স্টাফ রিপোর্টার :
নগরী ও শহরতলী থেকে জামায়াত-শিবিরের ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে ও সন্ধ্যায় সিলেট জেলা জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে গোপন বৈঠক ও হোটেল হলিসাইডের দ্বিতীয় তলার রেষ্টুরেন্টে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- মোঃ আনছার উদ্দিন (৩০), শাহিন আহমদ (২৬), মোঃ ইব্রাহিম (৩৫), আলী হোসেনখোকন (৪৫) ও মোঃ ইউনুস (৫০) ও আবু সাঈদ মোঃ গিলমান (২৪)। তাৎক্ষণিকভাবে অপর গ্রেফতারকৃতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ জানায়, গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা আইনজীবী সমিতির একটি কক্ষে ‘শ্রমিক কল্যাণ সমিতি’র ব্যানারে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা গোপন বৈঠক করছিল। এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ সদস্যরা আদালত পাড়ার আশপাশে অবস্থান নেন। পরে বৈঠকে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় দরগা মহল্লাস্থ হোটেল হলিসাইডে অভিযান চালিয়ে শিবিরের আরো ৪ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। শিবিরের ওই ৪ কর্মী হোটেল হলিসাইডের দ্বিতীয় তলার রেষ্টুরেন্টে বসা ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে। এদিকে, শহরতলীর বলাউড়ায় সড়ক অবরোধ ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সকালে আউশা গ্রামের আহমদ নূরের পুত্র ও জামায়াত শিবির কর্মী আবু সাঈদ মোঃ গিলমানকে গ্রেফতার করেছে জালালাবাদ থানা পুলিশ। জালালাবাদ থানার ডিউটি অফিসার মোঃ আরিফ জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বলাউড়ায় গাড়ি ভাংচুর ও সড়ক অবরোধের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা নং-১৩ (১৪-০৯-১৪)।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, জামায়াত নিজে মাঠে নেমে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না। পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া করে সটকে যায়। তাই শ্রমিক কল্যাণ, দর্জি কল্যাণ-এসব নামে বেনামে ব্যানারে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। ওসি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃতরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে নাশকতামূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্র পুলিশের হাতে রয়েছে। তাদেরকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ ডিসেম্বর নগরীর জিন্দাবাজারস্থ আল হামরা শপিং সিটিতে কোতেয়ালি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ‘দর্জি কল্যাণ ফেডারেশন’র ব্যানারে জামায়াত-শিবিরের ব্যানারে আয়োজিত গোপন বৈঠক থেকে জামায়াত-শিবিরের ১২ জনকে আটক করেছিল।