বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
বিশ্বনাথ থানায় সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ করায় মুক্তার মিয়া নামের এক যুবলীগ নেতাকে গ্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন প্রাক্তণ মেম্বার সৈয়দ ছইল মিয়া। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই মেম্বারকে ফের অভিযুক্ত করে নিরাপত্তা চেয়ে থানায় একটি জিডি করেছেন অভিযোগকারী মুক্তার, (জিডি নং ১৫৯১)। এরআগে গত ২৬ নভেম্বর সোমবার সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ এনে ওই মেম্বারের বিরুদ্ধে থানায় একটি এজাহারও দেন মুক্তার মিয়া। স্থানীয়দের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার (২৯নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই অভিযোগটি পুলিশি তদন্তকালে প্রকাশ্যে মুক্তার মিয়াকে হত্যার হুমকি দেন ছইল মিয়া। অভিযুক্ত প্রাক্তন মেম্বার সৈয়দ ছইল মিয়া দেওকলস ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন আ’লীগের সদস্য। আর অভিযোগকারী মুক্তার মিয়া ওই ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ও একই গ্রামের বাসিন্দা।
জানাগেছে, নভেম্বর কাহিরঘাট এলাকায় বাসিয়া নদীর পাড়ের ৩লাখ টাকা মূল্যের সরকারি রেইনট্রি, চাম্বল, আকাশি জাতের ৮টি গাছ কেটে বিক্রি করে দেন ছইল মিয়া। এর ৮দিনের মাথায় ছাইল মিয়াকে অভিযুক্ত করে থানায় এজাহার দেন একই গ্রামের বাসিন্দা মুক্তার মিয়া। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় থানার এসআই সবুজ কুমার নাইডু ঘটনাস্থলে গেলে অভিযোগকারীকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাহিরঘাট বাজার পরিচালনা কামটির সাধারণ সম্পাদক তারেক আহমদ দুলন, কাহিরঘাট গ্রামের আব্দুল মতিন, জগৎপুর সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সেবুল মিয়া, নিয়ামতপুর গ্রামের মাহবুবুর রহমান জয় এ প্রতিবেদককে বলেন, ইউপি সদস্য ছইল মিয়া প্রভাব খাটিয়ে প্রতি বছরই বাসিয়া নদী পারের সরকারি গাছ কাটেন এবং বিক্রি করেন।
তবে, গাছ কাটার সত্যতা স্বীকার করলেও হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন প্রাক্তণ মেম্বার সৈয়দ ছাইল মিয়া।তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, গাছগুলো তার নিজের হাতের লাগানো ও তার জায়গায় হওয়ায় প্রতি বারের মতো এবারও তিনি গাছ কেটেছেন।
এ ব্যাপারে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই সবুজ কুমার নাইডু এ প্রতিবেদকে বলেন, তদন্তে গিয়ে তিনি গাছ কাটার সত্যতা পেয়েছেন।