ছিনতাই-ডাকাতি ঠেকাতে ॥ মহাসড়কে প্রতি কিলোমিটারে বসছে সিসি ক্যামেরা

34

1_113465কাজিরবাজার ডেস্ক :
মহাসড়কে একের পর এক ঘটছে ছিনতাই-ডাকাতি। বিশেষায়িত হাইওয়ে পুলিশের নানা তৎপরতা সত্ত্বেও ঠেকানো যাচ্ছে না অপরাধীদের দৌরাত্ম্য। ট্রাক, বাস, কাভার্ডভ্যান থেকে শুরু করে খোয়া যাচ্ছে নানা মূল্যবান পণ্য। অনেক সময় ঘটছে প্রাণহানির ঘটনাও। তাই মহাসড়কে এবার ছিনতাই-ডাকাতি ঠেকাতে প্রতি এক কিলোমিটার পর সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার কথা ভাবছেন সংশ্লিষ্টরা। নতুন এ উদ্যোগটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এরই মধ্যে হাইওয়ে পুলিশ কার্যক্রম শুরু করেছে।
এ প্রসঙ্গে হাইওয়ে পুলিশের প্রধান ডিআইজি আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে প্রতি এক কিলোমিটার পর সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ছিনতাই-ডাকাতিসহ নানা অপরাধ ঠেকানোর পাশাপাশি সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মহাসড়কের যানজট নিরসনও সম্ভব হবে। এ উদ্যোগটি বাস্তবায়নে উচ্চপর্যায়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রথম দিকে গুরুত্ব বুঝে কিছু কিছু এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হলেও পর্যায়ক্রমে দেশের প্রায় ১২ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়ক সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করা হবে। মহাসড়কে ছিনতাই-ডাকাতি ও চাঁদাবাজিসহ নানা রকমের অভিযোগ ওঠায় ঢেলে সাজানো হচ্ছে হাইওয়ে পুলিশকে। জনবল বৃদ্ধি, সদস্যদের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি, দুর্নীতিবাজ সদস্যদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রতি ৫ কিলোমিটারে একটি করে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মহাসড়কে নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। মহাসড়ক নিরাপদ রাখার লক্ষ্যেই হাইওয়ে পুলিশ নানা কর্মপরিকল্পনায় কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে হাইওয়ে পুলিশের জন্য ফাঁড়ি বা ষ্টেশনের জায়গা অনুসন্ধানের কাজ চলছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অফিস স্টাফসহ হাইওয়ে পুলিশে জনবল রয়েছে মাত্র ২ হাজার ১৯২ জন। পুলিশ ষ্টেশন আছে মাত্র ২৮টি। যানবাহনের সংখ্যাও অপর্যাপ্ত। ফলে ইচ্ছা থাকলেও হাইওয়ে পুলিশ পর্যাপ্ত সেবা দিতে পারছে না। তবে নতুন উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হলে মহাসড়কে অপরাধ অনেকাংশেই কমে আসবে বলে মন্তব্য করেন হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা।