কুলাউড়ায় শিশু শাকিল হত্যাকারী কিশোরের পরিচয়ে শনাক্ত

49

Pic Shakil Kulauraকুলাউড়া থেকে সংবাদদাতা :
কুলাউড়া উপজেলার কর্মধায় শিশু শাকিলের হত্যাকারী কিশোর আতিকের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তবে ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। হত্যাকারী আতিকের আত্মীয় স্বজন প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় লোকজন ঘটনার প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।
সরেজমিন কুলাউড়া উপজেলার পূর্ব বাবনিয়া গ্রামের গেলে স্থানীয় লোকজন জানান, ফানাই নদীর যে স্থানে শিশু শাকিলের লাশ পাওয়া গেছে, সেখানে মাত্র হাঁটু পানি। কিভাবে এই পানিতে শিশু ডুবে মারা যায়।
তাছাড়া শিশু শাকিলকে দাফনের জন্য গোসল করানোর কাজে নিয়োজিতরা জানান, তার গলা টিপে যে হত্যা করা হয়েছে, গলায় তার ছাপ স্পষ্ট ছিলো। তাছাড়া শিশুটির জিহ্বা বের করা ছিলো। যা গলাটিপে হত্যার লক্ষণ। স্থানীয় লোকজনের মতে শিশু শাকিলকে হত্যার পর নদীতে ফেলে পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার গুজব ছড়ানো হয়। তাছাড়া শিশু শাকিলকে যদি হত্যাই করা না হয়- তাহলে কেন সাদা কাগজে তার মায়ের জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়া হলো।
শিশু শাকিলের হত্যাকারী আতিকের বাবার নাম উম্মর আলী ও মাতার নাম সুফিয়া বেগম। বাড়ী উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ইসমাইল পুর গ্রামে। কিশোর আতিক ছোটবেলা থেকে চোর প্রকৃতির। ইতিপূর্বে চুরির দায়ে সে জেল খেটেছে। মা বাবা তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে নানা বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। নানা বাড়িতে আসার পর তাকে কর্মধা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি করা হয়। বিদ্যালয়ে সে অনিয়মিত ছিলো বলে স্কুল থেকে জানানো হয়। বিদ্যালয়ে পড়ালেখার চেয়ে সে চুরি করতেই বেশি মনযোগি ছিলো। এদিকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল সহকারি পুলিশ সুপার জুনায়েদ আলম সরকার গণমাধ্যমকে জানান, বিষয়টি তিনি তদন্ত করে দেখবেন।
উল্লেখ্য গত ১৫ ডিসেম্বর সোনার আংটি চুরির সময় শিশু শাকিল ঘটনা দেখে ফেলে এবং চুরির ঘটনায় অন্যদের জানিয়ে দেয়ার আশংকায় কিশোর আতিক তাকে হত্যা করে।