্ভ হয়। বর্তমানে অনেকে অজ্ঞাতসারে বলে থাকেন যে বাংলাদেশেই শুধু মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন করা হয়। অথচ সৌদি আরবে তো মিলাদুন্নবী (সাঃ) মাহফিল উদযাপন করতে দেখা যায় না। আসলে দেখা যাবেই বা কি করে, কারণ ইহুদী মদদে ক্ষমতাসীন হয়েই বাতিল ওয়াবী মতবাদের ধ্বজাধারী সৌদি রাজ গংরা শত সহস্র বছরব্যাপী চলে আসা এই মহান পবিত্র আনন্দ উৎসবকে বিদয়াত শিরক ইত্যাদি ফতওয়া দিয়ে সেখানে বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি বিভিন্ন প্রভাব খাটিয়ে তারা মুসলিম বিশ্ব থেকেও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন বন্ধ করার জন্য পাঁয়তারা করছে। তারা ভাড়াটিয়া কিছু আলেমদের মুসলিম বিশ্ব নামিয়ে দিয়েছে, যাতে করে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন বন্ধ করা যায়। তার জন্য হাজার হাজার কোটি রিয়াল খরচ করছে। সৌদি রাজগংরা আজ বিদআত শিরিকের ভয়ে একে একে ইসলামের হাজার হাজার বছরের নির্দশনগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে। এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য তাদেরকে একদিন মুসলিম বিশ্বের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। সে দিন বেশী দূরে নয়। অনেকে কথায় কথায় সৌদি আরবে উদাহরণ তুলে ধরেন। সৌদি আরবের উদাহরণ দিলে এখানে হবে না। সৌদি আরব কিন্তু ইসলাম মুসলমানদের দলীল নয়। ইসলাম মুসলমানদের দলীল হচ্ছে কোরআন সুন্নাহ, ইজমা, কিয়াস এটা আমাদেরকে ভাবতে হবে। কিছু ইতিহাসে প্রচলিত মিলাদ মাহিফলের প্রবর্তক বাদশা মালিক মজাফফরকে উল্লেখ করলেও প্রকৃত পক্ষে তিনি ছিলেন এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক। মূল প্রচারক ও পুনঃপ্রবর্তক ছিলেন শায়েখ হযরত ওমর ইবনে মুল্লা মুহাম্মদ মাওসেলী (র.), অপর দিকে মালেক মুজাফ্ফর বাদশা ছিলেন মিসরের প্রখ্যাত সুলতান গাজী সালাউদ্দিনের ভাই, বাদশা ছিলেন নেককার আল্লাহওয়ালা। মিলাদ বিরোধীরা তাকে অন্যায়ভাবে ফাসিক বানিয়েছে। অথচ ঐতিহাসিক ভাবে সত্য যে সপ্তম শতাব্দীতে কুখ্যাত জালিম গর্ভণর হাজ্জাজ বিন ইউসুফের পৃষ্ঠপোষকতায় কুরআন শরীফে হরকত যুক্ত করা হয়। আর আজকে মিলাদুন্নবী (সাঃ) বা মিলাদ বিরোধীরা ও জাহিল হাজ্জাজের হরকত দেয়া কোরআন শরীফই পড়ে যাচ্ছে। যদিও যুদ্ধের ময়দান ছাড়াই হাজ্জাজ অন্যায়ভাবে একলাখ বিশ হাজার লোককে হত্যা করেছে, অতএব নেককার হওয়া সত্বেও মালিক মোজাফফর বাদশাহর প্রবর্তিত মিলাদ শরীফ বা মিলাদুন্নবী (সাঃ) অস্বীকার করতে চায়। তাহলে, কোরআন শরীফে এ মহা জালিম হাজ্জাদের দেওয়া হরকত তারা গ্রহণ করে কিভাবে, হাজ্জাদের দেওয়া হরকত গ্রহণ করেই তারা নিজেরা ইলম শিখছে এবং তাদের ছাত্রদেরকেও ইলম শেখাচ্ছে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী তাহলের মিলাদের আগে কোরআনের শরীফের হরকত বাদ দিতে হবে। ইসলামী নামের আরো অনেক কিছু বাদ দিতে হবে। যা রাসূল (সাঃ) এর যামানা সহ ছালাছার যামানাও ছিলনা। এ সকল যামানায় ছিলনা বলেই ভালো সব কিছুই বেদআত শিরিক হয়ে যাবে। এর দলীল তারা কোথা থেকে পেল। একথা স্পষ্ট যে সব আউলিয়ায়ে কেরাম অনুস্মরণীয় মুহাক্কিক আলেম তথা আশেকে রাসূলগণ সবাই মিলাদুন্নবী (সাঃ), মিলাদ মাহফিল উচ্ছসিতভাবে গ্রহণ করেছেন। আর কিছু সংখ্যক লোক মিলাদুন্নবী, মিলাদ শরীফ ও কিয়ামের বিরোধিতা করছেন। কেহ বিরোধিতা করুক বা নাহি করুক আল্লাহপাক তাঁর প্রিয় হাবীব (সাঃ) উচ্চ শান-মান বুলন্দ করে রেখেছেন। পবিত্র কোরআনের ভাষায় ওয়ারাফাগ না লাকা জিকরাক। অর্থাৎ ও আমার হাবীব আপনার মর্যাদা, মর্তবা উচ্চ আসনে সমাসীন করেছি। উপরোক্ত আলোচনা প্রেক্ষিতে এ কথা প্রতীয়মান হচ্ছে যে মহানবী (সাঃ) এর জন্ম বৃত্তান্ত নিয়ে আলোচনা করা তাঁর সানা-সিফত বা প্রশংসা তথা মিলাদ শরীফ পাঠ করা আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব (সাঃ) এর নাযাত ও শাফায়াত এবং চির সন্তুষ্টি লাভের অন্যতম মাধ্যম। তাই মহানবী (সাঃ) সম্পর্কে জনৈক কবি কত সুন্দর না বলেছেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ আমরা আপনার প্রশংসা কি করবো আপনিতো এ রূপ সে রূপ আপনার প্রশংসা স্বয়ং আল্লাহপাক করেছেন। আল্লাহপাক আমাদের সকলকে তাঁর প্রিয় হাবীব (সাঃ) সত্যিকার প্রশংসা করার তৌফিক দান করুন।