সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর সীমান্তে ২ চোরাচালানীকে ধরে নিয়েগেছে বিএসএফ। এছাড়া ৪ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ভারতীয় অফিসার চয়েস মদ ও ২টন চোরাই কয়লাসহ নৌকা জব্দ করেছে বিজিবি। আটককৃত চোরাচালানীরা হল-উত্তর বড়দল ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামের মৃত কাচা মিয়ার ছেলে নবীকুল হোসেন(৪৫) ও কড়ইগড়া গ্রামের ব্লু হাজং(৫২)। বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় লাউড়েরগড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী দিয়ে বারেকটিলা গ্রামের চোরাচালানী আব্দুল গফফার, তাজুত আলী, জজ মিয়া, বিল্লাল মিয়া, লাউড়েরগড় গ্রামের উফাজুল মিয়া, সামসুল মিয়া, নুর মিয়ার নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক বারকি শ্রমিক ও চোরাচালানীরা ভারতের ঘুমাঘাট ও রানীকর এলাকা থেকে অবৈধভাবে নৌকা যোগে কয়লা পাচারের সময় বিএসএফ ধাওয়া করে। এ সময় বেশির ভাগ লোকজন পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও চোরাচালানী নবীকুল ও ব্লু হাজংকে ধরে ফেলে বিএসএফ। এছাড়া ভোররাতে একই সীমান্তের দক্ষিণ মুকশেদপুর এলাকায় দিয়ে ভারত থেকে মদ পাচারের সময় অভিযান চালিয়ে ১৮০ এমএল ওজনের ২৮২ বোতল অফিসার চয়েস মদ জব্দ করেছে বিজিবি। যার মূল্য ৪ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা। অন্যদিকে সকাল ৭টায় চাঁরাগাঁও সীমান্তের লালঘাট গ্রামের চোরাচালানী নজরুল মিয়া, হরমুজ আলী, আব্দুল আলী, মজিদ মিয়া, এহসান মিয়া, রহিছ মিয়া ও জয়নাল মিয়ার নেতৃত্বে ১১৯৬ পিলার এলাকায় অবস্থিত বড়ঘাট, দুইত্তারঘাট ও মাঝেরঘাটসহ ৪টি চোরাইপথ দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা করার সময় দেড়টন ও ভোররাতে নৌকাসহ আধাটন কয়লা জব্দ করা হয়েছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে কাউকে আটক করেনি টহলের দায়িত্বে থাকা বিজিবি। জব্দকৃত মালামালের মূল্য প্রায় অর্ধলক্ষাধিক টাকা। এদিকে চাঁনপুর সীমান্তের রাজাই এলাকা দিয়ে চোরাচালানী মোতালিব, আবু বক্কর, রহমত আলী, জামাত আলী, জুলহাস মিয়া ও সম্্রাট মিয়ার নেতৃত্বে প্রায় ৩ টন কয়লা পাচার করে ওপেন যাদুকাটা নদীর খেয়াঘাট সংলগ্ন রেন্টি গাছের নিচে মজুদ করা হলেও এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি চাঁনপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ-৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, আটককৃত চোরাচালানীদের ফেরত আনার চেষ্টা চলছে, চোরাচালান প্রতিরোধের ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।